প্রিয় শিক্ষার্থীরা, ভালোবাসা নিয়ো। ২০১০ সমাপনী পরীক্ষার আলোকে আজকে অধ্যায় ৪-এর ‘শ্রমের গুরুত্ব’ সম্পর্কে আলোচনা করছি।
প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক. শরীর সুস্থ ও সবল রাখার জন্য শারীরিক— প্রয়োজন।
উত্তর: শরীর সুস্থ ও সবল রাখার জন্য শারীরিক শ্রম প্রয়োজন।
খ. লেখাপড়ার পাশাপাশি — শ্রম করা প্রয়োজন।
উত্তর: লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক শ্রম করা প্রয়োজন।
গ. আমাদের চারপাশের পরিবেশ — রাখতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
উত্তর: আমাদের চারপাশের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
ঘ. মানুষ — নির্বাহের জন্য নানা ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকে।
উত্তর: মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকে।
ঙ. আমাদের দেশে নানা ধরনের — মানুষ আছেন।
উত্তর: আমাদের দেশে নানা ধরনের শ্রমজীবী মানুষ আছেন।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক. বাড়ির সব ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।—শু
খ. শুধু নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখলেই চলবে।—অ
গ. বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা সবার দায়িত্ব। —শু
ঘ. আমরা সবাই শ্রমজীবী মানুষের সেবা লাভ করি না। —অ
ঙ. নিজের কাজ নিজে করার আনন্দ উপভোগ করব।—শু
প্রশ্ন: বাম পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
ক. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
খ. নিয়মিত গোসলখানা ও পায়খানা
গ. ফুলের টব বা ঘরের কোণে পানি জমে থাকলে
ঘ. কোনো কাজই
ঙ. আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকের বেশির পরিষ্কার করতে হবে
আমাদের সুস্থ রাখে
ভাগই নারী
এডিস মশা উৎপন্ন হয়
ছোট নয়
শ্রমজীবীদের ওপর নির্ভরশীল
উত্তর: ক. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্থ রাখে।
খ. নিয়মিত গোসলখানা ও পায়খানা পরিষ্কার করতে হবে।
গ. ফুলের টব বা ঘরের কোণে পানি জমে থাকলে এডিস মশা উৎপন্ন হয়।
ঘ. কোনো কাজই ছোট নয়।
ঙ. আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকের বেশির ভাগই নারী।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১. লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনটি প্রয়োজন?
ক. গল্প করা খ. ঘুমানো
গ. কায়িক শ্রম করা ঘ. চুপচাপ বসে থাকা।
উত্তর: কায়িক শ্রম করা।
২. এডিস মশা থেকে কী হয়?
ক. ম্যালেরিয়া হয় খ. ডেঙ্গু হয়
গ. কাশি হয় ঘ. টাইফয়েড হয়
উত্তর: ডেঙ্গু হয়।
৩. আমরা সবাই শ্রমজীবীর কাছ থেকে কী পাই?
ক. গান শুনি খ. সঙ্গে থাকি
গ. সেবা লাভ করি ঘ. সেবা ছাড়া চলতে পারি
উত্তর: সেবা লাভ করি।
৪. শরীর সুস্থ ও সবল রাখার জন্য কী করা উচিত?
ক. বসে থাকা উচিত খ. লেখাপড়া করা উচিত
গ. কিছুই করা উচিত নয়
ঘ. শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
উত্তর: শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
৫. মাছ আমাদের কী ধরনের চাহিদা মেটায়?
ক. শর্করার চাহিদা মেটায় খ. আমিষের চাহিদা মেটায়
গ. ভিটামিনের চাহিদা মেটায়
ঘ. স্নেহজাতীয় পদার্থের চাহিদা মেটায়।
উত্তর: আমিষের চাহিদা মেটায়।
# সংক্ষেপে উত্তর দাও।
প্রশ্ন: বাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য আমাদের কী করা প্রয়োজন।
উত্তর: বাড়ি পরিষ্কার ও সুন্দর রাখার জন্য প্রতিদিন সকাল-বিকেল ঘর ও উঠান ঝাড় দিতে হবে। আসবাব মুছতে হবে। বাড়ির জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। নিয়মিত গোসলখানা ও শৌচাগার পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির সব ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। পরিবারের সদস্য হিসেবে মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি পরিষ্কার রাখার কাজে আমরা সাহায্য করব। শুধু নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখলেই চলবে না। সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের পাড়া বা মহল্লাও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।
প্রশ্ন: বিদ্যালয় অপরিষ্কার কীভাবে হতে পারে এবং এর কারণে কী হয়?
