# নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন: কোন জায়গায় মানুষ এক ‘অদ্ভুত পাথরের’ সন্ধান পায়? পাথরটির কী গুণ ছিল?
উত্তর: আদিকালে মানুষ বিভিন্ন কাজে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত। তাই তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পাথরের সন্ধান করত। এভাবে একদা এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামের একটা জায়গায় মানুষ এক অদ্ভুত পাথরের সন্ধান পায়।
এ পাথরটির আশ্চর্য গুণ ছিল। আর এ গুণটি হলো লোহার টুকরোকে টেনে ধরার চমৎকার ক্ষমতা।
প্রশ্ন: কীভাবে চুম্বক পাথর আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: অনেককাল আগে এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামের একটা জায়গায় মানুষ এক অদ্ভুত পাথরের সন্ধান পায়। আশ্চর্য তার গুণ। দেখা গেল ওই পাথরের রয়েছে লোহার টুকরোকে টেনে ধরার চমৎকার ক্ষমতা। কৌতূহলী মানুষ সেই পাথরের কাছে লোহার টুকরো নিয়ে বারবার পরখ করে দেখল। প্রতিবারই দেখা গেল অদৃশ্য কোনো এক শক্তিতে পাথর সেগুলোকে কাছে টানছে। আর সেগুলো পাথরের গায়ের সঙ্গে এসে লেপ্টে বসছে। পাথরের এ অদৃশ্য আকর্ষণ শক্তি দেখে মানুষ বিস্মিত হলো। এভাবে পাথরের দোষগুণ বিচার, যাচাই ও পরীক্ষার মাধ্যমে চুম্বক পাথর আবিষ্কৃত হয়।
প্রশ্ন: মানুষ কীভাবে নানারকম রত্নপাথর আবিষ্কার করে?
উত্তর: সেকালে মানুষ নানা কাজে বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার বা হাতে বহন করা যায় এমন অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করত। এসব হাতিয়ারের মধ্যে পাথরের তৈরি হাতিয়ারই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজে ওরা পাথর ব্যবহার করত। তাই পাথরের গুণাগুণ যাচাই ও পরীক্ষা করাই ছিল মানুষের অফুরান আগ্রহ। এভাবে পাথরের গুণাগুণ পরীক্ষা করার আগ্রহ থেকেই মানুষ নানা রকম রত্নপাথর আবিষ্কার করে।
প্রশ্ন: ঝুলন্ত অবস্থায় চুম্বক পাথরের কোন বিস্ময়কর গুণ মানুষের নজরে পড়ে?
উত্তর: অনেক কাল আগে এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামক জায়গায় আবিষ্কৃত হয় চুম্বক পাথর। আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায় মানুষের কাছে চুম্বক পাথরের যে গুণটি প্রথম ধরা পড়ে তা হলো, এই পাথর লোহার টুকরো টেনে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। এরপর চুম্বক পাথর নাড়াচাড়া করতে গিয়ে মানুষের নজরে পড়ে এর আরও এক বিস্ময়কর গুণ। জানা যায়, কেউ একজন লতা কিংবা সুতো দিয়ে একটা সরু লম্বা চুম্বক পাথর ঝুলিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। অবাক হয়ে সে লক্ষ করল, ঝুলন্ত অবস্থায় পাথরটা কেবল উত্তর-দক্ষিণমুখো হয়ে থাকে। পাথরের উত্তরমুখী প্রান্তে সরু দাগ দিয়ে তারপর সেটিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার চেষ্টা করেও দেখা গেল, পাথরটির উত্তরমুখী দিকটা কেবল উত্তরমুখী হয়েই থাকছে। ঝুলন্ত অবস্থায় চুম্বক পাথর উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে—এই বিস্ময়কর গুণ মানুষের নজরে পড়ে।
প্রশ্ন: দুটো চুম্বক পাথরের প্রান্ত কাছাকাছি আনা হলে কী দেখা যায়?
