প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য পরিবেশ পরিচিতি সমাজ থেকে ধারাবাহিকভাবে অধ্যায়ভিত্তিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আলোচনা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক) মানচিত্র এক ধরনের—।
উত্তর: মানচিত্র এক ধরনের চিত্র।
খ) মানচিত্র — সাহায্যে সহজেই আঁকা যায়।
উত্তর: মানচিত্র ছকবর্গের সাহায্যে সহজেই আঁকা যায়।
গ) মানচিত্র আঁকার ছকবর্গ যত — হবে, মানচিত্র তত নিখুঁত হবে।
উত্তর: মানচিত্র আঁকার ছকবর্গ যত ছোট হবে, মানচিত্র তত নিখুঁত হবে।
ঘ) বাংলাদেশের একসময় অসংখ্য—ধানের ভান্ডার ছিল।
উত্তর: বাংলাদেশে এক সময় অসংখ্য প্রজাতির ধানের ধানের ভান্ডার ছিল।
ঙ) বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য — ।
উত্তর: বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক) তুলা বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। ‘অ’
খ) আমাদের দেশের অনেক প্রজাতির ধান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ‘শু’
গ) বাংলাদেশকে প্রতিবছর বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য কিনতে হয়। ‘শু’
ঘ) পোশাক শিল্পের কাঁচামাল দেশেই পাওয়া যায়। ‘অ’
ঙ) বাংলাদেশ রপ্তানিপ্রধান একটি দেশ। ‘অ’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
উত্তর: ক) মানচিত্রে দূরত্ব পরিমাপের জন্য স্কেল থাকে।
খ) আমাদের দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান।
গ) আমাদের দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ও চিংড়ি মাছ।
ঘ) বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ
ঙ) দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার খনি রয়েছে।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১) বাংলাদেশে কয় ধরনের প্রধান ধান জন্মে?
ক) ৭ খ) ৫ গ) ৩ ঘ) ৬।
উত্তর: ৩।
২) বাংলাদেশের প্রধান মাছের ক্ষেত্র কয়টি?
ক) ৪টি খ) ৫টি গ) ৬টি ঘ) ৮টি।
উত্তর: ৫টি।
৩) দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প কোনটি?
ক) চা শিল্প খ) কুটির শিল্প
গ) পোশাক শিল্প ঘ) পাট শিল্প।
উত্তর: পোশাক শিল্প।
৪) বাংলাদেশের বনভূমিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক) ৬ খ) ৭ গ) ৩ ঘ) ৫।
উত্তর: ৩।
৫) কোনটি সামুদ্রিক মাছ?
ক) রূপচাঁদা খ) রুই গ) পাঙাশ ঘ) বোয়াল।
উত্তর: রূপচাঁদা।
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
উত্তর: অর্থকরী ফসল বলতে যেসব ফসলের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা হয়, সেই সব ফসলকে বোঝায়। বাংলাদেশে পাট একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন কমে গেছে। এখন চা বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
খ) মানচিত্র আঁকার জন্য ছকবর্গ কীভাবে করতে হয়?
