10.9.11

সমাজ ও বিজ্ঞান

বিজ্ঞান
প্রশ্ন : তথ্য যোগাযোগের একটি উদাহরণ দাও
উত্তর : আমাদের একজন বন্ধু গতকাল স্কুলে আসেনি। আমাদের শ্রেণীশিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, সে আসেনি কেন? আমি বললাম, গতকাল তার মামার বিয়ে ছিল। তাই সে আসেনি। এই যে শিক্ষক আমাকে আমার বন্ধু না আসার কারণ জানতে চাইলেন আর আমি তার না আসার কারণ বললাম- এই দুটাই হল তথ্য। পৃথিবীতে নানা রকম তথ্য রয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবারই তথ্যের দরকার হয়।
প্রশ্ন : কম্পিউটার নামটি কীভাবে এসেছে?
উত্তর : কম্পিউটার নামটি এসেছে কম্পিউট শব্দটি থেকে। 'কম্পিউট' শব্দের অর্থ হল হিসাব-নিকাশ। প্রথম যখন কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল, তখন সেটা আসলে হিসাব করার জন্যই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারকে বহুবিধ কাজে ব্যবহার করা হলেও এর প্রথম ও প্রধান কাজই হল হিসাব-নিকাশ করা।
সুতরাং কম্পিউটার নামটি এর প্রথম কাজ হিসাব-নিকাশ বা কম্পিউট শব্দ থেকে এসেছে।
প্রশ্ন : ইন্টারনেট কাকে বলে?
উত্তর : ইন্টারনেট : ইন্টার+নেট=ইন্টারনেট। ইন্টার শব্দের অর্থ ভেমের আর নেট অর্থ জাল। এই পৃথিবীর ভেতরের নানা দেশের সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদান করা তথা যোগাযোগ রক্ষার জন্য এক কম্পিউটার জাল বুননের মতো একে অপরের সঙ্গে গড়ে তুলেছে এক বিশাল নেটওয়ার্ক। বিশ্বজোড়া লাখ লাখ কম্পিউটারের এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করার এই প্রক্রিয়াটির নাম ইন্টারনেট। তথ্য পাঠানো এবং গ্রহণের জন্য এটিই হচ্ছে সবচেয়ে চমকপ্রদ পদ্ধতি।
প্রশ্ন : বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য যোগাযোগ এত প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর : কোন বিষয় সম্পর্কে খবরাখবর হচ্ছে তথ্য। পৃথিবীতে নানা রকম তথ্য রয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবারই তথ্যের দরকার হয়। যেমন-
* একজন কৃষকের চাষাবাদ নিয়ে নানা তথ্যের দরকার হয়।
* একজন শ্রমিকের কল-কারখানা নিয়ে নানা তথ্যের দরকার হয়।
* একজন ডাক্তারের রোগব্যাধি এবং তার চিকিৎসা নিয়ে নানা তথ্যের দরকার হয়।
* একজন শিক্ষক বা ছাত্রকে লেখাপড়ার নানা তথ্যের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে তথ্যের বিনিময় হয়।
* পশুপাখি বা কীটপতঙ্গের অনেক সময় একে অন্যের সঙ্গে ভাববিনিময় করার জন্য তাদের তথ্য যোগাযোগ প্রয়োজন।
* যে প্রাণীর বুদ্ধিবৃত্তি যত উঁচু সে প্রাণীর তথ্যগুলো তত বেশি জটিল। সেই তথ্যবিনিময় করার জন্য তারা শুধু শারীরিক কর্মকা-ের ওপর নির্ভর করে নেই, মানুষ তথ্য যোগাযোগের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে।
তথ্য যোগাযোগ তথা তথ্যপ্রযুক্তির এই ব্যাপক চাহিদার জন্য আধুনিক পৃথিবী হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির পৃথিবী। যে জাতি যত সহজে এবং যত তাড়াতাড়ি একে অন্যের সঙ্গে তথ্যবিনিময় করতে পারবে সেই জাতি তত দ্রুত সামনে এগিয়ে যাবে।
সুতরাং, আজকের এই ওঞ-এর যুগে প্রত্যেক মানুষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, নানা তথ্য সংগ্রহ করে জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তথা বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য তথ্য যোগাযোগ প্রয়োজন। আর দিন দিন এই ক্ষেত্রটিকে সমৃদ্ধ করার নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাই আমাদের জীবনে তথ্য যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক।


পরিবেশ পরিচিতি সমাজ
প্রশ্ন : ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কারা?
উত্তর : ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী : বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এমন কিছু জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা প্রাচীনকাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া ভূমিতে উত্তরাধিকার সূত্রে বসবাস করছে, নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি এবং আরও অনেক বৈশিষ্ট্য আছে যা অন্য জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা, তাদের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বলে। বাংলাদেশে এরূপ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী রয়েছে। যেমন_ চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, মণিপুরী, মুরং ইত্যাদি।
প্রশ্ন : গারোরা কোথায় কোথায় বসবাস করে?
উত্তর : গারো : বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গারো অন্যতম।
বসবাস : ১. গারোদের অধিকাংশই ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলায় বসবাস করে। ২. ঢাকা জেলার উত্তরাঞ্চল, রংপুর জেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং সিলেটের চা বাগানে ও সুনামগঞ্জে কিছুসংখ্যক গারো বাস করে। ৩. গারোরা পাহাড় এবং সমতল উভয়অঞ্চলেই বাস করে। পাহাড়ে যারা বাস করে তাদের বলা হয় আচ্ছিক। আর সমতলে যারা বাস করে তারা লামদানি নামে পরিচিত।
সুতরাং, গারোরা উপজাতি হলেও তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ে ও সমতলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাস করছে।
প্রশ্ন : খাসিয়াদের প্রধান প্রধান খাদ্য কী কী?
উত্তর : খাসিয়া : বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজাতির মধ্যে খাসিয়া অন্যতম। এরা বাংলাদেশে প্রধানত সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে।
খাদ্য : খাসিয়াদের প্রধান প্রধান খাদ্য নিচে দেয়া হল_
১. খাসিয়াদের প্রধান খাদ্য ভাত।
২. মাংস তাদের খুবই পছন্দের খাবার। তারা প্রায় সব ধরনের পশু ও পাখির মাংস খায়।
৩. পান-সুপারি খাসিয়াদের খুব প্রিয়। মেহমান এলে প্রথমে তারা পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়ন করে।
৪. মধু খেতেও তারা খুব পছন্দ করে।
সুতরাং, খাসিয়ারা বিভিন্ন ধরনের খাবার খায়।

No comments:

Post a Comment