প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য পরিবেশ পরিচিতি সমাজ থেকে ধারাবাহিক ভাবে অধ্যায়ভিত্তিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আলোচনা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির অধিকারগুলোকে বলা হয় —।
উত্তর: মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির অধিকারগুলোকে বলা হয় মানবাধিকার।
খ) কাউকে খেয়াল-খুশিমতো — ও আটক করা যাবে না।
উত্তর: কাউকে খেয়াল খুশিমতো গ্রেপ্তার ও আটক করা যাবে না।
গ) প্রত্যেকের চিন্তার ও নিজ নিজ — পালনের অধিকার আছে।
উত্তর: প্রত্যেকের চিন্তার ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার আছে।
ঘ) সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানবাধিকারের — নেই।
উত্তর: সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানবাধিকারের বিকল্প নেই।
ঙ) অন্যের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ করা থেকে — থাকব।
উত্তর: অন্যের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকব।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো:
ক) সমাজের সব মানুষের মানবাধিকার ভোগের অধিকার আছে।—‘শু’
খ) সবার বিশ্রাম ও অবসর-বিনোদনের অধিকার আছে।—‘শু’
গ) সব মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন।—‘শু’
ঘ) যৌতুক একটি ভালো সামাজিক প্রথা।—‘অ’
ঙ) আমরা সবাই মানবাধিকারকে সম্মান করব।—‘শু’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো:
উত্তর: ক) মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষিত — ১০ ডিসেম্বর।
খ) বিশ্ব শিশুশ্রমবিরোধী দিবস — ১২ জুন।
গ) বিশ্ব নারী দিবস — ৮ মার্চ।
ঘ) মানুষ হিসেবে ব্যক্তির অধিকার — মানবাধিকার।
ঙ) বর্তমানে যৌতুক একটি — সামাজিক ব্যাধি।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো:
১) নিজস্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা প্রত্যেকের কী ধরনের অধিকার?
ক) জন্মগত খ) মৌলিক গ) রাষ্ট্রীয় ঘ) মানবিক।
উত্তর: মৌলিক
২) কোনটি মানবাধিকার নয়?
ক) নিরাপত্তা লাভের অধিকার খ) সম্পত্তির অধিকার
গ) সমান মর্যাদার অধিকার
ঘ) কাউকে আটক করার অধিকার
উত্তর: কাউকে আটক করার অধিকার
৩) আমাদের দেশের কোন দলিলে মানবাধিকার স্বীকৃত হয়েছে?
ক) সংবিধান খ) শিক্ষানীতি
গ) জাতীয় শিশুনীতি ঘ) পরিবেশনীতি
উত্তর: সংবিধান
৪) আমাদের দেশে শিশুশ্রমের প্রধান কারণ কী?
ক) অসচেতনতা খ) লেখাপড়ার অনীহা
গ) শিশুশ্রমের সুযোগ ঘ) দারিদ্র্য
উত্তর: দারিদ্র্য
৫) এসিড নিক্ষেপের ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি কী?
ক) মৃত্যুদণ্ড খ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গ) সশ্রম কারাদণ্ড ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: মৃত্যুদণ্ড
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) মানবাধিকার কী? সবার কি এগুলো ভোগের অধিকার আছে?
উত্তর: সুন্দর জীবনযাপনের জন্য এ সবকিছুই আমাদের অধিকার। এ রকম আরও নানা অধিকার রয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-বয়স-লিঙ্গনির্বিশেষে সবাই এসব অধিকার ভোগ করতে পারে। মানুষ হিসেবে ব্যক্তির এসব অধিকারকেই বলা হয় মানবাধিকার। স্বাধীন, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানবাধিকারের বিকল্প নেই। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা এই অধিকারগুলো পেয়ে থাকি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য। সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে তাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র’কে সম্মান করে। তাই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল নিশ্চিত করার জন্য সরকার তৈরি করেছে বিভিন্ন আইন। যেমন—শিশু অধিকার আইন, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, শিশু ও নারী নির্যাতন রোধ আইন ইত্যাদি। দেশের সব নাগরিকের এসব অধিকার ভোগ করার অধিকার আছে।
খ) মানবাধিকারের কয়েকটি সুবিধা লেখো।
উত্তর: মানবাধিকারের কয়েকটি সুবিধা নিম্নরূপ—
১. সবার সমান মর্যাদা পাওয়ার অধিকার ও ভোগের অধিকার রয়েছে।
২. স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার।
৩. বিচার লাভের অধিকার।
৪. কাউকে খেয়াল-খুশিমতো গ্রেফতার ও আটক করা যাবে না।
৫. নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার।
৬. প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার।
৭. কাউকে নির্যাতন ও অত্যাচার করা যাবে না।
গ) মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে কী অসুবিধার সৃষ্টি হবে?
উত্তর: মানুষের মানবাধিকার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সবার দায়িত্ব হলো সমাজে মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। সমাজে মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে নিম্নোক্ত অসুবিধার সৃষ্টি হয়—
১. শিশুশ্রম বেড়ে যায়।
২. নারী ও শিশু পাচার বৃদ্ধি পায়।
৩. এসিড নিক্ষেপ বেড়ে যায়।
৪. সাম্প্রদায়িকতা ও যৌতুকের প্রবণতা বেড়ে যায়।
৫. মানুষের মর্যাদা নষ্ট হয়।
৬. মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা কমে যায়।
৭. নির্যাতন ও অত্যাচার বেড়ে যায়।
৮. সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যায় না।
৯. নিজ নিজ ধর্ম পালনে অসুবিধা হয়।
১০. শিক্ষা গ্রহণের অধিকার অনিশ্চিত হয়ে যায়।
ঘ) জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারগুলো কী?
উত্তর: ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার ঘোষিত হয়। পৃথিবীর সব বয়সের, ধর্মের ও জাতির মানুষের অধিকারগুলো জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন ধারায় তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারগুলো হলো—
১. সব মানুষই জন্মগতভাবে স্বাধীন।
২. প্রত্যেকের নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে।
৩. কাউকে নির্যাতন ও অত্যাচার করা যাবে না।
৪. আইনের চোখে সবাই সমান।
৫. প্রত্যেকেরই শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে।
৬. মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলে প্রত্যেকের বিচার লাভের অধিকার আছে।
৭. কাউকে খেয়াল-খুশিমতো গ্রেপ্তার ও আটক করা যাবে না।
৮. প্রত্যেকের চিন্তার ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment