প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ
সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ২ নম্বর অধ্যায় ‘ফুল, ফল ও সবজি চাষ’ থেকে শুদ্ধ
অশুদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব। এ ধরনের অন্য প্রশ্নোত্তরের
জন্য অধ্যায়ের বিষয়বস্তুটি ভালোভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: শূন্যস্থান পূরণ করে বাক্যটি খাতায় লেখো।
১। কাশফুল—বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: কাশফুল শরৎকালের বৈশিষ্ট্য।
২। — মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে।
উত্তর: দোআঁশ মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে।
৩। কমলালেবু, জলপাই ইত্যাদি — ফল।
উত্তর: কমলালেবু, জলপাই ইত্যাদি শীতকালীন ফল।
৪। প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব-রয়েছে।
উত্তর: প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
৫। গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল — ধরে ফোটে।
উত্তর: গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল সারা বছর ধরে ফোটে।
৬। কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি — ফুল।
উত্তর: কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি বসন্তের ফুল।
৭। গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া—ফোটে।
উত্তর: গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া শীতকালে ফোটে।
৮।—থেকে—মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ হয়, সেগুলো শীতকালীন শাকসবজি।
উত্তর: অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ হয়, সেগুলো শীতকালীন শাকসবজি।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১। কাশফুল কোন ঋতুতে ফোটে?
(ক) গ্রীষ্ম (খ) বর্ষা (গ) শরৎ (ঘ) শীত
উত্তর: (গ) শরৎ।
২। সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায় কোনটি?
(ক) পেঁপে (খ) ডাঁটা (গ) কাঁকরোল (ঘ) করলা। উত্তর: (ক) পেঁপে।
৩। শীতকালীন ফল কোনটি?
(ক) কমলালেবু (খ) তাল (গ) পেয়ারা (ঘ) কলা।
উত্তর: (ক) কমলালেবু।
৪। ফলগাছ কখন লাগলে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়?
(ক) গ্রীষ্মকালে, (খ) শরৎকালে, (গ) শীতকালের শেষে (ঘ) বর্ষকালের শুরুতে।
উত্তর: (ঘ) বর্ষকালের শুরুতে।
৫। চন্দ্রমল্লিকা ফোটে কোন কালে?
(ক) গ্রীষ্মকালে (খ) শীতকালে (গ) বর্ষায় (ঘ) শরৎকালে।
উত্তর: (খ) শীতকালে।
৬। কোনটি বসন্তের ফুল?
(ক) বেলি (খ) টগর (গ) ডালিয়া (ঘ) কৃষ্ণচূড়া।
উত্তর: (ঘ) কৃষ্ণচূড়া
প্রশ্ন: শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
১। দোআঁশ মাটি ফলগাছের জন্য ভালো।- ‘শুদ্ধ’
২। শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় খুব বেশি পানি দিতে হয় না। - ‘অশুদ্ধ’
৩। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর-মাসে চাষ করা হয়।- ‘শুদ্ধ’
৪। পটোল, ঢ্যাঁড়স, শসা ইত্যাদি শীতকালীন প্রধান সবজি।- ‘অশুদ্ধ’
৫। যেসব গাছ দুর্বল, তাদের বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের জন্য মাচা করে দিতে হয়। - ‘শুদ্ধ’
৬। ফুলগাছ লাগাতে হলে প্রথমে মাটি তৈরি করতে হয়।- ‘শুদ্ধ’
৭। টবে ফুলগাছের চারা অথবা কলম লাগানো যায় না।- ‘অশুদ্ধ’
৮। কাশফুল গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্য।- ‘অশুদ্ধ’
৯। কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি বসন্তের ফুল। - ‘শুদ্ধ’
১০। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলা দেশ। - ‘শুদ্ধ’
প্রশ্ন: শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
১১। গাঁদা, জিনিয়া, কসমস বর্ষাকালে ফোটে। - ‘অশুদ্ধ’
১২। বর্ষার শুরুতে গাছ লাগালে গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। - ‘শুদ্ধ’
১৩। সব সময় গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা ভালো। - ‘অশুদ্ধ’