উত্তর: ধুলোবালি, ছেঁড়া-নোংরা কাগজ, খাদ্যের উচ্ছিষ্ট, দেয়ালে লিখন, যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা ইত্যাদি বিদ্যালয়কে অপরিচ্ছন্ন করে। বিদ্যালয় অপরিষ্কার থাকলে লেখাপড়ায় যেমন মন বসতে চায় না, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। বিদ্যালয়ের আশপাশে আগাছা, নর্দমা ও অপরিষ্কার জলাশয় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির কারণ হতে পারে। বিদ্যালয়ের শৌচাগার যদি অপরিষ্কার থাকে, তাহলেও বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন: শ্রমের মর্যাদা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়?
উত্তর: সমাজে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমরা শ্রমজীবী মানুষের ওপর নির্ভরশীল। সব কাজেরই রয়েছে সমান গুরুত্ব। দেশের উন্নতির পেছনেও রয়েছে তাঁদের কায়িক শ্রমের ভূমিকা। তাঁদের শ্রমের কারণেই সমাজ ও রাষ্ট্র তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে। শ্রমিকের শ্রম ছাড়া আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করতে পারতাম না। আমাদের প্রতিদিনই প্রায় সব প্রয়োজনেই তাঁদের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা সবাই শ্রমজীবী মানুষের সেবা লাভ করি। তাঁদের ছাড়া আমরা চলতে পারি না। তাই তাঁদেরকে আমরা কখনো ছোট করে দেখব না। তাঁদের কোনো কাজকে ছোট মনে করব না। শ্রমজীবী মানুষকে আমরা ভালোবাসব। প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতা করব এবং বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: সমাজে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমরা কেন শ্রমজীবীদের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: সমাজে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমরা শ্রমজীবী মানুষের ওপর নির্ভরশীল। সব কাজেরই রয়েছে সমান গুরুত্ব। দেশের উন্নতির পেছনেও রয়েছে তাঁদের কায়িক শ্রমের ভূমিকা। তাঁদের শ্রমের কারণেই সমাজ ও রাষ্ট্র তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে। শ্রমিকের শ্রম ছাড়া আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করতে পারতাম না। আমাদের প্রতিদিনই প্রায় সব প্রয়োজনে তাঁদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
প্রশ্ন: শ্রমজীবী মানুষকে কেন আমাদের শ্রদ্ধা করা প্রয়োজন?
উত্তর: সমাজে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমরা শ্রমজীবী মানুষের ওপর নির্ভরশীল। দেশের উন্নতির পেছেনেও রয়েছে তাঁদের কায়িক শ্রমের ভূমিকা। তাঁদের শ্রমের কারণেই সমাজ ও রাষ্ট্র তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে। শ্রমিকের শ্রম ছাড়া আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করতে পারতাম না। আমাদের প্রতিদিনই প্রায় সব প্রয়োজনে তাঁদের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা সবাই শ্রমজীবীদের সেবা লাভ করি। তাঁদের ছাড়া আমরা চলতে পারি না। তাই শ্রমজীবীদের কাজকে শ্রদ্ধা করব এবং তাঁদেরকেও আমরা শ্রদ্ধা করব।
প্রশ্ন: ক্লাব ও সংঘের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমাদের সমাজের কাজের জন্য বিভিন্ন ক্লাব, সংঘ ইত্যাদি গড়ে তুলি। পাঠাগার, ব্যায়ামাগার, ক্রিকেট ক্লাব, ফুটবল ক্লাব, বিদ্যালয় ক্লাব ও হলদে পাখির দল ইত্যাদি বিভিন্ন ক্লাব ও সংঘের উদাহরণ।
প্রশ্ন: সামাজিক মূল্যবোধ থাকলে আমাদের কী কী উপকার হয়?
উত্তর: সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহযোগিতার মধ্যে ঐক্য স্থাপন করে। দেশের জন্য ভালোবাসা জন্মায়। সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সদাচরণ করতে শেখায়। জীবনে শৃঙ্খলা আনে এবং মানুষকে পরিপূর্ণ হতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের কী কাজে লাগে?
উত্তর: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে আমাদের চরিত্র গঠন এবং নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিশেষ ভূমিকা রাখে।
No comments:
Post a Comment