28.2.12

অধ্যায়: ৬:




অধ্যায়: ছয়
প্রশ্ন: আদর্শ নেতার গুণাবলি কী কী?
উত্তর: নেতৃত্ব মানুষের মানবীয় গুণ। মানুষ জন্মসূত্রে অথবা পরিবেশ থেকে এ গুণ অর্জন করে থাকে। নেতৃত্বের গুণাবলি সব মানুষের মধ্যেই আছে। কারও কম বা বেশি। প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ লাভ করে। তবে আদর্শ নেতা হতে হলে কিছু বিশেষ গুণ থাকা প্রয়োজন। মানুষকে ভালোবাসা, তাদের মঙ্গল কামনা করা ও জনগণের সেবা করাই একজন আদর্শ নেতার কাজ। এসব ছাড়াও একজন আদর্শ নেতা হতে হলে আমরা যেসব গুণাবলি বিচার করি, সেগুলো হলো:
১. সবার সঙ্গে মিশতে পারা। ২. স্পষ্টভাষী হওয়া ও সুন্দরভাবে কথা বলা। ৩. ন্যায়-অন্যায় বোধ থাকা। ৪. দায়িত্বশীল হওয়া। ৫. সাহসী মনোভাব থাকা। ৬. পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারা। ৭. অন্যকে সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা থাকা। ৮. নিজের অন্যায় বা দোষ স্বীকার করা।
৯. সুন্দর, নিরোগ স্বাস্থ্য হওয়া।
পরিশেষে বলা যায়, একজন আদর্শ নেতা তাঁর গুণাবলি দিয়ে সবার প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন। তিনি মানুষের মঙ্গল কামনা করেন।
প্রশ্ন: গণতন্ত্র আমাদের কী দেয়?
উত্তর: গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে ‘জনগণের শাসন’। সহনশীলতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিবারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে থাকি। যেমন, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে বাবা-মা, ভাইবোন সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেই, কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়? আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজের মত দিই। এভাবে পরিবারের সবার মতামত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র পরিপূর্ণতা পায়। আমাদের দেশ বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে ভয়ভীতি বা জোর করে কিছু করা যাবে না। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নির্বাচনে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার—এর নিশ্চয়তা দেয় শুধু গণতন্ত্র। আমরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকাংশের মতামত গ্রহণ করব এবং পরস্পরকে সাহায্য করব। তাহলেই আমরা গণতন্ত্রের অসীম সুবিধা ভোগ করতে পারব।
প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মনোভাব সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মনোভাব: কোনো বিষয়ে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে গণতান্ত্রিক মনোভাব বলা হয়। সমাজজীবনের সর্বক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে জনগণের শাসন। সহনশীলতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও ভয়ভীতি বা জোর করে কিছু করা যাবে না। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় গণতন্ত্র।
আমাদের পরিবারে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে থাকি, যেমন: কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে আমরা বাবা-মা, ভাইবোন সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিই যে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আমরা বেড়ানোর জায়গা, দূরত্ব, খরচ, সময় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করি, আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাই এবং বেড়ানো উপভোগ করি।
আমাদের বিদ্যালয়ের অভিভাবক দিবসে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ক্ষেত্রে মাঠের সাজসজ্জাসহ কী ধরনের অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়ে আমরা সবাই বিদ্যালয়ে বসে আলোচনা করে নিই। সবার মতামতের ভিত্তিতে এবং সহযোগিতায় পরিচালিত হয় অনুষ্ঠান।
তাই আমরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকাংশের মতামত গ্রহণ করব। অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করব। এভাবে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করব।
প্রশ্ন: একজন নেতা সমাজের জন্য কী করতে পারেন?
উত্তর: কোনো কাজ যিনি সবার সামনে থেকে করেন, সবাইকে দিকনির্দেশনা দেন, তিনিই নেতা। মূলত যিনি কোনো একটি দলের নেতৃত্ব দেন, তিনিই নেতা। সমাজে নেতার প্রয়োজন রয়েছে। নেতা একটি বিশৃঙ্খল সমাজকে জাগিয়ে তুলতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। এতে করে সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। সমাজের সবার জীবন সুন্দর হবে। নেতা তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে সমাজে কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা করেন।

No comments:

Post a Comment