১৪। গাছ লাগানোর জন্য দেড় হাত চওড়া ও দেড় হাত গভীর গর্ত করতে হবে। - ‘শুদ্ধ’
১৫। কাঁচকলা ও পেঁপে সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায়।-‘শুদ্ধ’
১৬। পেয়ারা, আমড়া বর্ষাকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
১৭। আম, জাম, কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
১৮। কমলালেবু, জলপাই শীতকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর।
প্রশ্ন: ফুলগাছ লাগানোর জন্য মাটি কীভাবে তৈরি করা হয় তা বর্ণনা করো।
উত্তর: ফুলগাছ লাগাতে হলে প্রথমে মাটি তৈরি করতে হবে। এ জন্য মাটি কুপিয়ে আলগা ও ঝুরঝুরে করতে হয়, তারপর এর সঙ্গে বিভিন্ন জৈব সার—যেমন, গোবর পচা সার, আবর্জনা পচা সার, হাড়ের গুঁড়ো, খৈল, ছাই, হাঁস-মুরগির বিষ্টা ইত্যাদি মেশাতে হয়। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। দোআঁশ মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে। ফুলের টবের মাটিও একইভাবে তৈরি করতে হয়।
প্রশ্ন: শীতকালীন শাকসবজির একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: শীতকালীন শাকসবজির তালিকা নিচে দেওয়া হলো: লাউ, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, টমেটো, গাজর, মটরশুঁটি, পালংশাক, আলু ইত্যাদি। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়।
প্রশ্ন: গ্রীষ্মকালীন, বর্ষাকালীন ও শীতকালীন ফলের তিনটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর: গ্রীষ্মকালীন ফল: আম, জাম ও লিচু।
বর্ষাকালীন ফল: পেয়ারা, আমড়া ও জামরুল।
শীতকালীন ফল: কমলালেবু, বরই ও জলপাই।
প্রশ্ন: খুব সহজে কীভাবে কলম করা যায়, লেখো।
উত্তর: খুব সহজ উপায়ে গাছের কলম তৈরি করা যায়। পাতাবাহার, রঙ্গন, টবরগাছের পাতাসহ ডাল কেটে বোতলের পানিতে গোড়ার দিক ডুবিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, বোতলের পানি যেন শুকিয়ে না যায়। কিছুদিন পর দেখা যাবে ডালের গোড়া থেকে শিকড় বের হয়েছে। এভাবে খুব সহজে কলম তৈরি করা যায়।
প্রশ্ন: সারা বছর পাওয়া যায়—এমন ফুল, ফল ও শাকসবজির তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায়—এমন ফুল, ফল ও শাকসবজির তালিকা নিচে দেওয়া হলো— ফুল: গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা।
ফল: কলা, পেঁপে, নারকেল।
শাকসবজি: কাঁচকলা, পেঁপে, বেগুন, পুঁইশাক, লালশাক।
প্রশ্ন: গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ করা হয়, সেগুলো গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি। যেমন, পটোল, ঢ্যাঁড়স, চালকুমড়া, শসা, ঝিঙা, করলা, উচ্ছে, কাঁকরোল, ডাঁটা, পুঁইশাক ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কোন ঋতুতে কোন ফুল ফোটে, তার বর্ণনা দাও।
উত্তর: ষড়্ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতে নানা রঙের, নানা গন্ধের ফুল ও ফলে ভরে ওঠে দেশের মাঠ-ঘাট, প্রান্তর ও বাড়ির আঙিনা। প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুতে যেসব ফুল ফোটে, তা নিচে দেওয়া হলো—
শরৎকালীন ফুল: কাশফুল শরৎকালের বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া ফোটে শিউলি, বকুল ও হাসনাহেনা।
গ্রীষ্মকালীন ফুল: গ্রীষ্মকালে দিনে ও রাতে বেশ গরম পড়ে। এ সময় ফোটে সূর্যমুখী, বেলি, অপরাজিতা ও নানা ধরনের লিলি।
বর্ষাকালীন ফুল: বর্ষাকালে আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর অঝোর বর্ষণে ফোটে দোলনচাঁপা, টগর, কামিনী, গন্ধরাজ, কলাবতী, দোপাটি প্রভৃতি।
শীতকালীন ফুল: শীতের সময় আমরা সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় ফুল দেখতে পাই। এ সময় ফোটে ক্যালেন্ডুলা, গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি।
বসন্তকালীন ফুল: বসন্তকালে ফোটে কাঞ্চন, পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন: কীভাবে ফুল ও ফলগাছের যত্ন নেবে?
