21.5.12

যোগাযোগের সেকাল একাল


প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলা বিষয়ের ওপর আলোচনায় আজ রয়েছে ‘যোগাযোগের সেকাল একাল’। এসো, তাহলে শুরু করা যাক।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো:
(ক) মানুষের জীবনে যোগাযোগের সূচনা কখন?
আধুনিক কালে/আদিম কালে/সম্প্রতি
উত্তর: আদিম কালে।
খ) মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কোনটি?
হাতিয়ার ব্যবহার/ভাষা আবিষ্কার/নৌকা আবিষ্কার
উত্তর: ভাষা আবিষ্কার।
গ) আফ্রিকার উপজাতিরা দূর-দূরান্তে কীভাবে সংবাদ পাঠাত?
ঢোল পিটিয়ে/শিঙা ফুঁকে/বাহক মারফত
উত্তর: ঢোল পিটিয়ে।
ঘ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রথম ব্যবহূত যন্ত্র কোনটি?
টেলিফোন/বেতার/টেলিগ্রাফ
উত্তর: টেলিগ্রাফ।
ঙ) যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন কোনটি?
বেতার/টেলিভিশন/ইন্টারনেট
উত্তর: ইন্টারনেট।
# নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন: যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যোগাযোগ বলতে অন্যকে কোনো কিছু জানানোর উপায়সমূহকে বোঝায়।
প্রশ্ন: আমরা কোন কোন উপায়ে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি?
উত্তর: আমরা বলে, লিখে বা সংকেত ব্যবহার করে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি।
প্রশ্ন: যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে আমরা যোগাযোগ করতে পারি?
উত্তর: যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, চিঠিপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি।
প্রশ্ন: লেখা আবিষ্কারের আগে মানুষ কীভাবে যোগাযোগ করত?
উত্তর: লেখা আবিষ্কারের আগে মানুষ হাত নেড়ে, চিত্কার করে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, আগুন বা ধোঁয়া ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।
প্রশ্ন: সেকালে ঢোলের মাধ্যমে কীভাবে সংবাদ প্রচার করা হতো?
উত্তর: সেকালে সংবাদ প্রচারের জন্য ঢোল ব্যবহূত হতো। আফ্রিকার উপজাতিরা কাঠের ঢোল পিটিয়ে দূর-দূরান্তরে সংবাদ সংকেত পাঠাত। ভারতবর্ষের রাজারা ঢোল শোহরত করে রাজ্যে আদেশ, নির্দেশ জারি করতেন।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কী?
উত্তর: ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো চিঠি লেখা।
প্রশ্ন: সেলফোনের সুবিধা কী?
উত্তর: সেলফোনের সুবিধা অনেক। সেলফোন থেকে সময় ও তারিখ জানা যায়। এর মাধ্যমে মুহূর্তেই ছোটখাটো বার্তা পাঠানো যায়। এই ফোনে যেকোনো ছবি তুলে তা ধারণ করা যায়, কে কে ফোন করল তাদের তথ্য এবং ফোন নম্বরও এতে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এ ছাড়া এর পর্দায় বিপরীত প্রান্তের গ্রাহকের ছবিও দেখা যায়।
প্রশ্ন: বেতার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সাধারণত বেতার বলতে আমরা কেবল অনুষ্ঠান শোনার যন্ত্রকে বুঝি। বেতার বলতে আসলে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ বোঝায়।
প্রশ্ন: ওয়াকি টকির কাজ কী?
উত্তর: ওয়াকিটকি হচ্ছে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের বহনযোগ্য যন্ত্র। জরুরি যোগাযোগের জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেডক্রস, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী, সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের বিভিন্ন সংস্থার কাজে আজকাল বেতার যোগাযোগ অপরিহার্য। এ কাজে হাতের মুঠোয় যে যোগাযোগ যন্ত্রটি থাকে তাকে বলা হয় ওয়াকিটকি। ওয়াকিটকির কাজ হলো তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করা।
যোগাযোগের সেকাল একাল
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলা বিষয়ের ওপর আলোচনায় তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আলোচ্যসূচিতে আজ রয়েছে ‘যোগাযোগের সেকাল একাল’। এসো, তাহলে শুরু করা যাক।
# নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন: যোগাযোগের আধুনিকতম উপায়ের শুরু কখন থেকে।
উত্তর: যোগাযোগের আধুনিকতম উপায় শুরু হয়েছে রেডিও বা বেতার উদ্ভাবনের পর থেকে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেতারের ভূমিকা ব্যাপক। এখন যে আধুনিক মোবাইল ফোন রয়েছে, তাও একধরনের বেতারযন্ত্র। যোগাযোগের আর একটি আধুনিক মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন।
প্রশ্ন: ওয়েবের পুরো নাম কী?
উত্তর: যোগাযোগ ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন সারা বিশ্বের জ্ঞানসম্পদের বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একে সংক্ষেপে বলা হয় ওয়েব। ওয়েবের পুরো নাম হচ্ছে: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www. অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ তরঙ্গ। ওয়েবের জ্ঞানভান্ডার থেকে যে কোনো বিষয়ে ইচ্ছেমতো তথ্য আহরণ করা যায়।
