6.6.12

সমাজ :অধ্যায়-৯

 প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক) পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের একটি বড়—
উত্তর: পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের একটি বড় সমস্যা।
খ) পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের—বাড়ছে।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে।
গ) পরিবেশের বিভিন্ন—ওপর নির্ভর করে আমরা বেঁচে থাকি।
উত্তর: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভর করে আমরা বেঁচে থাকি।
ঘ) পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হলো—দ্রুত বৃদ্ধি।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হলো জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি।
ঙ) মাটি দূষণ—নষ্ট করে।
উত্তর: মাটি দূষণ খাদ্যগুণ নষ্ট করে।
 প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখ: 
ক) মানুষ পরিবেশের প্রধান দুষণকারী।— শু
খ) আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে—অ
গ) পরিবেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।—শু
ঘ) পরিবেশের সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা।—শু
ঙ) পরিবেশ দুষণের ফলে দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী বৃদ্ধি পাচ্ছে। —অ
 প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
ক) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ৫ জুন
খ) সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ
গ) পলিথিন নিষিদ্ধ আইন ২০০২
ঘ) পরিবেশ আইন মেনে চলা ১০ জুলাই
ঙ) জাতীয় পরিবেশ নীতি ১৯৯৭
নাগরিক দায়িত্ব 
উত্তর: ক) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ৫ জুন
খ) সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ
গ) পলিথিন নিষিদ্ধ আইন ২০০২
ঘ) পরিবেশ আইন মেনে চলা নাগরিক দায়িত্ব
ঙ) জাতীয় পরিবেশ নীতি ১৯৯৭
 প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১) কোনটি পরিবেশের উপাদান?
ক) গাছপালা খ) পোশাক গ) খেলাধুলা ঘ) খাদ্য। উত্তর: গাছপালা।
২) আমাদের দেশে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ কোনটি?
ক) দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি খ) গাছপালা কাটা গ) নদী ভরাট করা ঘ) পাহাড় কাটা
উত্তর: দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
৩) জাতীয় পরিবেশ নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কার?
ক) সরকারের খ) বিদ্যালয়ের গ) বড়দের ঘ) আমাদের সবার।
উত্তর: আমাদের সবার।
৪) পরিবেশ দূষিত হলে আমাদের বসবাসের পরিবেশ কেমন হয়?
ক) স্বাস্থ্যকর খ) অস্বাস্থ্যকর গ) সুন্দর ঘ) নির্মল।
উত্তর: অস্বাস্থ্যকর।
 প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) পরিবেশ দূষিত হলে সামাজিক পরিবেশের কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: পরিবেশ দূষণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর সুস্থ, সুন্দর জীবন যাপনের পথে একটি বিরাট বাধা ও অন্তরায়। পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের দেশে দেখা দিয়েছে নানা সামাজিক সমস্যা। আমাদের দেশে পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে আমাদের নানা রকম অসুখ-বিসুখ হয়। আজকাল আমাদের দেশে ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন রোগ বেড়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রাণী। প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। সামাজিক পরিবেশে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা। 
খ) জাতীয় পরিবেশ নীতির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো কী?
উত্তর: আমাদের দেশে পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা উপলব্ধি করে সরকার ১৯৯৭ সালে জাতীয় পরিবেশ নীতি ঘোষণা করেছে। এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করা। জাতীয় পরিবেশ নীতির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে—
১. পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা।
২. দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করা।
৩. পরিবেশ দূষণ ও অবক্ষয়মূলক কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
৪. পরিবেশসম্মত উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৫. জাতীয় সম্পদের টেকসই, দীর্ঘমেয়াদি ও পরিবেশসম্মত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৬. পরিবেশসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের যথাসম্ভব সক্রিয় অংশগ্রহণ করা।
জাতীয় পরিবেশ নীতি বাস্তবায়ন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদেরও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। পরিবেশ নীতির দিকগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।
ঘ) আমাদের দেশে পরিবেশ দূষণের কারণগুলো কী?
উত্তর: পরিবেশ নানাভাবে দূষিত হয়। তবে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হলো জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অতিরিক্ত লোকের খাদ্য জোগাতে আমরা জমিতে কীটনাশক ও কৃত্রিম সার ব্যবহার করি। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গাছ কাটি। পাখি শিকার করি, খাল-বিল, নদী ভরাট করে বসতি, দোকানপাট গড়ে তুলি, পাহাড় কেটে সমভূমি গড়ি। যেখানে সেখানে গাড়ির হর্ন দিই। উচ্চ শব্দে মাইক বাজাই। গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বাতাসে ছেড়ে দিয়ে বাতাস দূষিত করি। কলকারখানার বর্জ্য নদীতে ও খোলা জায়গায় ফেলি। এভাবে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন—মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি দূষিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে আমরা পরিবেশকে দূষিত করে চলেছি, যেমন—ইটের ভাটায় গাছ পুড়িয়ে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে, রাস্তা কেটে ও রাস্তার ওপর স্তূপাকারে জিনিস রেখে, সরকার পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। এসব আইন না মানার ফলেও পরিবেশ দূষিত হয়।
ঙ) পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। নাগরিকের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এলাকার পরিবেশ সুন্দর রাখাও আমাদের দায়িত্ব। সরকার পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে। গ্রহণ করেছে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড। যেমন—২০০২ সালে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। অতিথি পাখি ধরা ও শিকার করা আইনত নিষিদ্ধ। পাহাড় কাটা ও জলাভূমি ভরাট ইত্যাদি বেআইনি কাজ। নাগরিক হিসেবে এসব আইন মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। সমাজে যেন এসব আইন মেনে চলে সে বিষয়ে আমাদের লক্ষ রাখা উচিত। এ ছাড়া সরকার পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। যেমন—বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি। এসব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করাও আমাদের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।

No comments:

Post a Comment