উত্তর: নিচে উল্লিখিত উপায়ে ফুল ও ফলগাছের যত্ন নেওয়া যায়।
১. গাছ লাগানোর আগে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।
২. ফুল ও ফলগাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে, সে জন্য গাছের গোড়ার মাটি সামান্য উঁচু করে দিতে হবে।
৩. গাছের গোড়া থেকে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
৪. গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
৫. শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে।
৬. গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হবে।
৭. ফুল ও ফলগাছের চারায় খুঁটি বেঁধে দিতে হবে, এতে গাছের কাণ্ড জোর পায়।
৮. ক্ষতিকর কোনো কীটপতঙ্গের মাধ্যমে গাছ আক্রান্ত হলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
৯. নিয়মিত গাছের দেখাশোনা করতে হবে।
প্রশ্ন: ফলগাছ লাগানোর জন্য তুমি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বর্ণনা করো।
উত্তর: বাড়ির আশপাশে অথবা বিদ্যালয়ের খালি জায়গায় উপযুক্ত স্থানে ফলগাছ লাগানো যায়। গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে জমিতে দেড় হাত চওড়া ও দেড় হাত গভীর গর্ত করতে হবে। গর্তের ওপরের মাটি একপাশে এবং ভেতরের মাটি আরেক পাশে রেখে কিছুদিন ফেলে রাখতে হবে। পরে মাটির সঙ্গে গোবর সার ও অন্যান্য জৈব সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরাট করার সময় ওপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি ওপরে দিতে হবে। এভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর গাছ লাগিয়ে গাছের চারায় খুঁটি দিতে হবে। এতে গাছের কাণ্ড জোর পায়। বর্ষার শুরুতে গাছ লাগালে বৃষ্টির পানিতে গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। লক্ষ রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। মাঝেমধ্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হয়।
মাটি তৈরি করে ফলের গাছ টবেও লাগানো যায়। গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য গাছের চারার চারদিকে বেড়া দিতে হবে।
মাঝেমধ্যে নিড়ানি দিয়ে সাবধানে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
প্রশ্ন: শূন্যস্থান পূরণ করে বাক্যটি খাতায় লেখো।
১। কাশফুল—বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: কাশফুল শরৎকালের বৈশিষ্ট্য।
২। — মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে।
উত্তর: দোআঁশ মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে।
৩। কমলালেবু, জলপাই ইত্যাদি — ফল।
উত্তর: কমলালেবু, জলপাই ইত্যাদি শীতকালীন ফল।
৪। প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব-রয়েছে।
উত্তর: প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
৫। গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল — ধরে ফোটে।
উত্তর: গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল সারা বছর ধরে ফোটে।
৬। কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি — ফুল।
উত্তর: কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি বসন্তের ফুল।
৭। গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া—ফোটে।
উত্তর: গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া শীতকালে ফোটে।
৮।—থেকে—মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ হয়, সেগুলো শীতকালীন শাকসবজি।
উত্তর: অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ হয়, সেগুলো শীতকালীন শাকসবজি।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১। কাশফুল কোন ঋতুতে ফোটে?
(ক) গ্রীষ্ম (খ) বর্ষা (গ) শরৎ (ঘ) শীত
উত্তর: (গ) শরৎ।
২। সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায় কোনটি?
(ক) পেঁপে (খ) ডাঁটা (গ) কাঁকরোল (ঘ) করলা। উত্তর: (ক) পেঁপে।
৩। শীতকালীন ফল কোনটি?
(ক) কমলালেবু (খ) তাল (গ) পেয়ারা (ঘ) কলা।
উত্তর: (ক) কমলালেবু।
৪। ফলগাছ কখন লাগলে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়?
(ক) গ্রীষ্মকালে, (খ) শরৎকালে, (গ) শীতকালের শেষে (ঘ) বর্ষকালের শুরুতে।
উত্তর: (ঘ) বর্ষকালের শুরুতে।
৫। চন্দ্রমল্লিকা ফোটে কোন কালে?
