প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর পড়াশোনায় তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমাদের আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অধ্যায়-৩।
# শূন্যস্থান পূরণ করো
১। প্রশ্ন: কেবলমাত্র∏জীবের অসি্তত্ব রয়েছে।
উত্তর: কেবলমাত্র পৃথিবীতে জীবের অসি্তত্ব রয়েছে।
২। প্রশ্ন: যে গ্রহে প্রাণের খঁোজ পাওয়া গেছে, তার নাম ∏।
উত্তর: যে গ্রহে প্রাণের খঁোজ পাওয়া গেছে, তার নাম পৃথিবী।
৩। প্রশ্ন: পৃথিবীর তাপ ও আলোর মূল উৎস হচ্ছে ∏।
উত্তর: পৃথিবীর তাপ ও আলোর মূল উৎস হচ্ছে সূর্য।
৪। প্রশ্ন: উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বছরের অধিকাংশ সময় ∏ ঢাকা থাকে।
উত্তর: উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বছরের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে।
৫। প্রশ্ন: মরুভূমিতে দিনে খুব ∏ ও রাতে খুব ∏ পড়ে।
উত্তর: মরুভূমিতে দিনে খুব গরম ও রাতে খুব ঠান্ডা পড়ে।
৬। জীবের বঁেচে থাকার জন্য ∏ ও ∏ খুবই দরকার।
উত্তর: জীবের বঁেচে থাকার জন্য তাপ ও আলো খুবই দরকার।
৭। প্রশ্ন: পৃথিবীর সব প্রাণীকে নিয়ে বৈচিতর্্যময় ∏ গঠিত।
উত্তর: পৃথিবীর সব প্রাণীকে নিয়ে বৈচিতর্্যময় প্রাণিজগৎ গঠিত।
৮। প্রশ্ন: তিমি ∏ দিয়ে শ্বাসকাজ সম্পন্ন করে।
উত্তর: তিমি ফুসফুস দিয়ে শ্বাসকাজ সম্পন্ন করে।
৯। প্রশ্ন: বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি ∏ প্রাণী।
উত্তর: বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি বৃক্ষবাসী প্রাণী।
১০। প্রশ্ন: মেরুদণ্ডের চাকতির মতো ছোট ছোট হাড়কে ∏ বলে।
উত্তর: মেরুদণ্ডের চাকতির মতো ছোট ছোট হাড়কে কশেরুকা বলে।
১১। প্রশ্ন: তেলাপোকা একটি ∏ প্রাণী।
উত্তর: তেলাপোকা একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
১২। প্রশ্ন: ∏ পোকার গুটি থেকে আমরা রেশম পাই।
উত্তর: রেশম পোকার গুটি থেকে আমরা রেশম পাই।
১৩। প্রশ্ন: ব্যাঙ ∏ প্রাণী।
উত্তর: ব্যাঙ উভচর প্রাণী।
১৪। প্রশ্ন: ব্যাঙের ছোট অবস্থায় ∏ থাকে।
উত্তর: ব্যাঙের ছোট অবস্থায় ফুলকা থাকে।
১৫। প্রশ্ন: প্রজাপতি, চিংড়ি, কঁেচো, মেৌমাছি ∏ প্রাণী।
উত্তর: প্রজাপতি, চিংড়ি, কঁেচো, মেৌমাছি অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
১৬। প্রশ্ন: টিকটিকি, কুমির ∏ জাতীয় প্রাণী।
উত্তর: টিকটিকি, কুমির সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী।
১৭। প্রশ্ন: মেৌমাছির মেৌচাক থেকে ∏ সংগ্রহ করা হয়।
উত্তর: মেৌমাছির মেৌচাক থেকে মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়।
১৮। প্রশ্ন: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে, তাদের ∏ বলা হয়।
উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে, তাদের সরীসৃপ বলা হয়।
১৯। প্রশ্ন: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে যাদের পালক আছে তাদের ∏ বলে।
উত্তর: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে যাদের পালক আছে তাদের পাখি বলে।
২০। প্রশ্ন: মরুভূমিতে উট ও ∏ সাদা ভালুক বাস করে।
উত্তর: মরুভূমিতে উট ও মেরু অঞ্চলে সাদা ভালুক বাস করে।
# সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো:
১। প্রশ্ন: কোনটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী?
