প্রবন্ধ রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয় থেকে ‘আমার প্রিয় বই’ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করবো।
আমার প্রিয় বই
ভূমিকা: বর্ণ পরিচয়ের আগে মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। অনেক বইয়ের কাহিনি শুনেছি। পড়তে শেখার পর গল্পের বই পড়া আমার প্রায় নিত্যদিনের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে যেটুকু সময় পাই, তা আমি গল্পের বই পড়ে কাটাই। এ পর্যন্ত পড়া আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর টুন টুনির গল্প।
বইটির সঙ্গে পরিচয়: পরীক্ষা শেষে ভাবছিলাম কী করব। ঘরে যা বই আছে ভূত, পেত্নী, দৈত্য-দানবের কাহিনি ভরা সবই পড়া হয়ে গেছে। কার্টুনের বই কয়েকটা ছিল, তাও পড়া শেষ। এক দুপুরে এমনি ভাবনার সময় আব্বু অফিস থেকে ফিরে এসে আমার হাতে গুঁজে দিলেন ঝকঝকে মলাটের চম ৎ কার বই টুন টুনির গল্প।
ভালো লাগা গল্পটি: বইয়ের অনেকগুলো গল্পের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘টুন টুনি আর বিড়াল’ গল্পটির। যতদূর মনে পড়ে, গল্পটি ছিল এই রকম—এক গৃহস্থের ঘরের পেছনে বেগুনগাছে টুন টুনি পাখি বাসা বেঁধেছে। বাসার ভেতর তিনটি ছোট্ট ছানা হয়েছে। গৃহস্থের বিড়ালটা ছিল ভারি দুষ্ট। সে খালি ভাবে, টুন টুনির ছানা খাব। একদিন সে বেগুনগাছের তলায় এসে বলল, ‘কী করছিস টুন টুনি?’ টুন টুনি মাথা হেঁট করে বিড়ালকে বলল, ‘সালাম মহারানি।’ বিড়াল খুশি হয়ে চলে গেল। এমনি রোজ আসে বিড়াল টুন টুনি তাকে সালাম জানায় আর মহারানি বলে। এর মধ্যে টুন টুনির ছানাগুলো বড় হয়েছে। সুন্দর পাখা হয়েছে। একদিন টুন টুনি ছানাদের জিজ্ঞেস করল, ‘বাছা, তোরা উড়তে পারবি?’ ছানারা বলল, ‘হ্যাঁ মা, পারব!’ ছানারা তখনই উড়ে গিয়ে পাশের তালগাছে বসল। টুন টুনি খুশি হয়ে বলল, ‘এবার আসুক দুষ্ট বিড়াল।’ একটু পরেই বিড়াল এসে আগের মতো জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছিস টুন টুনি?’ টুন টুনি তখন পা উঠিয়ে ‘দূর হ, লক্ষ্মী ছাড়া বিড়াল।’ বলেই ফুড়ুত করে উড়ে পালাল। দুষ্ট বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে, মুখ উঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হলো। টুন টুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পারল না।
উপসংহার: টুন টুনির গল্প বই পড়ে যে আনন্দ ও দীক্ষা আমি পেয়েছি, সারা জীবন আমার কাছে তা এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।
অনুসরণে লেখা যায়: আমার প্রিয় গল্প, আমার জানা রূপকথা, একটি কল্পকাহিনি।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয় থেকে ‘আমার প্রিয় বই’ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করবো।
আমার প্রিয় বই
ভূমিকা: বর্ণ পরিচয়ের আগে মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। অনেক বইয়ের কাহিনি শুনেছি। পড়তে শেখার পর গল্পের বই পড়া আমার প্রায় নিত্যদিনের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে যেটুকু সময় পাই, তা আমি গল্পের বই পড়ে কাটাই। এ পর্যন্ত পড়া আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর টুন টুনির গল্প।
বইটির সঙ্গে পরিচয়: পরীক্ষা শেষে ভাবছিলাম কী করব। ঘরে যা বই আছে ভূত, পেত্নী, দৈত্য-দানবের কাহিনি ভরা সবই পড়া হয়ে গেছে। কার্টুনের বই কয়েকটা ছিল, তাও পড়া শেষ। এক দুপুরে এমনি ভাবনার সময় আব্বু অফিস থেকে ফিরে এসে আমার হাতে গুঁজে দিলেন ঝকঝকে মলাটের চম ৎ কার বই টুন টুনির গল্প।
ভালো লাগা গল্পটি: বইয়ের অনেকগুলো গল্পের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘টুন টুনি আর বিড়াল’ গল্পটির। যতদূর মনে পড়ে, গল্পটি ছিল এই রকম—এক গৃহস্থের ঘরের পেছনে বেগুনগাছে টুন টুনি পাখি বাসা বেঁধেছে। বাসার ভেতর তিনটি ছোট্ট ছানা হয়েছে। গৃহস্থের বিড়ালটা ছিল ভারি দুষ্ট। সে খালি ভাবে, টুন টুনির ছানা খাব। একদিন সে বেগুনগাছের তলায় এসে বলল, ‘কী করছিস টুন টুনি?’ টুন টুনি মাথা হেঁট করে বিড়ালকে বলল, ‘সালাম মহারানি।’ বিড়াল খুশি হয়ে চলে গেল। এমনি রোজ আসে বিড়াল টুন টুনি তাকে সালাম জানায় আর মহারানি বলে। এর মধ্যে টুন টুনির ছানাগুলো বড় হয়েছে। সুন্দর পাখা হয়েছে। একদিন টুন টুনি ছানাদের জিজ্ঞেস করল, ‘বাছা, তোরা উড়তে পারবি?’ ছানারা বলল, ‘হ্যাঁ মা, পারব!’ ছানারা তখনই উড়ে গিয়ে পাশের তালগাছে বসল। টুন টুনি খুশি হয়ে বলল, ‘এবার আসুক দুষ্ট বিড়াল।’ একটু পরেই বিড়াল এসে আগের মতো জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছিস টুন টুনি?’ টুন টুনি তখন পা উঠিয়ে ‘দূর হ, লক্ষ্মী ছাড়া বিড়াল।’ বলেই ফুড়ুত করে উড়ে পালাল। দুষ্ট বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে, মুখ উঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হলো। টুন টুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পারল না।
উপসংহার: টুন টুনির গল্প বই পড়ে যে আনন্দ ও দীক্ষা আমি পেয়েছি, সারা জীবন আমার কাছে তা এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।
অনুসরণে লেখা যায়: আমার প্রিয় গল্প, আমার জানা রূপকথা, একটি কল্পকাহিনি।
nice
ReplyDeleteHninihubu
ReplyDelete