11.3.12

বিজ্ঞান: অধ্যায়-৪  খাদ্য ও পুষ্টি


প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর পড়াশোনায় তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অধ্যায়-৪-এর খাদ্য ও পুষ্টি।
# শূন্যস্থান পূরণ করো:
প্রশ্ন: খাদ্যের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হলো —।
উত্তর: খাদ্যের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হলো পুষ্টি।
প্রশ্ন: ভিটামিন — তাপে নষ্ট হয়ে যায়।
উত্তর: ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সব রকম খাবার সমান — নয়।
উত্তর: সব রকম খাবার সমান পুষ্টিকর নয়।
প্রশ্ন: আমিষের অভাবে — রোগ হয়।
উত্তর: আমিষের অভাবে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়।
প্রশ্ন: চাল, আটা, ময়দা ইত্যাদি — জাতীয় খাদ্য।
উত্তর: চাল, আটা, ময়দা ইত্যাদি শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য।
প্রশ্ন: মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ ইত্যাদি — জাতীয় খাদ্য।
উত্তর: মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাদ্য।
স্নেহজাতীয় খাদ্যও শর্করার মতো — জোগায়।
উত্তর: স্নেহজাতীয় খাদ্যও শর্করার মতো শক্তি জোগায়।
প্রশ্ন: তেলের অভাবে শরীর খসখসে হয়ে যায় ও — হতে পারে।
উত্তর: তেলের অভাবে শরীর খসখসে হয়ে যায় ও চর্মরোগ হতে পারে।
প্রশ্ন: — ও — মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
উত্তর: মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
প্রশ্ন: ভিটামিন ‘ই’-এর অভাবে — দেখা দেয়।
উত্তর: ভিটামিন ‘ই’-এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
প্রশ্ন: আমাদের প্রতিদিন কাঁচা-পাকা — ও — খাওয়া দরকার।
উত্তর: আমাদের প্রতিদিন কাঁচা-পাকা ফল ও সবজি খাওয়া দরকার।
প্রশ্ন: ভিটামিন — এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
প্রশ্ন: ভিটামিন — রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
উত্তর: ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: আয়োডিনের অভাবে — রোগ হয়।
উত্তর: আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়।
প্রশ্ন: সামুদ্রিক মাছে প্রচুর — আছে।
উত্তর: সামুদ্রিক মাছে প্রচুর আয়োডিন আছে।
প্রশ্ন: পানি কম পান করলে — হয়।
উত্তর: পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
প্রশ্ন: প্রতিদিন অন্তত — গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
উত্তর: প্রতিদিন অন্তত ৬-৭ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন: মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি — আমিষ।
উত্তর: মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষ।

# সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো:
প্রশ্ন: কোনটির অভাবে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়?
(ক) শ্বেতসার (খ) ভিটামিন (গ) আমিষ (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (গ) আমিষ
প্রশ্ন: কোনটির অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’
উত্তর: (ক) ভিটামিন ‘এ’
প্রশ্ন: কোনটির অভাবে গলগণ্ড হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ক্যালসিয়াম (ঘ) আয়োডিন
উত্তর: (ঘ) আয়োডিন
প্রশ্ন: কোনটির অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়?
(ক) সোডিয়াম (খ) লৌহ (গ) আয়োডিন (ঘ) ক্যালসিয়াম
উত্তর: (খ) লৌহ
প্রশ্ন: দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনের জন্য কোন উপাদানটি দরকার?
(ক) স্নেহ (খ) শ্বেতসার (গ) আমিষ (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (গ) আমিষ।
প্রশ্ন: ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে কোন রোগটি হয়?
(ক) দাঁতের ক্ষয় (খ) চোখের রোগ (গ) হাঁড়ের রোগ (ঘ) পেটের রোগ।
উত্তর: (ক) দাঁতের ক্ষয়।
প্রশ্ন: তাপে কোন ভিটামিন নষ্ট হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’
উত্তর: (গ) ভিটামিন ‘সি’।
প্রশ্ন: কোন ধরনের ভিটামিন দাঁত ও হাঁড়ের জন্য প্রয়োজনীয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’।
প্রশ্ন: সামুদ্রিক মাছে কোনটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়?
(ক) ক্যালসিয়াম (খ) আয়োডিন (গ) লবণ (ঘ) সোডিয়াম।
উত্তর: (খ) আয়োডিন
প্রশ্ন: কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘ডি’ (গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’।
উত্তর: (খ) ভিটামিন ‘ডি’।
প্রশ্ন: চর্মরোগ হয় কিসের অভাবে?
(ক) আমিষ (খ) চর্বি বা স্নেহ (গ) শর্করা (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (খ) চর্বি বা স্নেহ।
প্রশ্ন: কিসের অভাবে ঠোঁটে ও জিহ্বায় ঘা হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’।
উত্তর: (খ) ভিটামিন ‘বি’
প্রশ্ন: কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘সি’ (গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’।
উত্তর: (গ) ভিটামিন ‘ই’
প্রশ্ন: কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘সি’ (গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’
উত্তর: (ঘ) ভিটামিন ‘কে’
প্রশ্ন: কোন ধরনের খাদ্য আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে?
(ক) শর্করা (খ) আমিষ (গ) ভিটামিন (ঘ) খনিজ লবণ।
উত্তর: (গ) ভিটামিন
প্রশ্ন: কোন ধরনের খাদ্য উপাদান আমাদের দেহে শক্তি জোগায়?
(ক) খনিজ লবণ (খ) শর্করা (গ) ভিটামিন (ঘ) আমিষ। উত্তর: (খ) শর্করা
প্রশ্ন: আমিষজাতীয় খাদ্য কোনটি?
(ক) চাল (খ) ডাল (গ) গম (ঘ) আলু
উত্তর: (খ) ডাল
প্রশ্ন: মেরাসমাস বা হাড্ডিসার রোগের লক্ষণ কী?
(ক) ক্ষুধা বাড়ে, বমির ভাব হয় (খ) শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও মোটা হয়ে যায়। (গ) মাংসপেশি শুকিয়ে যায় ও প্রায়ই পাতলা পায়খানা হয়।
(ঘ) শরীরের ওজন কমে যায় ও কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
উত্তর: (গ) মাংসপেশি শুকিয়ে যায় ও প্রায়ই পাতলা পায়খানা হয়।
প্রশ্ন: মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর পরিমাণে কোন ভিটামিন থাকে?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’ (গ) ভিটামিন ‘ডি’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’।
উত্তর (ক) ভিটামিন ‘এ’।
প্রশ্ন: ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায় কিসে?
(ক) শাক-সবজি ও শস্যদানায় (খ) মলা-ঢেলা মাছে
(গ) আমলকী-আমড়ায় (ঘ) পেয়ারা-লেবুতে।
উত্তর: (ক) শাক-সবজি ও শস্যদানায়
প্রশ্ন: কোনটিতে অধিক পরিমাণে আয়োডিন আছে?
(ক) সামুদ্রিক মাছে (খ) স্বাদু পানির মাছে (গ) মুরগির মাংসে (ঘ) সবজিতে।
উত্তর: (ক) সামুদ্রিক মাছে।
প্রশ্ন পানি কম পান করলে কী রোগ হয়?
