প্রশ্ন : নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য : রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকি এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করে থাকি। নিচে নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হল-
সামাজিক অধিকার : নাগরিকের জীবন রক্ষার অধিকার দেয়। নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার দেয়। রাষ্ট্রের সর্বত্র অবাধে চলাফেরার অধিকার দেয়। শিক্ষালাভের অধিকার দেয়। নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। আইনের চোখে সমান অধিকার দেয়। সম্পত্তি ভোগের অধিকার দেয়।
রাজনৈতিক অধিকার : নাগরিকের নির্বাচিত হওয়ার অধিকার দেয়। সরকারের সমালোচনা করার অধিকার দেয়। রাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে বসবাসের অধিকার দেয়। সরকারি চাকরি লাভের অধিকার দেয়। ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার অধিকার দেয়। বিদেশে অবস্থানকালীন নিজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা লাভের অধিকার দেয়। ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়।
প্রশ্ন : নাগরিকের কেন কর প্রদান করা উচিত? কর প্রদান না করলে কী হবে?
উত্তর : নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার ভোগ করে। পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিককে রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। দেশের শাসন কাজ পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে রাষ্ট্র এই অর্থ সংগ্রহ করে। তাই রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নাগরিকের কর প্রদান করা উচিত।
নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে রূপ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন, তেমনি রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকেরও কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। সমাজে সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রয়োজন। নাগরিকদের জীবন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য রাষ্ট্রের অর্থের প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্র নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে অর্থ সংগ্রহ করে। তাই নিয়মিত কর প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কর প্রদান না করলে রাষ্ট্রের শাসন কাজ পরিচালনা করতে অসুবিধা হবে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।
প্রশ্ন : সুষ্ঠু নির্বাচনে নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? নাগরিক এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর : সুষ্ঠু নির্বাচনে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য : নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নরূপ-
১) নির্বাচনের মাধ্যমে সত্, ন্যায়পরায়ণ ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
২) প্রতিটি ভোটাধিকারপ্রাপ্ত নাগরিককে ভোট প্রদান করতে হবে।
৩) সততার সঙ্গে সকল নাগরিককে ভোট দিতে হবে।
৪) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রণীত সকল আইন মেনে চলতে হবে।
৫) নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
নাগরিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট সমস্যা : নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত না হলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাবে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। এতে দেশের ক্ষতি হয়। তাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।
উত্তর : নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য : রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকি এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করে থাকি। নিচে নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হল-
সামাজিক অধিকার : নাগরিকের জীবন রক্ষার অধিকার দেয়। নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার দেয়। রাষ্ট্রের সর্বত্র অবাধে চলাফেরার অধিকার দেয়। শিক্ষালাভের অধিকার দেয়। নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। আইনের চোখে সমান অধিকার দেয়। সম্পত্তি ভোগের অধিকার দেয়।
রাজনৈতিক অধিকার : নাগরিকের নির্বাচিত হওয়ার অধিকার দেয়। সরকারের সমালোচনা করার অধিকার দেয়। রাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে বসবাসের অধিকার দেয়। সরকারি চাকরি লাভের অধিকার দেয়। ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার অধিকার দেয়। বিদেশে অবস্থানকালীন নিজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা লাভের অধিকার দেয়। ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়।
প্রশ্ন : নাগরিকের কেন কর প্রদান করা উচিত? কর প্রদান না করলে কী হবে?
উত্তর : নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার ভোগ করে। পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিককে রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। দেশের শাসন কাজ পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে রাষ্ট্র এই অর্থ সংগ্রহ করে। তাই রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নাগরিকের কর প্রদান করা উচিত।
নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে রূপ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন, তেমনি রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকেরও কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। সমাজে সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রয়োজন। নাগরিকদের জীবন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য রাষ্ট্রের অর্থের প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্র নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে অর্থ সংগ্রহ করে। তাই নিয়মিত কর প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কর প্রদান না করলে রাষ্ট্রের শাসন কাজ পরিচালনা করতে অসুবিধা হবে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।
প্রশ্ন : সুষ্ঠু নির্বাচনে নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? নাগরিক এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর : সুষ্ঠু নির্বাচনে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য : নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নরূপ-
১) নির্বাচনের মাধ্যমে সত্, ন্যায়পরায়ণ ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
২) প্রতিটি ভোটাধিকারপ্রাপ্ত নাগরিককে ভোট প্রদান করতে হবে।
৩) সততার সঙ্গে সকল নাগরিককে ভোট দিতে হবে।
৪) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রণীত সকল আইন মেনে চলতে হবে।
৫) নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
নাগরিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট সমস্যা : নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত না হলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাবে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। এতে দেশের ক্ষতি হয়। তাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment