প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক. আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা অনেক —।
উত্তর: আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা অনেক বেশি।
খ. মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান—।
উত্তর: মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে।
গ. খাদ্যের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির — প্রভাব রয়েছে।
উত্তর: খাদ্যের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব রয়েছে।
ঘ. জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে — হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঙ. বাংলাদেশে প্রতি — জনের একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছেন।
উত্তর: বাংলাদেশে প্রতি ১০৪০ জনের জন্য একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছেন।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক. ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।—‘অ’
খ. গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।—‘শু’
গ. সাধারণত জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে জন্ম ও মৃত্যুর কারণে। —‘শু’
ঘ. বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ দেশান্তর।—‘অ’
ঙ. বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব উন্নত দেশের তুলনায় বেশি।—‘শু’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
ক) বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি
খ) বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১৮ বছর
গ) বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স খুব কম
ঘ) বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা ৮৮১
ঙ) আমাদের দেশে শিশুমৃত্যু হার ৪২১ ইউএস ডলার
উত্তর:
ক) বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৮১।
খ) বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ৪২১ ইউএস ডলার।
গ) বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
ঘ) বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা খুব কম।
ঙ) আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার খুব বেশি।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১) জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ক. ৬ষ্ঠ খ. ৯ম গ. ১০ম ঘ. ১৩তম।
উত্তর: ৯ম।
২। কোনটি বাংলাদেশে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ?
ক. শিক্ষার অভাব খ. দেশান্তর গ. ভৌগোলিক পরিবেশ ঘ. অধিক জন্মহার।
উত্তর: অধিক জন্মহার।
৩। বাংলাদেশের হাসপাতাল চিকিৎসা সুবিধার চেয়ে চিকিৎসা প্রার্থীর সংখ্যা—
ক. কম খ. বেশি গ. খুব কম ঘ. সমান।
উত্তর: বেশি।
৪। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কী হয়েছে?
ক. আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে
খ. সবাই চিকিৎসাসুবিধা পাচ্ছে
গ. বেকার সমস্যা কমেছে
ঘ. দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
উত্তর: আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে।
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) জীবনযাত্রার মানের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: একটি দেশের নাগরিকেরা কতটা উন্নতমানের জীবন যাপন করে, তা বোঝা যায় জীবনযাত্রার মান থেকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন পর্যায়ের। এর একটি অন্যতম কারণ, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। দেশে যা কিছু উৎপাদিত হয়, তা এই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ লোকই জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পায় না। জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে মৌলিক চাহিদার (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে এবং পূরণ না হলে জীবনযাত্রার মান কমে যায়। আবার জীবনযাত্রার মানের ওপর রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব।
খ) জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি শিশুর শিক্ষাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
উত্তর: শিক্ষিত জনসংখ্যা দেশের সম্পদ। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এ দেশে সাক্ষরতার হার ৪৫.৩। অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নিরক্ষর। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি এ অবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী। দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সরকারের পক্ষে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য শিক্ষার সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, পরিবার বড় হওয়ায় এবং দারিদ্র্যের কারণে অনেক মা-বাবা নিজেরাও সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। এ কারণে বিদ্যালয়ে পড়ার উপযোগী শিশু-কিশোরদের অনেকেই শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গ) বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলো উল্লেখ করো।
উত্তর: সাধারণভাবে জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে তিনটি কারণে। যথা: জন্ম, মৃত্যু ও দেশান্তর। জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি হলে জনসংখ্যা বাড়ে। এ ছাড়া বহিরাগমনের ফলে অধিকসংখ্যক বিদেশি এসে বসবাস শুরু করলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা খুব কম। সাধারণত অধিক জন্মহারের কারণেই এ দেশে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে অধিক জন্মহারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কয়েকটি অন্যতম কারণ হলো—
১. শিক্ষার অভাব: আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার অনেক কম। লোকজন শিক্ষিত হলে নিজের ভালোমন্দ সম্পর্কে সচেতন থাকলে পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণের কথা ভাববে। ফলে পরিবার ছোট রাখে। কিন্তু শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নয়।
২. নারী শিক্ষার অভাব: আমাদের দেশে নারী সাক্ষরতার হার খুবই কম। গ্রামে এ হার আরও কম। সাক্ষরতার নিম্ন হার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ।
৩। বাল্যবিবাহ: বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। কিন্তু এ দেশে এখনো বাল্যবিবাহ প্রচলিত আছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় এবং দরিদ্র পরিবারে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এ কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
৪. অধিক শিশুমৃত্যু: অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি। শিশুদের মৃত্যুহার বেশি বলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবা-মা অধিক সন্তান চান। এ জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঘ) জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে?
উত্তর: বাংলাদেশে জনসংখ্যা অতিদ্রুত বেড়ে চলেছে। সরকার ইতিমধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দেশের ১ নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কেননা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ওপর যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনই নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে তা নিচে উল্লেখ করা হলো—
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের সংখ্যা। আর ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ার ফলে পরিবেশের অন্যতম উপাদান বায়ু বা বাতাস দূষিত হচ্ছে।
২. বিভিন্ন যানবাহনের ব্যবহূত হর্ন শব্দদূষণ করছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৩. জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে দেশের নাগরিকদের সার্বিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য মহামারি আকারে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গাছপালাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
ঙ) আমাদের দেশে নারীর সামাজিক পদমর্যাদা বৃদ্ধির উপায়গুলো লেখো।
উত্তর: দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা ত্বরান্বিত করার জন্য নারীদের সামাজিক পদমর্যাদা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় হলো—
১. নারী শিক্ষার প্রসার
২. নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
৩. নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি।
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ।
ক. আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা অনেক —।
উত্তর: আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা অনেক বেশি।
খ. মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান—।
উত্তর: মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে।
গ. খাদ্যের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির — প্রভাব রয়েছে।
উত্তর: খাদ্যের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব রয়েছে।
ঘ. জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে — হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঙ. বাংলাদেশে প্রতি — জনের একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছেন।
উত্তর: বাংলাদেশে প্রতি ১০৪০ জনের জন্য একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছেন।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক. ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।—‘অ’
খ. গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।—‘শু’
গ. সাধারণত জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে জন্ম ও মৃত্যুর কারণে। —‘শু’
ঘ. বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ দেশান্তর।—‘অ’
ঙ. বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব উন্নত দেশের তুলনায় বেশি।—‘শু’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
ক) বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি
খ) বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১৮ বছর
গ) বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স খুব কম
ঘ) বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা ৮৮১
ঙ) আমাদের দেশে শিশুমৃত্যু হার ৪২১ ইউএস ডলার
উত্তর:
ক) বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৮১।
খ) বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ৪২১ ইউএস ডলার।
গ) বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
ঘ) বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা খুব কম।
ঙ) আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার খুব বেশি।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১) জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ক. ৬ষ্ঠ খ. ৯ম গ. ১০ম ঘ. ১৩তম।
উত্তর: ৯ম।
২। কোনটি বাংলাদেশে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ?
ক. শিক্ষার অভাব খ. দেশান্তর গ. ভৌগোলিক পরিবেশ ঘ. অধিক জন্মহার।
উত্তর: অধিক জন্মহার।
৩। বাংলাদেশের হাসপাতাল চিকিৎসা সুবিধার চেয়ে চিকিৎসা প্রার্থীর সংখ্যা—
ক. কম খ. বেশি গ. খুব কম ঘ. সমান।
উত্তর: বেশি।
৪। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কী হয়েছে?
ক. আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে
খ. সবাই চিকিৎসাসুবিধা পাচ্ছে
গ. বেকার সমস্যা কমেছে
ঘ. দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
উত্তর: আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে।
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) জীবনযাত্রার মানের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: একটি দেশের নাগরিকেরা কতটা উন্নতমানের জীবন যাপন করে, তা বোঝা যায় জীবনযাত্রার মান থেকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন পর্যায়ের। এর একটি অন্যতম কারণ, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। দেশে যা কিছু উৎপাদিত হয়, তা এই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ লোকই জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পায় না। জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে মৌলিক চাহিদার (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে এবং পূরণ না হলে জীবনযাত্রার মান কমে যায়। আবার জীবনযাত্রার মানের ওপর রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব।
খ) জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি শিশুর শিক্ষাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
উত্তর: শিক্ষিত জনসংখ্যা দেশের সম্পদ। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এ দেশে সাক্ষরতার হার ৪৫.৩। অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নিরক্ষর। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি এ অবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী। দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সরকারের পক্ষে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য শিক্ষার সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, পরিবার বড় হওয়ায় এবং দারিদ্র্যের কারণে অনেক মা-বাবা নিজেরাও সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। এ কারণে বিদ্যালয়ে পড়ার উপযোগী শিশু-কিশোরদের অনেকেই শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গ) বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলো উল্লেখ করো।
উত্তর: সাধারণভাবে জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে তিনটি কারণে। যথা: জন্ম, মৃত্যু ও দেশান্তর। জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি হলে জনসংখ্যা বাড়ে। এ ছাড়া বহিরাগমনের ফলে অধিকসংখ্যক বিদেশি এসে বসবাস শুরু করলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাদেশে বহিরাগমনের সংখ্যা খুব কম। সাধারণত অধিক জন্মহারের কারণেই এ দেশে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে অধিক জন্মহারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কয়েকটি অন্যতম কারণ হলো—
১. শিক্ষার অভাব: আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার অনেক কম। লোকজন শিক্ষিত হলে নিজের ভালোমন্দ সম্পর্কে সচেতন থাকলে পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণের কথা ভাববে। ফলে পরিবার ছোট রাখে। কিন্তু শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নয়।
২. নারী শিক্ষার অভাব: আমাদের দেশে নারী সাক্ষরতার হার খুবই কম। গ্রামে এ হার আরও কম। সাক্ষরতার নিম্ন হার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ।
৩। বাল্যবিবাহ: বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। কিন্তু এ দেশে এখনো বাল্যবিবাহ প্রচলিত আছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় এবং দরিদ্র পরিবারে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এ কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
৪. অধিক শিশুমৃত্যু: অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি। শিশুদের মৃত্যুহার বেশি বলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবা-মা অধিক সন্তান চান। এ জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঘ) জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে?
উত্তর: বাংলাদেশে জনসংখ্যা অতিদ্রুত বেড়ে চলেছে। সরকার ইতিমধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দেশের ১ নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কেননা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ওপর যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনই নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে তা নিচে উল্লেখ করা হলো—
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের সংখ্যা। আর ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ার ফলে পরিবেশের অন্যতম উপাদান বায়ু বা বাতাস দূষিত হচ্ছে।
২. বিভিন্ন যানবাহনের ব্যবহূত হর্ন শব্দদূষণ করছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৩. জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে দেশের নাগরিকদের সার্বিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য মহামারি আকারে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গাছপালাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
ঙ) আমাদের দেশে নারীর সামাজিক পদমর্যাদা বৃদ্ধির উপায়গুলো লেখো।
উত্তর: দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা ত্বরান্বিত করার জন্য নারীদের সামাজিক পদমর্যাদা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় হলো—
১. নারী শিক্ষার প্রসার
২. নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
৩. নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি।
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ।
No comments:
Post a Comment