3.9.11

সমাজ: অধ্যায়১১

প্রশ্ন : কে সোমপুর মহাবিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : পাল রাজা ধর্মপাল সোমপুর মহাবিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন : সোমপুর মহাবিহারে উল্লেখযোগ্য কী কী নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর : সোমপুর মহাবিহারের চারদিকে রয়েছে ১৭৭টি আবাসিক কক্ষ, বিস্তৃত প্রবেশপথ, ছোটখাটো অনেক স্তূপ ও মন্দির। এ ছাড়া এখানকার অন্যান্য প্রত্নতাত্তি্বক ধ্বংসাবশেষের মধ্যে স্নানঘাট, গন্ধেশ্বরীর মন্দির ও সত্যপীর ভিটা উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন : পাহাড়পুরে খননকাজ করে প্রাপ্ত নিদর্শন কী কী তথ্য প্রদান করে?
উত্তর : পাহাড়পুরে খননকাজ করে প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে ওই অঞ্চলের প্রাচীন বৌদ্ধ ও হিন্দুসমাজের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতির তথ্য পাওয়া যায়। ধ্বংসাবশেষ থেকে মনে হয়, সমাজে ধর্মের বেশ প্রভাব ছিল।
প্রশ্ন : সোনারগাঁ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ইতিহাসখ্যাত সোনারগাঁ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এর অবস্থান।
প্রশ্ন : কোথা থেকে সোনারগাঁ নামের উদ্ভব?
উত্তর : প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকে মুসলিম আমলে সোনারগাঁ নামের উদ্ভব।
প্রশ্ন : কখন থেকে সোনারগাঁ একটি বাণিজ্য শহর হিসেবে গড়ে ওঠে?
উত্তর : চৌদ্দ শতকের শুরু থেকে সোনারগাঁ একটি বাণিজ্য শহর হিসেবে গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন : বিভিন্ন পর্যটকের বিবরণী থেকে সোনারগাঁ সম্পর্কে কী কী জানা যায়?
উত্তর : বিভিন্ন পর্যটকের বিবরণী থেকে সোনারগাঁয়ের সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক কর্মকা-ের কথা জানা যায়। এখানকার খাস মসলিনের খ্যাতি ছিল জগৎজুড়ে। এ ছাড়া ইসলামিক শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবেও সোনারগাঁয়ের সুনাম ছিল।
প্রশ্ন : কার শাসনামলে সোনারগাঁ রাজধানী ছিল?
উত্তর : বাংলার বার ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁ ও তার পুত্র মুসা খাঁর শাসনামলে সোনারগাঁ রাজধানী ছিল।
প্রশ্ন : কেন সোনারগাঁকে ভাটি অঞ্চল বলা হতো?
উত্তর : নিচু এলাকা বলে তখন সোনারগাঁকে ভাটি অঞ্চল বলা হতো।
প্রশ্ন : সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ স্থানের নাম লেখ।
উত্তর : সোনারগাঁ অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ স্থান। বর্তমান নিদর্শনগুলো হচ্ছে সুলতানি ও মোগল আমলের অনেক ধর্মীয় ইমারত, মোগল আমলের কয়েকটি সেতু আর ইংরেজ আমলের কিছু আবাসিক ভবন। এ ছাড়া বিভিন্ন দিঘি, মসজিদ, দরগাহ, মঠ, সরদার বাড়ি, পানাম নগরের আবাসিক ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ, গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : কীভাবে সোনারগাঁ তার পূর্ব গৌরব হারিয়ে ফেলে?
উত্তর : ১৬১০ সালে ঢাকা নগর প্রতিষ্ঠার পর থেকে সোনারগাঁ তার প্রাধান্য হারাতে থাকে। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে সোনারগাঁ তার পূর্ব গৌরব হারিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন : কবে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
উত্তর : ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গ কোন আমলে নির্মিত হয়?
উত্তর : মোগল আমলে শাহজাদা আজম শাহ ও সুবাদার শায়েস্তা খানের সময় নির্মিত হয় লালবাগ দুর্গ।
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন লালবাগ দুর্গ। পুরান ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি অসম্পূর্ণ প্রাসাদ দুর্গ।
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গে কী কী ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে?
উত্তর : কারুকাজ খচিত প্রাচীন ফটক ছাড়াও লালবাগ দুর্গে রয়েছে দরবার হল, মসজিদ, মোগল সুবাদার শায়েস্তা খানের কন্যা পরিবিবির সমাধিসৌধ ও পুকুর। পরিবিবির সমাধিসৌধটি মোগল স্থাপত্যকলার একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন। সমাধিসৌধের মাঝখানে অবস্থিত কবরটি মার্বেল পাথর দিয়ে বাঁধানো। ওপরে রয়েছে লতা-পাতার নকশা।
প্রশ্ন : সাম্প্রতিককালে নরসিংদীর কোন স্থানে
বাংলার প্রাচীন নগরসভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত
হয়েছে?
উত্তর : সাম্প্রতিককালে নরসিংদীর ওয়ারি-বটেশ্বরে বাংলার প্রাচীন নগরসভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment