10.4.12

বিজ্ঞান: অধ্যায়-৭ পদার্থ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ ৭ নম্বর অধ্যায়ের ‘পদার্থ’ থেকে শূন্যস্থান পূরণ আলোচনা করব। এ ধরনের অন্য প্রশ্নোত্তরের জন্য অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়বে।
# শূন্যস্থান পূরণ করো:
প্রশ্ন: পদার্থ — বা — দখল করে।
উত্তর: পদার্থ স্থান বা জায়গা দখল করে।
প্রশ্ন: পদার্থের — আছে।
উত্তর: পদার্থের ওজন আছে।
প্রশ্ন: পদার্থের একটি সীমাবদ্ধ অংশকে — বলে।
উত্তর: পদার্থের একটি সীমাবদ্ধ অংশকে বস্তু বলে।
প্রশ্ন: লোহা একটি পদার্থ, কিন্তু লোহার তৈরি রড একটি —।
উত্তর: লোহা একটি পদার্থ, কিন্তু লোহার তৈরি রড একটি বস্তু।
প্রশ্ন: জড়বস্তু ও জীব সবই — তৈরি।
উত্তর: জড়বস্তু ও জীব সবই পদার্থের তৈরি।
প্রশ্ন: আমাদের পৃথিবী সকল বস্তুকে নিজের দিকে — করে।
উত্তর: আমাদের পৃথিবী সকল বস্তুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে।
প্রশ্ন: কোনো বস্তুর প্রতি পৃথিবীর যে টান, তা হলো ওই বস্তুর —।
উত্তর: কোনো বস্তুর প্রতি পৃথিবীর যে টান, তা হলো ওই বস্তুর ওজন।
প্রশ্ন: কোনো বস্তুর মধ্যে উপস্থিত মোট পদার্থের পরিমাণকে বস্তুটির — বলে।
উত্তর: কোনো বস্তুর মধ্যে উপস্থিত মোট পদার্থের পরিমাণকে বস্তুটির ভর বলে।
প্রশ্ন: বস্তুর — তার ভরের ওপর নির্ভর করে।
উত্তর: বস্তুর ওজন তার ভরের ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর — ওপরও নির্ভর করে।
উত্তর: কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর দূরত্বের ওপরও নির্ভর করে।
প্রশ্ন: চাঁদে বা অন্য কোথাও নিয়ে গেলে বস্তুর — বদলে যায়, কিন্তু বস্তুর — একই থাকে।
উত্তর: চাঁদে বা অন্য কোথাও নিয়ে গেলে বস্তুর ওজন বদলে যায়, কিন্তু বস্তুর ভর একই থাকে।
প্রশ্ন: সকল পদার্থের — সাধারণ ধর্ম আছে।
উত্তর: সকল পদার্থের দুটি সাধারণ ধর্ম আছে।
প্রশ্ন: পদার্থের সাধারণ ধর্ম দুটি হলো — ও —।
উত্তর: পদার্থের সাধারণ ধর্ম দুটি হলো পদার্থ স্থান দখল করে ও পদার্থের ওজন আছে।
প্রশ্ন: গঠন অনুসারে পদার্থ দুই প্রকার, যেমন: — ও — পদার্থ।
উত্তর: গঠন অনুসারে পদার্থ দুই প্রকার, যেমন: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
প্রশ্ন: তাপমাত্রার পরিবর্তনে পদার্থের — পরিবর্তন হয়।
উত্তর: তাপমাত্রার পরিবর্তনে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়।
# সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো:
প্রশ্ন: পদার্থের দুটি সাধারণ গুণ বা বৈশিষ্ট্য কী?
ক. এদের আকার ও ওজন আছে
খ. এদের আকার ও আয়তন আছে
গ. এরা স্থান দখল করে ও এদের ওজন আছে
ঘ. এরা পাত্র দখল করে ও আকার আছে
উত্তর: খ. এরা স্থান দখল করে ও এদের ওজন আছে
প্রশ্ন: কোনটি পদার্থ নয়?
ক. বায়ু খ. শব্দ গ. মাটি ঘ. পানি উত্তর: খ. শব্দ
প্রশ্ন: চাঁদে বা অন্য কোনো গ্রহে নিয়ে গেলে কোনো বস্তুর কী পরিবর্তন হবে?
ক. বস্তুর ভর একই থাকবে, ওজন বদলাবে
খ. বস্তুর ভর ও ওজন দুটিই বদলাবে
গ. বস্তুর ওজন একই থাকবে, ভর বদলাবে
ঘ. বস্তুর ভর, ওজন, আয়তন তিনটিই বদলাবে
উত্তর: ক. বস্তুর ভর একই থাকবে, ওজন বদলাবে।
প্রশ্ন: কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
ক. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে, নির্দিষ্ট আয়তন নেই
খ. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট আকার নেই
গ. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে
ঘ. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট ওজন নেই
উত্তর: গ. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে
প্রশ্ন: তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
ক. তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে, নির্দিষ্ট আয়তন নেই
খ. তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট আকার নেই
গ. তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে
ঘ. তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট ওজন নেই
উত্তর: খ. তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট আকার নেই
প্রশ্ন: বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
ক. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে, নির্দিষ্ট আয়তন নেই
খ. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, নির্দিষ্ট আকার নেই
গ. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে, নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই
ঘ. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও ওজন আছে, নির্দিষ্ট আকার নেই।
উত্তর: গ. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে, নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই।
প্রশ্ন: তাপ দিলে তরল না হয়ে বাষ্পে পরিণত হয় কোনটি?
ক. লোহা খ. কর্পূর গ. বরফ ঘ. কাঠ।
উত্তর: খ. কর্পূর
প্রশ্ন: প্রতিটি বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে—এ তথ্যটি আবিষ্কার করেছেন কে?
ক. বিজ্ঞানী আইনস্টাইন খ. বিজ্ঞানী নিউটন
গ. বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ঘ. বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
উত্তর: খ. বিজ্ঞানী নিউটন

