29.3.12

বাংলা : কুমড়ো ও পাখির কথা

কুমড়ো ও পাখির কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী, অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছাসহ স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের আজকের পড়াশোনায়। ধারাবাহিক পাঠ আলোচনায় আজ তোমাদের জন্য রয়েছে বাংলা বিষয়ের ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ নাটিকা। এসো, তাহলে শব্দ শেখার মধ্য দিয়ে আজকের পাঠ শুরু করা যাক।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো:
নির্জন, দুশমন, পরাগ, চমৎকার, হাওয়া, সতর্ক
উত্তর: প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
নির্জন = জনশূন্য
দুশমন = শত্রু
পরাগ = ফুলের রেণু
চমৎকার = সুন্দর
হাওয়া = বাতাস
সতর্ক = সাবধান।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো
দোয়েল, রোদ, চমৎকার, নির্জন, পরাগ
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বাক্য রচনা
দোয়েল = দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।
রোদ = বৃষ্টি শেষে রোদ উঠেছে।
চমৎকার = শরতের সকাল খুবই চমৎকার।
নির্জন = নির্জন বনপথে একা চলা ঠিক নয়।
পরাগ = প্রত্যেক ফুলে পরাগ থাকে।
প্রশ্ন: দোয়েল পাখি কুমড়োর কী উপকার করে?
উত্তর: কুমড়োগাছের প্রধান শত্রু পোকামাকড়। ওরা কুমড়োগাছের সব ফুল খেয়ে ফেলে। পোকামাকড়ের জ্বালায় কুমড়োর ফুলগুলো ফলে পরিণত হতে পারে না। দোয়েল পাখি এসব ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে কুমড়োর উপকার করে। এ ছাড়া দোয়েল পাখি কুমড়োর পরাগায়ণেও সাহায্য করে থাকে।
প্রশ্ন: বনে আগুন লেগে কী ক্ষতি হলো? আগুন নেভাতে কারা ছুটে এল?
উত্তর: বন প্রকৃতির অনন্য সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে বনের গাছপালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বনে আগুন লেগে অনেক ক্ষতি হলো। অনেক জ্যান্ত গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। অনেক পশুপাখি পুড়ে মরল। কুমড়োর উপকারী বন্ধু দোয়েলও আগুনে আহত হলো। বনের এই ভয়াবহ আগুন নেভাতে মানুষ ছুটে এল।

প্রশ্ন: মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখি কী কী অভিযোগ করেছে?
উত্তর: ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ নাটিকার অন্যতম চরিত্র দোয়েল পাখি। সুসভ্য ও বুদ্ধি-বিবেকসম্পন্ন মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখি এই নাটিকায় সংলাপের মধ্য দিয়ে অনেক অভিযোগ করেছে। মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখির অভিযোগগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক. মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী বনের গাছপালা কেটে সাফ করে ফেলছে।
খ. প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ পাখি ও জীবজন্তু মানুষ খেয়ে ফেলে।
গ. মুক্ত প্রকৃতির পাখি ও জীবজন্তু ধরে ধরে মানুষ খাঁচায় ভরে রাখে।
ঘ. মানুষ মানুষকে মারার জন্য নানারকম অস্ত্র বানাচ্ছে এবং বোমা মারছে।
প্রশ্ন: শরৎকালে কুলগাছে ফিরে এসে দোয়েল পাখি কী দেখল?
উত্তর: ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ নাটিকার একটি বিশেষ চরিত্র দোয়েল পাখি। কুমড়োর সঙ্গে দোয়েল পাখির ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কুমড়ো দোয়েল পাখিকে উপকারী বন্ধু হিসেবে জানত। বনের অগ্নিকাণ্ডে আহত হওয়ায় দোয়েল পাখি বর্ষা ঋতু পর্যন্ত কুমড়োর কোনো খোঁজখবর নিতে পারেনি। শরৎকালে কুলগাছে ফিরে এসে দোয়েল পাখি দেখল, পুরোনো সেই জায়গায় কুমড়ো নেই। তার বদলে সেখানে রয়েছে কয়েকটি চারাগাছ। দোয়েল পাখির কাছে ওরা পরিচয় দিয়ে বলল যে ওরা সেই পুরোনো চাল কুমড়োর চারা।
প্রশ্ন: ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ থেকে যা শিখেছ তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ থেকে আমরা যা শিখেছি তা পাঁচটি বাক্যে নিচে লেখা হলো।
১. দোয়েল পাখি ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে কুমড়োগাছের উপকার করে।
২. গাছের শিকড় দ্বারা মাটি থেকে সংগৃহীত রস আর রোদের সাহায্যে পাতা গাছের জন্য খাবার তৈরি করে।
৩. বাতাস, মৌমাছি, ভোমরা ও পাখি ফুলের পরাগায়ণে সাহায্য করে।
৪. দুঃখ-কষ্টের কথা যত ভুলে থাকা যায় ততই ভালো।
৫. উপকারীর উপকার স্বীকার করা উচিত।
প্রশ্ন: টুনটুনি কুমড়োকে কী খবর দিল?
উত্তর: টুনটুনি কুমড়োকে খবর দিল যে বনের ভেতর কে যেন চাষ করার জন্য গাছপালা কেটে জমি করেছে। তারপর সেই ডালপালা পোড়ানোর জন্য আগুন দিয়েছে। আর সেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বৈশাখ মাসের শুকনো পাতা ও ডালপালায় ছড়িয়ে পড়া আগুনের মাঝে হাওয়াও এসে জুটেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে সবকিছু। বনের টিয়ে, ফিঙে, দাঁড়কাক, বানর, ভালুক সবাই মিলে চেঁচামেচি করে বন তোলপাড় করে তুলেছে। পশুপাখিদের চেঁচামেচিতে মানুষেরাও ছুটে এসেছে এবং আগুন নেভাচ্ছে। টুনটুনি কুমড়োকে আরও খবর দিল যে দোয়েলের গায়ে আগুনের একটু আঁচ লেগেছে। টোনাটুনি তাকে সেবা করছে।
প্রশ্ন: ডান দিক থেকে বিপরীত শব্দগুলো বেছে নিই।
লাভ— অসুবিধে
দুশমন— কুবুদ্ধি
উপকারী— নিন্দা
সুবুদ্ধি— কুৎসিত
সুবিধে— ক্ষতি
প্রশংসা— বন্ধু
সুন্দর— অপকারী।
উত্তর: লাভ—ক্ষতি, দুশমন—বন্ধু, উপকারী—অপকারী, সুবুদ্ধি—কুবুদ্ধি, সুবিধে—অসুবিধে, প্রশংসা—নিন্দা, সুন্দর—কুৎসিত।

No comments:

Post a Comment