28.2.12

অধ্যায়: তিন সমাজ



প্রশ্ন: জীবনে পরিপূর্ণ মানুষ হতে কী কী গুণাবলি প্রয়োজন?
উত্তর: আমরা ক্লাব, সংঘ ও প্রতিষ্ঠানের সদস্য হব ও নিয়মকানুন মেনে চলব। একতা, সংঘবদ্ধতা, সহযোগিতা ইত্যাদি ক্লাব, সংঘ ও প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি। এ ছাড়া আমরা সত্যবাদিতা, ন্যায়বোধ, কর্তব্যবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, শিষ্টাচার, সদাচরণ, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ও সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি অনুসরণ করব। এগুলো আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ একতা, সংঘবদ্ধতা ও সহযোগিতা সমাজের সবার মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে। সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে। ফলে সমাজের মানুষের মধ্যে বন্ধন গভীর হয়। মানুষের মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হয়। দেশের জন্য ভালোবাসা জন্মে। সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সদাচরণ করতে শেখায়। জীবনে শৃঙ্খলা আনে। পরিপূর্ণ মানুষ হতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: সুনাগরিকের কী কী গুণ থাকা দরকার?
উত্তর: আমরা আমাদের প্রতিবেশীসহ সমাজের সবার সঙ্গে সদ্ভাব রাখব এবং সবার সঙ্গে সদাচরণ করব। প্রতিবেশী ও অন্যদের বিপদে আপদে সাহায্য করব। বড়দেব সম্মান করব। পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের সেবা করব ও যত্ন নেব। গরিব দুঃখীদের সাহায্য করব। ছোট-বড় কারও মনে কষ্ট দেব না। ছোটদের ভালোবাসব। এভাবে আমরা ভালো বা ন্যায় কাজ করব। কাউকে কটু কথা বলা, কারও সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ করা, শিক্ষক ও গুরুজনদের অসম্মান করা, গরিব দুঃখীদের হেয় চোখে দেখা ইত্যাদি মন্দ ও অন্যায় কাজ। আমরা কখনো মন্দ বা অন্যায় কাজ করব না। এ রকম কাজ যদি কেউ করে তাহলে তাকে সমর্থন করব না। আমাদের সবার দায়িত্ব সব সময় ন্যায় কাজকে সমর্থন করা এবং অন্যায় কাজ বর্জন করা। আমরা নিয়মিত নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবে যোগ দেব। অন্যকেও যোগ দিতে উৎসাহিত করব। এসব অনুষ্ঠান কেউ যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখব। আমাদের চরিত্র গঠন, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে এবং সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা ধার্মিক ব্যক্তিদের সম্মান করব। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংরক্ষণে সচেতন থাকব।

No comments:

Post a Comment