উত্তর: চুম্বক পাথরের লোহা আকর্ষণ করার ক্ষমতা এবং ঝুলন্ত অবস্থায় এটি উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকার গুণ দেখে মানুষ আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে। মেতে ওঠে এই পাথর নিয়ে আরও গবেষণায়। কিছুকাল পরে মানুষ চুম্বক পাথরের আরও একটা গুণ আবিষ্কার করে। একটি চুম্বক পাথরের উত্তর প্রান্তের কাছে অন্য একটি চুম্বক পাথরের উত্তরপ্রান্ত আনা হলে দেখা যায়, প্রান্ত দুটো ছিটকে দূরে সরে যায়। কিন্তু একটি চুম্বক পাথরের উত্তর প্রান্তের কাছে অন্য চুম্বক পাথরের দক্ষিণ প্রান্ত আনা হলে, তারা একে অন্যকে আকর্ষণ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। অর্থাৎ দুটো চুম্বক পাথরের প্রান্ত কাছাকাছি আনা হলে দেখা যায়, সমপ্রান্ত সব সময় বিকর্ষণ করে আর বিপরীত প্রান্ত সব
প্রশ্ন: চুম্বক পাথর দিয়ে কীভাবে দিক নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: আবিষ্কারের পর থেকেই চুম্বক পাথর নাড়াচাড়া করতে গিয়ে মানুষ এর অনেক বিস্ময়কর গুণ খুঁজে পায়। কৌতূহলী মানুষ এবার ভাবতে থাকে বিভিন্ন গুণের অধিকারী এই পাথরটাকে কী কাজে লাগানো যায়। ক্রমে মানুষ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বুঝতে পারল, এ পাথরকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো যায় দিক নিরূপণের কাজে। কারণ চুম্বক পাথরের একটা দিক সব সময় উত্তরমুখো হয়ে থাকে। তাই উত্তর দিকে মুখ করে দাঁড়ালে সহজেই ডান হাতের দিক পূর্ব আর বাঁ হাতের দিক পশ্চিম বলে চিনে নেওয়া যায়। এভাবে চুম্বক পাথর দিয়ে দিক নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন: ডান দিক থেকে উপযুক্ত বিশেষণ খুঁজে নিয়ে শূন্য স্থানে বসাও।
— দাগ অদৃশ্য
— আগ্রহ গভীর
— শক্তি ধু ধু
— অরণ্য চুম্বকীয়
— মরুভূমি অফুরান
— মহাসমুদ্র অতল
— পাথর কৌতূহলী
— মানুষ সরু।
উত্তর:
সরু দাগ
অফুরান আগ্রহ
অদৃশ্য শক্তি
গভীর অরণ্য
ধু ধু মরুভূমি
অতল মহাসমুদ্র
চুম্বকীয় পাথর
কৌতূহলী মানুষ।
প্রশ্ন: কোন জায়গায় মানুষ এক ‘অদ্ভুত পাথরের’ সন্ধান পায়? পাথরটির কী গুণ ছিল?
উত্তর: আদিকালে মানুষ বিভিন্ন কাজে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত। তাই তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পাথরের সন্ধান করত। এভাবে একদা এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামের একটা জায়গায় মানুষ এক অদ্ভুত পাথরের সন্ধান পায়।
এ পাথরটির আশ্চর্য গুণ ছিল। আর এ গুণটি হলো লোহার টুকরোকে টেনে ধরার চমৎকার ক্ষমতা।
প্রশ্ন: কীভাবে চুম্বক পাথর আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: অনেককাল আগে এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামের একটা জায়গায় মানুষ এক অদ্ভুত পাথরের সন্ধান পায়। আশ্চর্য তার গুণ। দেখা গেল ওই পাথরের রয়েছে লোহার টুকরোকে টেনে ধরার চমৎকার ক্ষমতা। কৌতূহলী মানুষ সেই পাথরের কাছে লোহার টুকরো নিয়ে বারবার পরখ করে দেখল। প্রতিবারই দেখা গেল অদৃশ্য কোনো এক শক্তিতে পাথর সেগুলোকে কাছে টানছে। আর সেগুলো পাথরের গায়ের সঙ্গে এসে লেপ্টে বসছে। পাথরের এ অদৃশ্য আকর্ষণ শক্তি দেখে মানুষ বিস্মিত হলো। এভাবে পাথরের দোষগুণ বিচার, যাচাই ও পরীক্ষার মাধ্যমে চুম্বক পাথর আবিষ্কৃত হয়।
প্রশ্ন: মানুষ কীভাবে নানারকম রত্নপাথর আবিষ্কার করে?
উত্তর: সেকালে মানুষ নানা কাজে বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার বা হাতে বহন করা যায় এমন অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করত। এসব হাতিয়ারের মধ্যে পাথরের তৈরি হাতিয়ারই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজে ওরা পাথর ব্যবহার করত। তাই পাথরের গুণাগুণ যাচাই ও পরীক্ষা করাই ছিল মানুষের অফুরান আগ্রহ। এভাবে পাথরের গুণাগুণ পরীক্ষা করার আগ্রহ থেকেই মানুষ নানা রকম রত্নপাথর আবিষ্কার করে।
প্রশ্ন: ঝুলন্ত অবস্থায় চুম্বক পাথরের কোন বিস্ময়কর গুণ মানুষের নজরে পড়ে?