প্রশ্ন: সংকেতের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে যোগাযোগ করে উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: যোগাযোগ বলতে অন্যকে কোনো কিছু জানানোর উপায়সমূহকেই বোঝায়। মানুষ সাধারণত বলে বা লিখে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে। এ ছাড়া মানুষ সংকেতের মাধ্যমেও যোগাযোগ করে থাকে। যেমন, সড়কে লালবাতি দেখে চালক গাড়ি থামিয়ে দেন। রেফারি হুইসেল দিলেই ফুটবল খেলা শুরু হয়ে যায়। আম্পায়ার আঙুল তুললেই ব্যাটসম্যান মাঠ ছেড়ে চলে যান। এসবই হলো সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ।
প্রশ্ন: কত বছর আগে কোন রাজা দূর-দূরান্তরে যোগাযোগের জন্য নতুন উপায় বের করেন? উপায়টি কী?
উত্তর: হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ধ্বনির সাহায্যেও যোগাযোগের কাজ করেছে। চিৎকার খুব বেশি দূরে শোনা যেত না বলে মানুষ অন্য উপায়ও বের করেছিল। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে পারস্যের সম্রাট (রাজা) সাইরাস তাঁর রাজ্যে কিছুটা দূরে দূরে অনেক টাওয়ার বসিয়ে দূর-দূরান্তরে যোগাযোগের জন্য নতুন উপায় বের করেন। এই উপায়ে টাওয়ারগুলোতে প্রহরী রাখা হতো। আর যারা প্রহরী থাকত, তারা চিৎকার করে এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে সংবাদ পাঠাত।
প্রশ্ন: যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুদ্রণযন্ত্র ও ছাপাখানার ভূমিকা কী?
উত্তর: যোগাযোগের অগ্রগতির ক্ষেত্রে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ছাপাখানা যোগাযোগব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটায়। বই ও পত্রপত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে হাজার হাজার লোকের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খুলে যায়। বই ও পত্রপত্রিকা একদিকে মানুষের জ্ঞান সংরক্ষণ করার সুযোগ এনে দেয়, অন্যদিকে এককাল থেকে অন্যকালে জ্ঞান বিস্তার করাও সম্ভব হয়ে ওঠে। বইয়ের সম্ভার নিয়ে এরপর গড়ে ওঠে অনেক পাঠাগার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লিউ তলস্তয়, শেক্সপিয়ারের মতো মহৎ লেখকদের লেখার সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটেছে বইয়ের মাধ্যমেই। আর এই বই ছাপা সম্ভব হয়েছে মুদ্রণযন্ত্র ও ছাপাখানা আবিষ্কারের ফলেই। কাজেই জ্ঞান-সাধনা ও জ্ঞানবিস্তারে মুদ্রণযন্ত্র ও ছাপাখানার ভূমিকা অপরিসীম। 
প্রশ্ন: দৃষ্টিগ্রাহ্য দূরত্বে আদিম মানুষের যোগাযোগের উপায় কী ছিল?
উত্তর: দৃষ্টিগ্রাহ্য দূরত্বে আদিম মানুষের যোগাযোগের একটা উপায় ছিল আগুনের সংকেত। উঁচু গাছের ডগায় উঠে মশাল নেড়ে কিংবা আগুনে তির ছুড়ে আদিম মানুষ শিকারিদের ফিরে আসার জন্য কিংবা অন্য কোনো সংকেত দিত।
প্রশ্ন: বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগব্যবস্থায় কী ধরনের পালাবদল ঘটে?
উত্তর: বিদ্যুতের আবিষ্কার যোগাযোগব্যবস্থায় বিপুল পালাবদল ঘটায়। বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রতিনিয়ত যোগাযোগের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। টেলিফোনে কথা বলা, কাউকে ই-মেইল পাঠানো, ফ্যাক্স মেশিনে বার্তা পাঠানো ইত্যাদি যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই। কাজেই বিদ্যুৎ আবিষ্কার যোগাযোগের ক্ষেত্রকে যেমন সম্প্রসারিত করেছে, তেমনি করেছে সমৃদ্ধ।
প্রশ্ন: টেলিফোন আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কী ধরনের উন্নতি সাধিত হয়েছে।
উত্তর: টেলিফোন আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগব্যবস্থায় আজকাল এত উন্নতি হয়েছে যে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যে কেউ যেকোনো সময় কথা বলতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরও অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছে বেতার ও সেলুলার প্রযুক্তি ব্যবহার করায়। এখন পথ চলতে চলতেও মানুষ ফোনে কথা বলতে পারছে সেলফোন বা মোবাইল ফোনে।
প্রশ্ন: যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা কী?
উত্তর: যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। এরা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। বিশ্বের কোটি কোটি কম্পিউটার এর সঙ্গে যুক্ত। এর মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। কোনো তথ্য-উপাত্ত, বার্তা, ছবি ইত্যাদি যেমন আদান-প্রদান করা যায়, তেমনি এর মাধ্যমে পরস্পরের চেহারাও দেখা যায়। সারা বিশ্বের জ্ঞানসম্পদের বিপুল তথ্য এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কাজেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: যোগাযোগের আধুনিকতম উপায়গুলো কী কী?
উত্তর: যোগাযোগের আধুনিকতম উপায় শুরু হয়েছে রেডিও বা বেতার উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। টেলিভিশন হচ্ছে যোগাযোগের আর একটি আধুনিক মাধ্যম। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। এ ছাড়া যোগাযোগের আধুনিক উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকি ইত্যাদি।


No comments:

Post a Comment