উত্তর: ছকবর্গের সাহায্যে মানচিত্র অঙ্কন হলো মানচিত্র আঁকার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। ছকবর্গের সাহায্যে মানচিত্র আঁকার জন্য প্রথমে আমরা যেকোনো ভূগোল বই থেকে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র বেছে নিই। এরপর পেনসিলে মানচিত্রটির ওপর হালকা করে সমান দূরত্ব বা ব্যবধানে উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম বরাবর রেখা আঁকি। রেখাগুলো মানচিত্রটি ঘিরে আঁকতে হবে। উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে টানা রেখাগুলো পরস্পর ছেদ করে এক একটি ছকবর্গ তৈরি করবে। ফলে বেশ কয়েকটি ছকবর্গ হবে। ছকবর্গ যত ছোট হবে, মানচিত্রটি তত নিখুঁতভাবে আঁকা সম্ভব হবে বা মানচিত্রটি আঁকা সঠিক হবে।
গ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে কৃষিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি। কৃষিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে খাদ্যশস্য, অর্থকরী ফসল, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি।
খাদ্যশস্য—ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, মসলা, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
অর্থকরী ফসল—চা, পাট, তামাক, ইক্ষু, তুলা, রেশম ইত্যাদি।
মৎস্য সম্পদ—রুই, কাতলা, ইলিশ, চিতল, চিংড়ি, কই, মাগুর, শিং ইত্যাদি।
খনিজ সম্পদ—কয়লা, পিট কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা বালি, খনিজ বালি, কঠিন শিলা ইত্যাদি।
বনজ সম্পদ—সেগুন, মেহগনি, ময়না, চাপালিশ, তেলসুর, জলপাই, ছাতিম, কদম, জামরুল, জাম, গামারি, শিমুল, শাল, গোলপাতা, কেওড়া, গরান ইত্যাদি।
ঘ) বাংলাদেশের মাছের ক্ষেত্রগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশের মৎস্য ক্ষেত্রগুলো হলো, নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ, কৃত্রিম জলাশয়ের মাছ, বাংলাদেশের মোহনা বা খাড়ির মাছ, উপকূলীয় অঞ্চলের নোনা পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছ।
নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয়—নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয় হলো নদী, খাল বিল, ঝিল, হাওর, বাঁওড় ইত্যাদি। এসব জলাশয়ে মিঠা পানির মাছের মধ্যে রয়েছে ইলিশ, রুই, কাতলা, মৃগেল, বাউস, কালবাউস, আড়, বোয়াল, চিতল, বাটা, চিংড়ি প্রভৃতি।
কৃত্রিম জলাশয়ের মাছ—এসব জলায়ের মধ্যে রয়েছে পুকুর, দিঘি, হ্রদ ইত্যাদি। যেমন, কাপ্তাই হ্রদ, সেচখাল ইত্যাদি। এসব জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাউস, কালবাউস, শোল, গজার প্রভৃতি মাছ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের মোহনা বা খাড়ির মাছ—বাংলাদেশের মোহনায় চিংড়ি, ইলিশ, তপসে, ভেটকি, কুড়াল, ফাইসা, বাঁশপাতা, চেলা ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়।
উপকূলীয় অঞ্চলের নোনা পানির মাছ—বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি মাছের ব্যাপক চাষ হয়। উৎপাদিত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
সামুদ্রিক মাছ—সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভেটকি, লৈটা, চেলা, পোয়া, রূপচাঁদা, ভারতীয় স্যামন, ছুরিমাছ উল্লেখযোগ্য।
ঙ) আমদানি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো দেশে কোনো দ্রব্য বা পণ্য উৎপাদন না হলে অথবা অভাব থাকলে এবং তা বিদেশ থেকে আনা হলে তাকে আমদানি পণ্য বলে। আমদানি সাধারণত বাণিজ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মুদ্রায় হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য, বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, অন্যান্য যন্ত্রপাতি, গাড়ি, ওষুধ, কসমেটিকস, কাপড় ইত্যাদি প্রধানত আমদানি করে।
চ) বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদের একটি তালিকা দাও।
