25.5.12

সমাজ :অধ্যায়-৩:

সামাজিক গুণাবলি ও মূল্যবোধ
প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক. সদাচরণ ও সময়ানুবর্তিতা মানুষের চরিত্রের দুটি—গুণ।
উত্তর: সদাচরণ ও সময়ানুবর্তিতা মানুষের চরিত্রের দুটি বিশেষ গুণ।
খ. পরিবারে বাস করতে হলে পরিবারের—মেনে চলতে হয়।
উত্তর: পরিবারে বাস করতে হলে পরিবারের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
গ. জীবনে প্রতিষ্ঠিত হই—শিক্ষা লাভ করে।
উত্তর: জীবনে প্রতিষ্ঠিত হই বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করে।
ঘ. সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হলো—।
উত্তর: সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হলো সদাচরণ।
ঙ. সময়ের কাজ সময়ে করাকে—বলে।
উত্তর: সময়ের কাজ সময়ে করাকে সময়ানুবর্তিতা বলে।

প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক. পরিবারের সবাই মিলেমিশে থাকতে হয় না। —অ
খ. কারও মনে কষ্ট না দেওয়া ভালো কাজ। —শু
গ. কাউকে কটু কথা বলা ভালো কাজ। —অ
ঘ. বিদ্যালয়ে সবার সঙ্গে সদাচরণ করা উচিত। —শু
ঙ. ক্লাব বা সংঘের নিজস্ব নিয়মকানুন আছে। —শু

প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১. পরিবার সমাজের কী ধরনের প্রতিষ্ঠান?
ক. ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান খ. রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
গ. আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ঘ. প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান।
উত্তর: প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান।
২. প্রতিদিনের পাঠ প্রতিদিন শিখলে কী সুফল পাওয়া যায়?
ক. পরীক্ষায় ভালো করা যায় না
খ. রাত জেগে পড়তে হয় না
গ. সব কাজে পিছিয়ে পড়তে হয়
ঘ. জীবনে সাফল্য আসে না।
উত্তর: রাত জেগে পড়তে হয় না।
৩. সদাচরণ ও ভালো কাজ-
ক. সবার সঙ্গে ঝগড়া করা
খ. শিক্ষক ও গুরুজনদের অসম্মান করা
গ. কটু কথা বলা ঘ. কারও মনে কষ্ট না দেওয়া
উত্তর: কারও মনে কষ্ট না দেওয়া।
৪. কেন আমরা ক্লাব, সংঘ গড়ে তুলি?
ক. সমাজের কাজের জন্য খ. পরিবারের কাজের জন্য
গ. নিজের কাজের জন্য ঘ. খেলাধুলার জন্য
উত্তর: সমাজের কাজের জন্য।
৫. সামাজিক মূল্যবোধ কী করে?
ক. সভ্যতা ধ্বংস করে খ. সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে
গ. অর্থ উপার্জনে সাহায্য করে ঘ. অসদাচরণ শেখায়
উত্তর: সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক. পরিবার কাকে বলে?
উত্তর: আমাদের বাড়িতে বাবা, মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন থাকেন। বাবা, মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন এবং বাড়িতে যারা বাস করে, তাদের সাবইকে নিয়ে আমাদের পরিবার।
খ. বাড়ি ও পরিবারের প্রতি আমাদের কী কী কর্তব্য রয়েছে?
উত্তর: পরিবারের সবাই মিলেমিশে বাস করতে হলে পরিবারের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। বাড়ির সবার সঙ্গে সদাচরণ এবং বাড়ির কাজে বড়দের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। এ ছাড়া বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, পশু-পাখির যত্ন, বড়দের সম্মান করা, তাঁদের আদেশমতো চলা, ছোটদের স্নেহ করা, বাড়িতে কারও অসুখ হলে সেবা করা আমাদের কর্তব্য।
গ. সময়ানুবর্তিতা কাকে বলে?
উত্তর: সময়ের কাজ সময়ে করাকে সময়ানুবর্তিতা বলে। খেলার সময় খেলা, পড়ার সময় পড়া, খাওয়ার সময় খাওয়া। অর্থাৎ, সব কাজ সময়মতো করতে হবে।
ঘ. বিদ্যালয় আমাদের কী কী করতে শেখায়?
উত্তর: জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রথম সোপান হলো বিদ্যালয়। সুনাগরিক হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে বিদ্যালয় প্রধান ভূমিকা পালন করে। সমাজের উন্নয়নে বিদ্যালয় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ঙ. সদাচরণ কাকে বলে?
উত্তর: বড়দের সম্মান করবে এবং তাঁদের আদেশমতো চলবে। ছোট-বড় কারও সঙ্গে দেখা হলে সালাম বা আদাব বিনিময় করবে। ছোটদের স্নেহ করবে। সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হলো সদাচরণ।
চ. ক্লাব ও সংঘের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমাদের সমাজের কাজের জন্য বিভিন্ন ক্লাব, সংঘ ইত্যাদি গড়ে তুলি। পাঠাগার, ব্যায়ামাগার, ক্রিকেট ক্লাব, ফুটবল ক্লাব, বিদ্যালয় ক্লাব ও হলদে পাখির দল ইত্যাদি বিভিন্ন ক্লাব ও সংঘের উদাহরণ।
ছ. সামাজিক মূল্যবোধ থাকলে আমাদের কী কী উপকার হয়?
উত্তর: সামাজিক মূলবোধ মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহযোগিতার মধ্যে ঐক্য স্থাপন করে। দেশের জন্য ভালোবাসা জন্মায়। সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সদাচরণ করতে শেখায়। জীবনে শৃঙ্খলা আনে এবং মানুষকে পরিপূর্ণ হতে সাহায্য করে।
জ. ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের কী কাজে লাগে?
উত্তর: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে আমাদের চরিত্র গঠন এবং নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিশেষ ভূমিকা রাখে।

No comments:

Post a Comment