ক. তিমি খ. কই মাছ গ. চিংড়ি ঘ. শুশুক।
উত্তর: গ. চিংড়ি।
২। প্রশ্ন: চামচিকা ও বাদুড়কে কেন স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়?
ক. পোকামাকড় খায় খ. উড়তে পারে
গ. মায়ের কাছে থাকে ঘ. মায়ের দুধ খায়।
উত্তর: ঘ. মায়ের দুধ খায়।
৩। প্রশ্ন: মেরু অঞ্চলের পশুদের দেহ উষ্ঞ থাকে কেন?
ক. বিরাট আকারের হওয়ায় খ. সহজে শিকার ধরে খায় গ. দেহের ত্বকের নিচে পুরু চর্বি স্তর থাকায়
ঘ. দেহ লোমে ঢাকা।
উত্তর: গ. দেহের ত্বকের নিচে পুরু চর্বি স্তর থাকায়।
৪। প্রশ্ন: কোন প্রাণীটি ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
ক. কাক খ. মাছ গ. গরু ঘ. সাপ।
উত্তর: খ. মাছ।
৫। প্রশ্ন: নিচের কোনগুলো উপকারী পতঙ্গ?
ক. মৌমাছি ও উইপোকা খ. উইপোকা ও রেশম পোকা
গ. রেশম পোকা ও মৌমাছি ঘ. তেলাপোকা ও রেশম পোকা।
উত্তর: গ. রেশম পোকা ও মৌমাছি।
৬। প্রশ্ন: প্রজাপতি ও চিংড়িকে কেন অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়?
ক. সোজা হয়ে চলতে পারে খ. মেরুদণ্ড নেই গ. উড়তে পারে ঘ. আকারে ছোট।
উত্তর: খ. মেরুদণ্ড নেই।
৭। প্রশ্ন: পতঙ্গের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক. তিন জোড়া পা ও দুইজোড়া ডানা আছে খ. উড়তে পারে না
গ. দুই জোড়া পা ও দুই জোড়া ডানা আছে ঘ. মেরুদণ্ড নেই।
উত্তর: ক. তিন জোড়া পা ও দুইজোড়া ডানা আছে।
৮। প্রশ্ন: কোনটি একমাত্র গ্রহ, যেখানে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেছে?
ক. মঙ্গল খ. পৃথিবী গ. বুধ ঘ. বৃহস্পতি।
উত্তর: খ. পৃথিবী।
৯। প্রশ্ন: অনেকগুলো হাড় একটার পর একটা সজ্জিত হয়ে কী গঠিত হয়?
ক. কশেরুকা খ. ডিওডেনাম গ. মেরুদণ্ড ঘ. পাকস্থলী।
উত্তর: গ. মেরুদণ্ড।
১০। প্রশ্ন: তিমি কোন শ্রেণীর প্রাণী?
ক. মৎস্য খ. স্তন্যপায়ী গ. উভচর ঘ. সরীসৃপ।
উত্তর: খ. স্তন্যপায়ী।
১১। প্রশ্ন: কোনটি মাছ নয়?
ক. রুই খ. কাতল গ. পাবদা ঘ. চিংড়ি।
উত্তর: ঘ. চিংড়ি।
১২। প্রশ্ন: কোনটি মেরুদণ্ডী প্রাণী?