উত্তর: অনেক কাল আগে এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেশিয়া নামক জায়গায় আবিষ্কৃত হয় চুম্বক পাথর। আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায় মানুষের কাছে চুম্বক পাথরের যে গুণটি প্রথম ধরা পড়ে তা হলো, এই পাথর লোহার টুকরো টেনে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। এরপর চুম্বক পাথর নাড়াচাড়া করতে গিয়ে মানুষের নজরে পড়ে এর আরও এক বিস্ময়কর গুণ। জানা যায়, কেউ একজন লতা কিংবা সুতো দিয়ে একটা সরু লম্বা চুম্বক পাথর ঝুলিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। অবাক হয়ে সে লক্ষ করল, ঝুলন্ত অবস্থায় পাথরটা কেবল উত্তর-দক্ষিণমুখো হয়ে থাকে। পাথরের উত্তরমুখী প্রান্তে সরু দাগ দিয়ে তারপর সেটিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার চেষ্টা করেও দেখা গেল, পাথরটির উত্তরমুখী দিকটা কেবল উত্তরমুখী হয়েই থাকছে। ঝুলন্ত অবস্থায় চুম্বক পাথর উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে—এই বিস্ময়কর গুণ মানুষের নজরে পড়ে।
প্রশ্ন: দুটো চুম্বক পাথরের প্রান্ত কাছাকাছি আনা হলে কী দেখা যায়?
উত্তর: চুম্বক পাথরের লোহা আকর্ষণ করার ক্ষমতা এবং ঝুলন্ত অবস্থায় এটি উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকার গুণ দেখে মানুষ আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে। মেতে ওঠে এই পাথর নিয়ে আরও গবেষণায়। কিছুকাল পরে মানুষ চুম্বক পাথরের আরও একটা গুণ আবিষ্কার করে। একটি চুম্বক পাথরের উত্তর প্রান্তের কাছে অন্য একটি চুম্বক পাথরের উত্তরপ্রান্ত আনা হলে দেখা যায়, প্রান্ত দুটো ছিটকে দূরে সরে যায়। কিন্তু একটি চুম্বক পাথরের উত্তর প্রান্তের কাছে অন্য চুম্বক পাথরের দক্ষিণ প্রান্ত আনা হলে, তারা একে অন্যকে আকর্ষণ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। অর্থাৎ দুটো চুম্বক পাথরের প্রান্ত কাছাকাছি আনা হলে দেখা যায়, সমপ্রান্ত সব সময় বিকর্ষণ করে আর বিপরীত প্রান্ত সব
প্রশ্ন: চুম্বক পাথর দিয়ে কীভাবে দিক নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: আবিষ্কারের পর থেকেই চুম্বক পাথর নাড়াচাড়া করতে গিয়ে মানুষ এর অনেক বিস্ময়কর গুণ খুঁজে পায়। কৌতূহলী মানুষ এবার ভাবতে থাকে বিভিন্ন গুণের অধিকারী এই পাথরটাকে কী কাজে লাগানো যায়। ক্রমে মানুষ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বুঝতে পারল, এ পাথরকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো যায় দিক নিরূপণের কাজে। কারণ চুম্বক পাথরের একটা দিক সব সময় উত্তরমুখো হয়ে থাকে। তাই উত্তর দিকে মুখ করে দাঁড়ালে সহজেই ডান হাতের দিক পূর্ব আর বাঁ হাতের দিক পশ্চিম বলে চিনে নেওয়া যায়। এভাবে চুম্বক পাথর দিয়ে দিক নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন: ডান দিক থেকে উপযুক্ত বিশেষণ খুঁজে নিয়ে শূন্য স্থানে বসাও।
— দাগ অদৃশ্য
— আগ্রহ গভীর
— শক্তি ধু ধু
— অরণ্য চুম্বকীয়
— মরুভূমি অফুরান
— মহাসমুদ্র অতল
— পাথর কৌতূহলী
— মানুষ সরু।
উত্তর:
সরু দাগ
অফুরান আগ্রহ
অদৃশ্য শক্তি
গভীর অরণ্য
ধু ধু মরুভূমি
অতল মহাসমুদ্র
চুম্বকীয় পাথর
কৌতূহলী মানুষ।
No comments:
Post a Comment