(ক) গ্রীষ্মকালে (খ) শীতকালে (গ) বর্ষায় (ঘ) শরৎকালে।
উত্তর: (খ) শীতকালে।
৬। কোনটি বসন্তের ফুল?
(ক) বেলি (খ) টগর (গ) ডালিয়া (ঘ) কৃষ্ণচূড়া।
উত্তর: (ঘ) কৃষ্ণচূড়া
প্রশ্ন: শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
১। দোআঁশ মাটি ফলগাছের জন্য ভালো।- ‘শুদ্ধ’
২। শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় খুব বেশি পানি দিতে হয় না। - ‘অশুদ্ধ’
৩। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর-মাসে চাষ করা হয়।- ‘শুদ্ধ’
৪। পটোল, ঢ্যাঁড়স, শসা ইত্যাদি শীতকালীন প্রধান সবজি।- ‘অশুদ্ধ’
৫। যেসব গাছ দুর্বল, তাদের বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের জন্য মাচা করে দিতে হয়। - ‘শুদ্ধ’
৬। ফুলগাছ লাগাতে হলে প্রথমে মাটি তৈরি করতে হয়।- ‘শুদ্ধ’
৭। টবে ফুলগাছের চারা অথবা কলম লাগানো যায় না।- ‘অশুদ্ধ’
৮। কাশফুল গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্য।- ‘অশুদ্ধ’
৯। কাঞ্চন, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি বসন্তের ফুল। - ‘শুদ্ধ’
১০। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলা দেশ। - ‘শুদ্ধ’
প্রশ্ন: শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
১১। গাঁদা, জিনিয়া, কসমস বর্ষাকালে ফোটে। - ‘অশুদ্ধ’
১২। বর্ষার শুরুতে গাছ লাগালে গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। - ‘শুদ্ধ’
১৩। সব সময় গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা ভালো। - ‘অশুদ্ধ’
১৪। গাছ লাগানোর জন্য দেড় হাত চওড়া ও দেড় হাত গভীর গর্ত করতে হবে। - ‘শুদ্ধ’
১৫। কাঁচকলা ও পেঁপে সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায়।-‘শুদ্ধ’
১৬। পেয়ারা, আমড়া বর্ষাকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
১৭। আম, জাম, কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
১৮। কমলালেবু, জলপাই শীতকালীন ফল। - ‘শুদ্ধ’
# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর।
প্রশ্ন: ফুলগাছ লাগানোর জন্য মাটি কীভাবে তৈরি করা হয় তা বর্ণনা করো।
উত্তর: ফুলগাছ লাগাতে হলে প্রথমে মাটি তৈরি করতে হবে। এ জন্য মাটি কুপিয়ে আলগা ও ঝুরঝুরে করতে হয়, তারপর এর সঙ্গে বিভিন্ন জৈব সার—যেমন, গোবর পচা সার, আবর্জনা পচা সার, হাড়ের গুঁড়ো, খৈল, ছাই, হাঁস-মুরগির বিষ্টা ইত্যাদি মেশাতে হয়। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। দোআঁশ মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে। ফুলের টবের মাটিও একইভাবে তৈরি করতে হয়।
প্রশ্ন: শীতকালীন শাকসবজির একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: শীতকালীন শাকসবজির তালিকা নিচে দেওয়া হলো: লাউ, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, টমেটো, গাজর, মটরশুঁটি, পালংশাক, আলু ইত্যাদি। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়।
প্রশ্ন: গ্রীষ্মকালীন, বর্ষাকালীন ও শীতকালীন ফলের তিনটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর: গ্রীষ্মকালীন ফল: আম, জাম ও লিচু।
বর্ষাকালীন ফল: পেয়ারা, আমড়া ও জামরুল।
শীতকালীন ফল: কমলালেবু, বরই ও জলপাই।
প্রশ্ন: খুব সহজে কীভাবে কলম করা যায়, লেখো।
উত্তর: খুব সহজ উপায়ে গাছের কলম তৈরি করা যায়। পাতাবাহার, রঙ্গন, টবরগাছের পাতাসহ ডাল কেটে বোতলের পানিতে গোড়ার দিক ডুবিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, বোতলের পানি যেন শুকিয়ে না যায়। কিছুদিন পর দেখা যাবে ডালের গোড়া থেকে শিকড় বের হয়েছে। এভাবে খুব সহজে কলম তৈরি করা যায়।
প্রশ্ন: সারা বছর পাওয়া যায়—এমন ফুল, ফল ও শাকসবজির তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: সারা বছর কমবেশি পাওয়া যায়—এমন ফুল, ফল ও শাকসবজির তালিকা নিচে দেওয়া হলো— ফুল: গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা।