ক. চিংড়ি খ. কাঁকড়া গ. তেলাপোকা ঘ. রুই মাছ।
উত্তর: ঘ. রুই মাছ।
# শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো:
১। পৃথিবীপৃষ্ঠের সব জায়গায় সূর্যের আলো সমানভাবে পড়ে —‘অশুদ্ধ’
২। ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন প্রাণী বাস করে—‘শুদ্ধ’
৩। জীবনধারণের জন্য পরিবেশ উপযোগী স্বভাব ও শারীরবৃত্তিক পরিবর্তনকে অভিযোজন বলে।—‘শুদ্ধ’
৪। প্রতিকূল পরিবেশে বাঁচার জন্য অভিযোজন একান্ত জরুরি—‘শুদ্ধ’
৫। মরুভূমিতে দিনে খুব গরম ও রাতে খুব ঠান্ডা পড়ে—‘শুদ্ধ’
৬। উট ও সাদা ভালুক পৃথিবীর যেকোনো পরিবেশে দেখা যায়—‘অশুদ্ধ’
৭। সাদা ভালুকের দেহ দীর্ঘ সাদা ঘন লোমে ঢাকা থাকে—‘শুদ্ধ’
৮। উট কম পানি খেয়ে বাঁচতে পারে—‘শুদ্ধ’
৯। দেহের পিঠের মাঝ বরাবর শক্ত দম্ভকে কশেরুকা বলে—‘অশুদ্ধ’
১০। চিংড়ি মেরুদণ্ডী প্রাণী—‘অশুদ্ধ’
১১। কুমির স্তন্যপায়ী প্রাণী—‘অশুদ্ধ’
১২। ব্যাঙাচি ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়—‘শুদ্ধ’
১৩। ব্যাঙ ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়—‘শুদ্ধ’
১৪। মৌমাছির মৌচাক থেকে আমরা মধু ও মোম পাই—‘শুদ্ধ’
১৫। সরীসৃপ প্রাণী লাফিয়ে লাফিয়ে চলে—‘অশুদ্ধ’
১৬। তিমি ও শুশুকের ফুলকা নেই—‘শুদ্ধ’
১৭। মশা ও মাছি উপকারী পতঙ্গ—‘অশুদ্ধ’
১৮। গাছে বাস করা প্রাণীকে বৃক্ষবাসী প্রাণী বলে—‘শুদ্ধ’
১৯। তিমি ও শুশুক স্তন্যপায়ী প্রাণী—‘শুদ্ধ’
২০। তিমি মাছ আসলে মাছ নয়—‘শুদ্ধ’
# সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
প্রশ্ন: তিনটি ক্ষতিকর পতঙ্গের নাম লেখো। এগুলো আমাদের কী কী ক্ষতি করে?
উত্তর: তিনটি ক্ষতিকর পতঙ্গ হলো, উইপোকা, তেলাপোকা, মশা।
উইপোকা ঘরের বইপত্র, কাগজ, কাপড় ও আসবাবের ক্ষতিসাধন করে। তেলাপোকা খাদ্যদ্রব্য নোংরা করে, কাপড়চোপড় বই-খাতা কেটে নষ্ট করে। মশা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ইত্যাদি রোগ ছড়ায়।
প্রশ্ন: কোন ধরনের প্রাণীকে সরীসৃপ বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে তাদের সরীসৃপ বলে। যেমন: সাপ, কুমির, টিকটিকি ইত্যাদি।
প্রশ্ন: অভিযোজন কাকে বলে? কোনো প্রাণী পানিতে অভিযোজিত হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: প্রতিটি প্রাণী তার নিজ পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকে ও বংশ বিস্তার করে। পরিবেশের কোনো পরিবর্তন ঘটলে প্রাণীর স্বভাব ও দৈহিক গঠনে নানারূপ পরিবর্তন ঘটে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীর নিজেকে এভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে অভিযোজন বলে।
কোনো প্রাণী পানিতে অভিযোজিত হওয়ার পেছনে কতগুলো কারণ থাকে। যেমন, তিমি মাছ নয়, এটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। তিমি যেসব কারণে পানিতে অভিযোজিত হয়, সেগুলো হলো—
১. তিমির সামনে ও পেছনের পা পরিবর্তিত হয়ে পাখনার মতো অঙ্গ সৃষ্টি হয়।
২. এদের লেজ নৌকার হালের মতো কাজ করে।
৩. নাকের ছিদ্র মাথার ওপরের দিকে থাকায় বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে সুবিধা হয়।
৪. ফুসফুসের সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবে থাকতে পারে।
প্রশ্ন: মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: মেরুদণ্ডী প্রাণী: যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদণ্ড থাকে তাকে মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। অনেকগুলো গোল গোল চাকতির মতো হাড় একটার পর একটা সজ্জিত হয়ে সৃষ্টি হয় মেরুদণ্ড।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর উদাহরণ, যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, মাছ ইত্যাদি।
অমেরুদণ্ডী প্রাণী: যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদণ্ড নেই, তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন: কেঁচো, চিংড়ি, প্রজাপতি, তেলাপোকা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: কী কী কারণে মানুষ প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচিত হয়?
উত্তর: মানুষ প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কারণ নিম্নরূপ—
১। সব প্রাণীর চেয়ে মানুষের মস্তিষ্ক উন্নত।
২। মানুষের কথা বলার ক্ষমতা আছে, অন্য প্রাণীর তা নেই।
৩। মানুষ ভাবের আদান-প্রদান করতে পারে, অন্য প্রাণী তা পারে না।
৪। মানুষের ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে, অন্য প্রাণীর তা নেই।
৫। মানুষ বিবেক সম্পন্ন, প্রাণী নির্বোধ।
প্রশ্ন: ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর: যেসব প্রাণী জলে ও স্থলে উভয় স্থানে বসবাস করতে পারে তাদের উভচর প্রাণী বলে। ব্যাঙ জীবনের প্রথম অবস্থায় পানিতে থাকে, ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। আবার পরিণত বয়সে এরা ডাঙায় বাস করে এবং ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। জলে ও স্থলে উভয় স্থানে বসবাস করে বলে ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয়।
# রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন: মৎস্য শ্রেণীভুক্ত প্রাণীদের বৈশিষ্টগুলো কী?
উত্তর: সব ধরনের মাছ মৎস্য শ্রেণীভুক্ত প্রাণী। এদের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—
১। পানিতে সাঁতার কাটার জন্য এদের পাখনা আছে।
২। এরা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
৩। অধিকাংশ মাছের দেহে আঁশ থাকে, কিছু মাছের দেহে আঁশ থাকে না।
৪। মাছ ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
যেমন: রুই, কাতলা, শিং, মাগুর, কই ও পাবদা।
প্রশ্ন: কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে সাদা ভালুক মেরু এলাকায় অভিযোজিত হয়েছে উল্লেখ করো।
উত্তর: পরিবেশের কোনো পরিবর্তন ঘটলে প্রাণীর স্বভাব ও দৈহিক গঠনে নানারূপ পরিবর্তন ঘটে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার নামই অভিযোজন। মেরু অঞ্চলে সাদা ভালুকের অভিযোজিত হওয়ার কারণ হলো—
১। এদের দেহ দীর্ঘ ঘন লোমে আবৃত থাকে।
২। সাদা ভালুকের চামড়ার নিচে পুরু চর্বির স্তর থাকে বলে এদের দেহে তাপ ধারণক্ষমতা বেশি হয়, ফলে দেহ উষ্ণ থাকে।
৩। এদের দেহে সাদা রঙের লোম থাকায় এদের সাদা বরফের মাঝে সহজে চিহ্নিত করা যায় না। ফলে এরা সহজে শিকারে পরিণত হয় না। এভাবে শত্রুর হাত থেকে এরা রক্ষা পায়।
প্রশ্ন: কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে মাছ পানিতে বাস করে?
উত্তর: মাছ একটা জলজ প্রাণী। নিচের বৈশিষ্টগুলোর কারণে মাছ পানিতে বাস করে—
১। মাছের মাথা ও লেজের দিক সরু এবং দেহের মধ্যভাগ চওড়া। পানিতে সাঁতার কাটার সময় পানির গতিরোধ করার জন্য দেহের গঠন এ রকম হয়েছে।
২। সাঁতার কাটার জন্য পাখনা আছে, ফলে মাছ পানিতে দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
৩। এদের ফুসফুস নেই। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। ফুলকার সাহায্যে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে ও কার্বন-ডাই অক্সাইড ত্যাগ করতে পারে, ফলে পানিতে ডুবে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না।
প্রশ্ন: মরুভূমির প্রাণীদের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে?
উত্তর: মরুভূমিতে দিনে খুব গরম ও রাতে খুব ঠান্ডা পড়ে। মরুভূমির এ ভিন্ন পরিবেশের ফলে সেখানকার প্রাণীদের মধ্যেও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যেমন—
১। মরুভূমির প্রাণীরা খুব কম পানি পান করে বেঁচে থাকতে পারে।
২। অনেক প্রাণী পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য পেটে পানি জমিয়ে রাখতে পারে। যেমন—উট।
৩। মরু এলাকায় প্রাণীরা তীব্র গরম সহ্য করতে পারে।
৪। মরুভূমির প্রাণীরা প্রয়োজনে নাকের ছিদ্র বন্ধ করে ধূলিঝড় থেকে আত্মরক্ষা করে থাকে।
৫। মরুভূমির প্রাণীদের পা ও গলা লম্বা হয়, ফলে দেহ বালি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে থাকে। ফলে বালির তাপ দেহে কম পৌঁছায়।
৬। লম্বা পা দিয়ে এরা দ্রুত দৌড়াতে পারে।
very good job sir,i hope that student benifitted visit this site
ReplyDelete