3.9.11

সমাজ: অধ্যায় ১২

প্রশ্ন-১ : সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর
ক) বখতিয়ার খিলজি প্রথমে ........ দখল করেন। উত্তর : নদীয়া
খ) হোসেন শাহের আমলে শ্রীচৈতন্য ........ ধর্ম প্রচার করেন। উত্তর : বৈষ্ণব
গ) মুর্শিদকুলী খান এ দেশের ...... সংস্কারের জন্য খ্যাতিমান। উত্তর : রাজস্ব
ঘ) মধ্যযুগে সাধারণ হিন্দুরা ধুতি ও ..... ব্যবহার করতেন। উত্তর : চাদর
ঙ) মধ্যযুগে বাংলার রকমারি ... কাপড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল। উত্তর : মসলিন

প্রশ্ন-২ : নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখ :
ক) বাংলায় মুসলিম শাসনের আগে মধ্যযুগের সূচনা ঘটে।    ‘অ’
খ) বাঙ্গালাহ নামটি ইলিয়াস শাহের সময়ে শুরু হয়।    ‘শু’
গ) ঈসা খাঁ সারা বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।    ‘অ’
ঘ) মধ্যযুগে বাংলার সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করেন।    ‘শু’
ঙ) মধ্যযুগে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে ঢাকার নাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।    ‘অ’
প্রশ্ন-৩ : বামপাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডানপাশের কথাগুলোর মিলকর :
উত্তর : ক) ইবনে বতুতা সোনারগাঁও আসেন-ফখরউদ্দিন মুবারক শাহের আমলে
খ) গ্রান্ড ট্রাংক রোড নির্মাণ করেন-শেরশাহ
গ) বাংলায় আফগান শাসনের অবসান ঘটান-সম্রাট আকবর
ঘ) কাবাব, রেজালা, কোরমা ইত্যাদি ছিল-মোগল যুগের খাবার
ঙ) মোগল আমলে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে-মুদ্রার প্রবর্তন হয়

প্রশ্ন-৪ : সঠিক উত্তর লেখ
১) শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ প্রথমে কোনটির ক্ষমতা দখল করেন?
ক) সাতগাঁও খ) সোনারগাঁও
গ) লখনৌতি ঘ) নদীয়া
উত্তর : লখনৌতি।
২) বাংলার বার ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কে ছিলেন?
ক) ঈসা খাঁ     খ) প্রতাপাদিত্য   
গ) কেদার রায় ঘ) ফতেহ খান
উত্তর : ঈসা খাঁ
৩) বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষকে পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে কে রক্ষা করেন?
ক) ইসলাম খান খ) মীর জুমলা
গ) শায়েস্তা খান ঘ) মুর্শিদকুলী খান।
উত্তর : শায়েস্তা খান
৪) কোনটি মধ্যযুগে মুসলমানদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল?
ক) টোল    খ) মক্তব    গ) মাদ্রাসা    ঘ) রাজদরবার। উক্তর : মক্তব
৫) কোন আমলে গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়?
ক) ইলিয়াস শাহী খ) হোসেন শাহী   
গ) সুলতানি  ঘ) মোগল।
উত্তর : মোগল।

প্রশ্ন-৫ : সংক্ষেপে উত্তর দাও
প্রশ্ন : বাংলায় কে এবং কীভাবে স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ। তিনি দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমলের সূচনা করেন। ১৩৩৮ সালে তিনি সোনারগাঁওয়ের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল ফখরা। তিনি একজন দক্ষ ও সুশাসক ছিলেন।
প্রশ্ন : বার ভূঁইয়া বলতে কী বোঝায়? বাংলায় বার ভূঁইয়াদের কয়েকজনের নাম লেখ?
উত্তর : ঐতিহাসিকগণ মনে করেন বার ভূঁইয়া বলতে মূলত বারজন জমিদারকে বোঝায় না, বরং ভূঁইয়া এবং তাদের নেতাসহ তেরজন ভূঁইয়াকেই বোঝানো হয়ে থাকে। মোগল শাসনামলে পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিম-উত্তরবঙ্গের বিশাল অঞ্চল একশ্রেণীর জমিদারদের অধিকার ছিল। তাদের অনেকেই মোগল শাসনকে মেনে নেননি। তারা নিজ নিজ অঞ্চলে স্বাধীনভাবে জমিদারি পরিচালনা করতেন। তাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী ছিল। ইতিহাসে এরাই বার ভূঁইয়া নামে পরিচিত।
বার ভূঁইয়াদের কয়েকজনের নাম : ঈসা খাঁ, রাজা প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, মুসা খাঁ, ফতেহ খান প্রমুখ। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলেন সোনারগাঁওয়ের ঈসা খাঁ ও তার পুত্র মুসা খাঁ।
প্রশ্ন : সুবাদার শায়েস্তা খানের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর : শায়েস্তা খানের গৃহীত পদক্ষেপ : ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেব শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বাংলার সুবাদার ছিলেন। রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কতকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-
১. শায়েস্তা খান ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম দখল করেন।
২. শায়েস্তা খানের সুবাদারির শেষদিকে তিনি ইংরেজদেরকে বাংলা সুবা থেকে বিতাড়িত করেন।
৩. শায়েস্তা খান সকল জিনিসপত্রের দাম সস্তা রাখার ব্যবস্থা করেন।
৪. সুবাদার শায়েস্তা খান পার্শ্ববর্তী রাজ্যের আক্রমণ হতে বাংলাকে রক্ষার পদক্ষেপ নেন।
৫. সুবা বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানুষের জানমাল রক্ষা এবং রাজ্যসীমা অক্ষুণ্ন রাখতে যোগ্য সেনাপতি নিয়োগ করেন।

No comments:

Post a Comment