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের দেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলো প্রধানত দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এ ছাড়া কয়লা, পিট কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা বালি, খনিজ বালি, কঠিন শিলা ইত্যাদি পাওয়া যায়। রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায়, জামালগঞ্জ ও দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লার খনি আছে। পিট কয়লা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। তবে ফরিদপুর, খুলনায় পিট কয়লার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে খনি রয়েছে। পিট কয়লা নিকৃষ্ট মানের কয়লা। সিলেট অঞ্চলে দেশের অন্যতম চুনাপাথরের খনি রয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা অঞ্চলে সিলিকা বালি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছড়ানোভাবে খনিজ বালি পাওয়া যায়। দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার খনি রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে খনিজ তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছ) বাংলাদেশের বনভূমি কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের বনভূমিকে তিনটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়। অঞ্চলগুলো হলো, পাহাড়ি বনভূমি, শালবৃক্ষের বনভূমি, ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
পাহাড়ি বনভূমি—চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় এই বনভূমি দেখা যায়।
শালবৃক্ষের বনভূমি—ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ে প্রধানত শালবৃক্ষের বনভূমি অবস্থিত।
ম্যানগ্রোভ বনভূমি—বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এই ধরনের বনভূমি বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলায়ও রয়েছে।
প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক) মানচিত্র এক ধরনের—।
উত্তর: মানচিত্র এক ধরনের চিত্র।
খ) মানচিত্র — সাহায্যে সহজেই আঁকা যায়।
উত্তর: মানচিত্র ছকবর্গের সাহায্যে সহজেই আঁকা যায়।
গ) মানচিত্র আঁকার ছকবর্গ যত — হবে, মানচিত্র তত নিখুঁত হবে।
উত্তর: মানচিত্র আঁকার ছকবর্গ যত ছোট হবে, মানচিত্র তত নিখুঁত হবে।
ঘ) বাংলাদেশের একসময় অসংখ্য—ধানের ভান্ডার ছিল।
উত্তর: বাংলাদেশে এক সময় অসংখ্য প্রজাতির ধানের ধানের ভান্ডার ছিল।
ঙ) বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য — ।
উত্তর: বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক) তুলা বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। ‘অ’
খ) আমাদের দেশের অনেক প্রজাতির ধান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ‘শু’
গ) বাংলাদেশকে প্রতিবছর বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য কিনতে হয়। ‘শু’
ঘ) পোশাক শিল্পের কাঁচামাল দেশেই পাওয়া যায়। ‘অ’
ঙ) বাংলাদেশ রপ্তানিপ্রধান একটি দেশ। ‘অ’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
উত্তর: ক) মানচিত্রে দূরত্ব পরিমাপের জন্য স্কেল থাকে।
খ) আমাদের দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান।
গ) আমাদের দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ও চিংড়ি মাছ।
ঘ) বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ
ঙ) দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার খনি রয়েছে।
প্রশ্ন: সঠিক উত্তরটি লেখো।
১) বাংলাদেশে কয় ধরনের প্রধান ধান জন্মে?
ক) ৭ খ) ৫ গ) ৩ ঘ) ৬।
উত্তর: ৩।
২) বাংলাদেশের প্রধান মাছের ক্ষেত্র কয়টি?
ক) ৪টি খ) ৫টি গ) ৬টি ঘ) ৮টি।
উত্তর: ৫টি।
৩) দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প কোনটি?
ক) চা শিল্প খ) কুটির শিল্প
গ) পোশাক শিল্প ঘ) পাট শিল্প।
উত্তর: পোশাক শিল্প।
৪) বাংলাদেশের বনভূমিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক) ৬ খ) ৭ গ) ৩ ঘ) ৫।
উত্তর: ৩।
৫) কোনটি সামুদ্রিক মাছ?
ক) রূপচাঁদা খ) রুই গ) পাঙাশ ঘ) বোয়াল।
উত্তর: রূপচাঁদা।
প্রশ্ন: সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
উত্তর: অর্থকরী ফসল বলতে যেসব ফসলের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা হয়, সেই সব ফসলকে বোঝায়। বাংলাদেশে পাট একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন কমে গেছে। এখন চা বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
খ) মানচিত্র আঁকার জন্য ছকবর্গ কীভাবে করতে হয়?