# শুদ্ধ-ভুল নির্ণয় করো:
প্রশ্ন: সব পদার্থই তিনটি ভৌত অবস্থায় থাকতে পারে।
উত্তর: সব পদার্থই তিনটি ভৌত অবস্থায় থাকতে পারে—শুদ্ধ
প্রশ্ন: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই।
উত্তর: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই—ভুল।
প্রশ্ন: পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, বস্তুর ওপর পৃথিবীর টান তত কমে যায়।
উত্তর: পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, বস্তুর ওপর পৃথিবীর টান তত কমে যায়—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: বরফ পানির কঠিন অবস্থা।
উত্তর: বরফ পানির কঠিন অবস্থা—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: কঠিন লোহাকে উত্তপ্ত করলে লোহা তরল অবস্থায় পরিণত হয়।
উত্তর: কঠিন লোহাকে উত্তপ্ত করলে লোহা তরল অবস্থায় পরিণত হয়—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: বায়ু কোনো পদার্থ নয়।
উত্তর: বায়ু কোনো পদার্থ নয়—ভুল।
প্রশ্ন: বরফকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়।
উত্তর: বরফকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়—ভুল।
প্রশ্ন: পদার্থ যেমন জায়গা দখল করে, তেমনি এর ওজন আছে।
উত্তর: পদার্থ যেমন জায়গা দখল করে, তেমনি এর ওজন আছে—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: যে অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকৃতি নেই, তাকে তরল অবস্থা বলে।
উত্তর: যে অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকৃতি নেই, তাকে তরল অবস্থা বলে—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: প্রতিটি পদার্থের অবস্থা চারটি।
উত্তর: প্রতিটি পদার্থের অবস্থা চারটি—ভুল।
প্রশ্ন: তাপ প্রয়োগে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় না।
উত্তর: তাপ প্রয়োগে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় না—ভুল।
প্রশ্ন: তাপ দিলে ন্যাপথলিন সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়।
উত্তর: তাপ দিলে ন্যাপথলিন সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: শব্দ কোনো পদার্থ নয়।
উত্তর: শব্দ কোনো পদার্থ নয়—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: অক্সিজেন একটি বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থ।
উত্তর: অক্সিজেন একটি বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থ—শুদ্ধ।
প্রশ্ন: বরফ + তাপ = পানি, পানি + তাপ = জলীয় বাষ্প।
উত্তর: বরফ + তাপ = পানি, পানি + তাপ = জলীয় বাষ্প—শুদ্ধ।

# সংক্ষেপে উত্তর দাও:
প্রশ্ন: পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যা জায়গা দখল করে, যার ওজন আছে এবং বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে পদার্থ বলে। যেমন: মাটি, পানি, লোহা, কাচ ইত্যাদি।
প্রশ্ন: কঠিন, তরল, বায়বীয় পদার্থের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কঠিন পদার্থ, যেমন: কাঠ, লোহা, কয়লা, পাথর। তরল পদার্থ, যেমন: পানি, দুধ, তেল, মধু। বায়বীয় পদার্থ, যেমন: অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড।
প্রশ্ন: পদার্থের সাধারণ গুণ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: পদার্থের সাধারণ গুণ দুটি, যেমন—
১. পদার্থ জায়গা বা স্থান দখল করে;
২. পদার্থের ওজন আছে।
প্রশ্ন: পদার্থের অবস্থা কয়টি?
উত্তর: পদার্থের অবস্থা তিনটি। যেমন: কঠিন, তরল ও বায়বীয় বা গ্যাসীয়।
প্রশ্ন: কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—
১. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে।
২. কঠিন পদার্থের ওজন আছে ও স্থান দখল করে।
৩. সাধারণত কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত হয়।
৪. কিছু কিছু কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। যেমন: ন্যাপথলিন, কর্পূর।
৫. কঠিন পদার্থকে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—
১. তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। যে পাত্রে রাখা হয়, সে পাত্রের আকার ধারণ করে।
২. তরল পদার্থের ওজন আছে ও স্থান দখল করে।
৩. তাপ দিলে তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হয়।
৪. তরল পদার্থ নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।
৫. ঠান্ডা করলে তরল পদার্থ কঠিন পদার্থে পরিণত হয়।
প্রশ্ন: বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: নিচে বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো—
১. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই।
২. বায়বীয় পদার্থ স্থান দখল করে ও ওজন আছে।
৩. বায়বীয় পদার্থকে ঠান্ডা করলে তরল পদার্থে পরিণত হয়।
৪. বায়বীয় পদার্থকে যে স্থানে রাখা হয়, তা সমস্ত জায়গা জুড়ে থাকে।
প্রশ্ন: বস্তুর ভর বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান মোট পদার্থের পরিমাণকে বস্তুর ভর বলে। বস্তুর ভর সব স্থানে একই থাকে। এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্ন: বস্তুর ওজন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো বস্তুর ভরের ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বা টানকে বস্তুর ওজন বলে। বস্তুর ওজন একেক স্থানে একেক রকম হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: চাঁদে বা অন্য গ্রহে নিয়ে গেলে বস্তুর ওজনের কী পরিবর্তন হবে? কেন হবে?
উত্তর: কোনো বস্তুকে চাঁদে বা অন্য কোনো গ্রহে নিয়ে গেলে বস্তুর ওজনের পরিবর্তন হবে, কিন্তু ভরের কোনো পরিবর্তন হবে না।
কারণ, বস্তুর ওজন হলো বস্তুর ভরের ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বা টান। চাঁদেরও আকর্ষণ বা টান আছে, কিন্তু পৃথিবীর টান চাঁদের চেয়ে বেশি। তাই চাঁদে বস্তুর ওজন পৃথিবীর তুলনায় কম হবে।
আবার অন্য কোনো গ্রহে নিয়ে গেলে যদি গ্রহের টান পৃথিবীর তুলনায় কমবেশি হয়, তবে বস্তুর ওজন পৃথিবীর তুলনায় কমবেশি হবে। তাই কোনো বস্তুকে পৃথিবী থেকে চাঁদে কিংবা অন্য কোনো গ্রহে নিয়ে গেলে বস্তুর ওজনের পরিবর্তন হতে পারে।

No comments:

Post a Comment