19.5.12

সমাজ: অধ্যায় ১৮

৫. ক) জাতিসংঘ গঠনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর :নানা কারণে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধ হয়। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। এতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধের ভয়াবহতা এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বিশ্বের সব রাষ্ট্রের মানুষকে ভীত করে তোলে। পৃথিবীর মানুষ মনে করে মানবজাতিকে রক্ষা করতে হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়া উপায় নেই। বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৫ সালে গঠিত হয় জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য : জাতিসংঘ গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে_
ষবিশ্ব শান্তির জন্য বা অন্য কথায় যুদ্ধ থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করা।
ষদুটি রাষ্ট্র বা কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যে যদি বিরোধ দেখা দেয় তবে শান্তিপূর্ণভাবে তার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা।
ষবিশ্বের সব রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ষজাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, নারী ও পুরুষ সবার মানবিক ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করা।
ষনানা ধরনের কল্যাণ ও সেবামূলক কাজ পরিচালনা করা।
ষএসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
৫. খ) নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান লক্ষ্য বর্ণনা কর।
উত্তর :বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব নিরাপত্তা পরিষদের। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গণচীন এই পাঁচটি রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ভেটো ক্ষমতার অধিকারী।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান লক্ষ্য : নিরাপত্তা পরিষদের কিছু লক্ষ্য রয়েছে। যেমন :
ষবিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।
ষবিশ্বের কোথাও রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বিরোধ দেখা দিলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা।
ষআলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরোধের সমাধানের চেষ্টা সফল না হলে সামরিক শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করা।
ষবিশ্ব শান্তি রক্ষায় নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৫. গ) আন্তর্জাতিক আদালতে কিসের বিচার হয়?
উত্তর : আন্তর্জাতিক আদালত হচ্ছে জাতিসংঘের বিচারালয়। পনের জন বিচারককে নিয়ে এ আদালত গঠিত। এ আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত।
আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হয় : জাতিসংঘের যে কোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ-মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাইতে পারে। এই আদালতের রায় নিরাপত্তা পরিষদ কার্যকর করে।
৫.ঘ) ইউনিসেফ শিশুদের জন্য কী কী কাজ করে?
উত্তর : জাতিসংঘ বিশ্বের শিশুদের উন্নয়নের জন্য ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর। 'আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল' গঠন করে।
ইউনিসেফের কাজ : জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ শিশুদের জন্য যেসব কাজ করে :
ইউনিসেফ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা, গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা, টিকা দান ইত্যাদি নানা কাজ করে থাকে। বিশ্বের কোথাও শিশুদের অধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয় সেদিকে ইউনিসেফ সজাগ দৃষ্টি রাখে। সর্বাত্মকভাবে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক শিশু দিবস নিয়মিত পালন করা ইত্যাদি।
৫.ঘ) ইউনিসেফ শিশুদের জন্য কী কী কাজ করে?
উত্তর : জাতিসংঘ বিশ্বের শিশুদের উন্নয়নের জন্য ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর। 'আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল' গঠন করে।
ইউনিসেফের কাজ : জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ শিশুদের জন্য যেসব কাজ করে :
ইউনিসেফ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা, গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা, টিকা দান ইত্যাদি নানা কাজ করে থাকে। বিশ্বের কোথাও শিশুদের অধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয় সেদিকে ইউনিসেফ সজাগ দৃষ্টি রাখে। সর্বাত্মকভাবে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক শিশু দিবস নিয়মিত পালন করা ইত্যাদি।
১৯৫৯ সালে ইউনিসেফ শিশু অধিকার সংক্রান্ত একটি ঘোষণা প্রচার করে। এ ছাড়া শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭৯ সালকে আন্তর্জাতিক 'শিশু বর্ষ' হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বের শিশুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলো ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের 'শিশু অধিকার সনদ'।
বাংলাদেশেও ইউনিসেফ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শিশু কল্যাণমূলক অনেক কাজ পরিচালিত হচ্ছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর করা এবং বাংলাদেশের সব শিশুর শিক্ষা যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফ কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই আমরা বুঝতে পারছি ইউনিসেফ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অনুন্নত দেশের মা ও শিশুদের অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
৫. ঙ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কাজ কী?
উ : ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জন্ম লাভ করে। ৭ এপ্রিল 'আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কাজ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কাজগুলো হচ্ছে-
িবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের সব মানুষের স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ উন্নতি সাধন।
িস্বাস্থ্য ও রোগ-ব্যাধি সম্পর্কে দরিদ্র দেশের মানুষকে সচেতন করা, স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এ সংস্থার প্রধান কাজ।
িএ ছাড়া মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ এ সংস্থার সদস্য হয়। এ সংস্থার কাজের ফলে বিশ্ব থেকে গুটি বসন্তের মতো রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। 

No comments:

Post a Comment