উত্তর: ছকবর্গের সাহায্যে মানচিত্র অঙ্কন হলো মানচিত্র আঁকার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। ছকবর্গের সাহায্যে মানচিত্র আঁকার জন্য প্রথমে আমরা যেকোনো ভূগোল বই থেকে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র বেছে নিই। এরপর পেনসিলে মানচিত্রটির ওপর হালকা করে সমান দূরত্ব বা ব্যবধানে উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম বরাবর রেখা আঁকি। রেখাগুলো মানচিত্রটি ঘিরে আঁকতে হবে। উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে টানা রেখাগুলো পরস্পর ছেদ করে এক একটি ছকবর্গ তৈরি করবে। ফলে বেশ কয়েকটি ছকবর্গ হবে। ছকবর্গ যত ছোট হবে, মানচিত্রটি তত নিখুঁতভাবে আঁকা সম্ভব হবে বা মানচিত্রটি আঁকা সঠিক হবে।
গ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে কৃষিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি। কৃষিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে খাদ্যশস্য, অর্থকরী ফসল, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি।
খাদ্যশস্য—ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, মসলা, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
অর্থকরী ফসল—চা, পাট, তামাক, ইক্ষু, তুলা, রেশম ইত্যাদি।
মৎস্য সম্পদ—রুই, কাতলা, ইলিশ, চিতল, চিংড়ি, কই, মাগুর, শিং ইত্যাদি।
খনিজ সম্পদ—কয়লা, পিট কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা বালি, খনিজ বালি, কঠিন শিলা ইত্যাদি।
বনজ সম্পদ—সেগুন, মেহগনি, ময়না, চাপালিশ, তেলসুর, জলপাই, ছাতিম, কদম, জামরুল, জাম, গামারি, শিমুল, শাল, গোলপাতা, কেওড়া, গরান ইত্যাদি।
ঘ) বাংলাদেশের মাছের ক্ষেত্রগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশের মৎস্য ক্ষেত্রগুলো হলো, নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ, কৃত্রিম জলাশয়ের মাছ, বাংলাদেশের মোহনা বা খাড়ির মাছ, উপকূলীয় অঞ্চলের নোনা পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছ।
নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয়—নদী বা প্রাকৃতিক জলাশয় হলো নদী, খাল বিল, ঝিল, হাওর, বাঁওড় ইত্যাদি। এসব জলাশয়ে মিঠা পানির মাছের মধ্যে রয়েছে ইলিশ, রুই, কাতলা, মৃগেল, বাউস, কালবাউস, আড়, বোয়াল, চিতল, বাটা, চিংড়ি প্রভৃতি।
কৃত্রিম জলাশয়ের মাছ—এসব জলায়ের মধ্যে রয়েছে পুকুর, দিঘি, হ্রদ ইত্যাদি। যেমন, কাপ্তাই হ্রদ, সেচখাল ইত্যাদি। এসব জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাউস, কালবাউস, শোল, গজার প্রভৃতি মাছ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের মোহনা বা খাড়ির মাছ—বাংলাদেশের মোহনায় চিংড়ি, ইলিশ, তপসে, ভেটকি, কুড়াল, ফাইসা, বাঁশপাতা, চেলা ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়।
উপকূলীয় অঞ্চলের নোনা পানির মাছ—বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি মাছের ব্যাপক চাষ হয়। উৎপাদিত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
সামুদ্রিক মাছ—সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভেটকি, লৈটা, চেলা, পোয়া, রূপচাঁদা, ভারতীয় স্যামন, ছুরিমাছ উল্লেখযোগ্য।
ঙ) আমদানি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো দেশে কোনো দ্রব্য বা পণ্য উৎপাদন না হলে অথবা অভাব থাকলে এবং তা বিদেশ থেকে আনা হলে তাকে আমদানি পণ্য বলে। আমদানি সাধারণত বাণিজ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মুদ্রায় হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য, বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, অন্যান্য যন্ত্রপাতি, গাড়ি, ওষুধ, কসমেটিকস, কাপড় ইত্যাদি প্রধানত আমদানি করে।
চ) বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদের একটি তালিকা দাও।
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের দেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলো প্রধানত দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এ ছাড়া কয়লা, পিট কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা বালি, খনিজ বালি, কঠিন শিলা ইত্যাদি পাওয়া যায়। রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায়, জামালগঞ্জ ও দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লার খনি আছে। পিট কয়লা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। তবে ফরিদপুর, খুলনায় পিট কয়লার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে খনি রয়েছে। পিট কয়লা নিকৃষ্ট মানের কয়লা। সিলেট অঞ্চলে দেশের অন্যতম চুনাপাথরের খনি রয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা অঞ্চলে সিলিকা বালি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছড়ানোভাবে খনিজ বালি পাওয়া যায়। দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার খনি রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে খনিজ তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছ) বাংলাদেশের বনভূমি কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের বনভূমিকে তিনটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়। অঞ্চলগুলো হলো, পাহাড়ি বনভূমি, শালবৃক্ষের বনভূমি, ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
পাহাড়ি বনভূমি—চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় এই বনভূমি দেখা যায়।
শালবৃক্ষের বনভূমি—ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ে প্রধানত শালবৃক্ষের বনভূমি অবস্থিত।
ম্যানগ্রোভ বনভূমি—বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এই ধরনের বনভূমি বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলায়ও রয়েছে।
No comments:
Post a Comment