ফল: কলা, পেঁপে, নারকেল।
শাকসবজি: কাঁচকলা, পেঁপে, বেগুন, পুঁইশাক, লালশাক।
প্রশ্ন: গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যেসব শাকসবজির চাষ করা হয়, সেগুলো গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি। যেমন, পটোল, ঢ্যাঁড়স, চালকুমড়া, শসা, ঝিঙা, করলা, উচ্ছে, কাঁকরোল, ডাঁটা, পুঁইশাক ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কোন ঋতুতে কোন ফুল ফোটে, তার বর্ণনা দাও।
উত্তর: ষড়্ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতে নানা রঙের, নানা গন্ধের ফুল ও ফলে ভরে ওঠে দেশের মাঠ-ঘাট, প্রান্তর ও বাড়ির আঙিনা। প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুতে যেসব ফুল ফোটে, তা নিচে দেওয়া হলো—
শরৎকালীন ফুল: কাশফুল শরৎকালের বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া ফোটে শিউলি, বকুল ও হাসনাহেনা।
গ্রীষ্মকালীন ফুল: গ্রীষ্মকালে দিনে ও রাতে বেশ গরম পড়ে। এ সময় ফোটে সূর্যমুখী, বেলি, অপরাজিতা ও নানা ধরনের লিলি।
বর্ষাকালীন ফুল: বর্ষাকালে আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর অঝোর বর্ষণে ফোটে দোলনচাঁপা, টগর, কামিনী, গন্ধরাজ, কলাবতী, দোপাটি প্রভৃতি।
শীতকালীন ফুল: শীতের সময় আমরা সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় ফুল দেখতে পাই। এ সময় ফোটে ক্যালেন্ডুলা, গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি।
বসন্তকালীন ফুল: বসন্তকালে ফোটে কাঞ্চন, পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন: কীভাবে ফুল ও ফলগাছের যত্ন নেবে?
উত্তর: নিচে উল্লিখিত উপায়ে ফুল ও ফলগাছের যত্ন নেওয়া যায়।
১. গাছ লাগানোর আগে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।
২. ফুল ও ফলগাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে, সে জন্য গাছের গোড়ার মাটি সামান্য উঁচু করে দিতে হবে।
৩. গাছের গোড়া থেকে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
৪. গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
৫. শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে।
৬. গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হবে।
৭. ফুল ও ফলগাছের চারায় খুঁটি বেঁধে দিতে হবে, এতে গাছের কাণ্ড জোর পায়।
৮. ক্ষতিকর কোনো কীটপতঙ্গের মাধ্যমে গাছ আক্রান্ত হলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
৯. নিয়মিত গাছের দেখাশোনা করতে হবে।
প্রশ্ন: ফলগাছ লাগানোর জন্য তুমি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বর্ণনা করো।
উত্তর: বাড়ির আশপাশে অথবা বিদ্যালয়ের খালি জায়গায় উপযুক্ত স্থানে ফলগাছ লাগানো যায়। গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে জমিতে দেড় হাত চওড়া ও দেড় হাত গভীর গর্ত করতে হবে। গর্তের ওপরের মাটি একপাশে এবং ভেতরের মাটি আরেক পাশে রেখে কিছুদিন ফেলে রাখতে হবে। পরে মাটির সঙ্গে গোবর সার ও অন্যান্য জৈব সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরাট করার সময় ওপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি ওপরে দিতে হবে। এভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর গাছ লাগিয়ে গাছের চারায় খুঁটি দিতে হবে। এতে গাছের কাণ্ড জোর পায়। বর্ষার শুরুতে গাছ লাগালে বৃষ্টির পানিতে গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। লক্ষ রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। মাঝেমধ্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হয়।
মাটি তৈরি করে ফলের গাছ টবেও লাগানো যায়। গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য গাছের চারার চারদিকে বেড়া দিতে হবে।
মাঝেমধ্যে নিড়ানি দিয়ে সাবধানে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment