3.9.11

সমাজ: অধ্যায় ৭

প্রশ্ন: সুষ্ঠু নির্বাচনে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? নাগরিক এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর: নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা নাগরিকরে অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিচে দেওয়া হলো।
১. নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
২. প্রতিটি ভোটাধিকারপ্রাপ্ত নাগরিককে ভোট প্রদান করতে হবে।
৩. সততার সঙ্গে সব নাগরিককে ভোট দিতে হবে।
৪. নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রণীত সব আইন মেনে চলতে হবে।
৫. নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত সব আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
নাগরিকের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট সমস্যা: নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত না হলেই বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাবে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করা সম্ভব হয় না। এতে দেশের ক্ষতি হয়। তাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রশ্ন: নাগরিকের কেন কর প্রদান করা উচিত? কর প্রদান না করলে কী অসুবিধা হয়?
উত্তর: নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার ভোগ করে। পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। দেশের শাসনকাজ পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে রাষ্ট্র এই অর্থ সংগ্রহ করে। তাই রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নাগরিকের কর প্রদান করা উচিত।
কর প্রদান না করলে অসুবিধা: নাগরিকেরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে যেরূপ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন তেমনি রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদেরও কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। সমাজে সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রয়োজন। নাগরিকদের জীবন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য রাষ্ট্রের অর্থের প্রয়োজন হয়। নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে রাষ্ট্র এই অর্থ সংগ্রহ করে। তাই নিয়মিত কর প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কর প্রদান না করলে রাষ্ট্রের শাসন কাজ পরিচালনা করতে অসুবিধা হবে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।

No comments:

Post a Comment