(ক) গলগণ্ড (খ) রক্তশূন্যতা (গ) ডায়রিয়া (ঘ) কোষ্ঠকাঠিন্য।
উত্তর: (ঘ) কোষ্ঠকাঠিন্য।

# শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো:
১। মাছ, গোশত, ডিম, ডাল ইত্যাদিতে আমিষের পরিমাণ কম—‘অশুদ্ধ’
২। জীবন ধারণের জন্য খাদ্য অপরিহার্য নয়—‘অশুদ্ধ’
৩। খাদ্যে যে ধরনের খাদ্য উপাদান বেশি মাত্রায় থাকে, তাকে ওই জাতের খাদ্য বলে—‘শুদ্ধ’
৪। পুষ্টির বিচারে ভাতের চেয়ে রুটি ভালো—‘শুদ্ধ’
৫। শর্করাজাতীয় খাবার কাজ করার শক্তি জোগায়—‘শুদ্ধ’
৬। মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে—‘শুদ্ধ’
৭। সূর্যের আলো ত্বক বা চামড়ার নিচে থাকা চর্বির সামনে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে—‘শুদ্ধ’
৮। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়—‘শুদ্ধ’
৯। চর্বি ও তেলজাতীয় খাদ্যে ভিটামিন ‘ডি’ থাকে—‘শুদ্ধ’
১০। মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয় ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে—‘অশুদ্ধ’
১১। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ‘সি’ থাকে—‘শুদ্ধ’
১২। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়—‘অশুদ্ধ’
১৩। ফলমূলে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে—‘শুদ্ধ’
১৪। ফলমূল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে—‘শুদ্ধ’
১৫। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর আয়োডিন আছে—‘শুদ্ধ’
১৬। আয়োডিনের অভাবে চর্মরোগ হয়—‘অশুদ্ধ’
১৭। শ্বেতসার বেশি খেলে দেহে চর্বি জমে, মোটা হয়ে যায়—‘শুদ্ধ’
১৮। বরবটি, ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি উদ্ভিজ্জ আমিষ—‘শুদ্ধ’
১৯। ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের দেহকে শক্ত ও মজবুত করে—‘শুদ্ধ’
২০। ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে—‘শুদ্ধ’
২১। ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ডিম, কলিজা ও সামুদ্রিক মাছে খনিজ লবণ পাওয়া যায়—‘শুদ্ধ’।
# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন: খাদ্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ক্ষুধা লাগলে আমরা খাদ্য গ্রহণ করি, যা খেলে আমাদের দেহ বাড়ে, ক্ষয় পূরণ হয়, পুষ্টিসাধন হয়, আমরা কাজ করার শক্তি পাই ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়—তাকে খাদ্য বলে। যেমন: ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, ফলমূল ইত্যাদি।
প্রশ্ন: পুষ্টি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পুষ্টি হলো খাদ্যগুণ। আমরা যেসব খাবার খাই, তার মধ্যে কোনোটি বেশ স্বাদের, কোনোটি তেমন স্বাদ নেই। স্বাদ থাকুক বা না থাকুক, খাদ্যে থাকতে হয় শরীর গঠনের গুণ। খাদ্যের এ গুণকেই বলে পুষ্টি, অর্থাৎ খাদ্যের যেসব উপাদান আমাদের শরীরের কাজে লাগে, সেসব উপাদানকে পুষ্টি বলে।

প্রশ্ন: সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যেসব খাদ্যে দেহের পুষ্টি, বৃদ্ধি, শক্তিলাভ প্রভৃতির জন্য প্রয়োজনীয় সবকটি খাদ্য উপাদান যেমন—শ্বেতসার, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি সঠিক পরিমাণে থাকে, তাদের সুষম খাদ্য বলে। সুস্থ দেহ, সবল দেহ ও কাজ করার শক্তির জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য।
প্রশ্ন: তিনটি প্রাণীজ আমিষের নাম লেখো।
উত্তর: আমিষ দেহের গঠন, ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে থাকে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় আমিষ উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে পেয়ে থাকি। তিনটি প্রাণীজ আমিষের নাম হলো—মাছ, মাংস, ডিম।
প্রশ্ন: রাতকানা রোগের কারণ কী?
উত্তর: সব ধরনের হলুদ ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। এসব শাকসবজি ও ফলমূল সঠিক পরিমাণে না খেলে দেহে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব দেখা দেয়। ফলে রাতকানা রোগ হয়। দেহে ভিটামিন ‘এ’-এর অধিক ঘাটতি হলে মানুষ অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন: রিকেটস রোগের লক্ষণগুলো লেখো।
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো—
১। শিশুরা হাঁটাচলায় অনীহা প্রকাশ করে।
২। হাঁড় শক্ত ও মজবুত হয় না।
৩। অনেক সময় শিশুদের হাড় বেঁকে যায়।
প্রশ্ন: খাদ্য কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমরা যা খাই, তা-ই খাদ্য। খাদ্য উপাদানের গুণাগুণ বিচার করে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন—শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্য। এ তিন ধরনের খাদ্য আমাদের দেহে গঠন, ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধি সাধন করে ও শক্তি জোগায়।
এ ছাড়া খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি হলো আরও তিন ধরনের খাদ্য উপাদান। এ উপাদানগুলো দেহকে রোগমুক্ত ও সবল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
# রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন: আমাদের দেহে পানি এত প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর: আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তা পরিপাকের জন্য পানি একটি অতি প্রয়োজনীয় ও প্রধান উপাদান। পানি খাবার হজম করতে ও দেহ থেকে ঘাম ও মূত্রের মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আমাদের দেহের সব কাজ পানি ছাড়া সঠিকভাবে চলে না। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তাতে প্রচুর পানি থাকে। তবে আমাদের প্রতিদিন ছয়-সাত গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। তাই বলা হয়, পানির অপর নাম জীবন।
প্রশ্ন: ভিটামিন কী? কোন ভিটামিনের অভাবে কী রোগ হয়, এর একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: ভিটামিন এক ধরনের খাদ্য উপাদান, যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন—ভিটামিন ‘এ’ ভিটামিন ‘বি’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ডি’, ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘কে’।
প্রশ্ন: শ্বেতসার, আমিষ ও স্নেহ উপাদানের কাজ লেখো।
উত্তর: শ্বেতসারের কাজ—১। শ্বেতসারজাতীয় খাবার দেহে শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা জোগায়।
২। শ্বেতসার কম খেলে দেহের ওজন কমে যায়, ক্ষুধা বাড়ে এবং বমির ভাব হয়।
৩। শ্বেতসার বেশি খেলে দেহে চর্বি জমে, মোটা হয়ে যায়।
আমিষের কাজ— ১। দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।
২। রক্তকণিকা উৎপাদনে অংশ নেয়। ৩। মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে।
স্নেহ উপাদানের কাজ— ১। স্নেহ উপাদান দেহে তাপ উৎপন্ন করে। ২। দেহে শক্তি জোগায়।
৩। চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন: মানবদেহে খনিজ লবণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
উত্তর: মানবদেহের গঠন ও সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে খনিজ লবণ। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে আমরা লবণ খাই। এ লবণকে খাদ্যলবণ বলে। খাদ্যলবণ ছাড়া আরও অনেক লবণ আছে, যা আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয়—তাদের খনিজ লবণ বলে। ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ডিম, কলিজা ও সামুদ্রিক মাছ থেকে লৌহ, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, সোডিয়াম ইত্যাদিতে খনিজ লবণ পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম লবণ পাওয়া যায় দুধ, মাংস, ডিম সবুজ শাকসবজি থেকে। এটি হাড় ও দাঁতের গঠন ও রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
লৌহলবণ পাওয়া যায় মাংস ডিম, কলিজা শাকসবজি থেকে। লৌহ রক্তের লোহিত কণিকা গঠন করে।
আয়োডিনযুক্ত লবণ পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ থেকে। আয়োডিনের অভাবে ‘গলগণ্ড’ রোগ হয়।
ফসফরাসযুক্ত লবণ মাংস, দুধ ও ডিম থেকে পাওয়া যায়। এটি হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।
সোডিয়াম লবণ হলো সাধারণ খাদ্যলবণ। এটি দেহের সজীবতা বৃদ্ধি করে, আড়ষ্টতা কাটায়।

1 comment:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete