রশ্ন: পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আমাদের করণীয় কী কী?
উত্তর: মানুষ যেখানে থাকে তা পরিষ্কার রাখা একান্ত প্রয়োজন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্থ রাখে। বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখে, আবার আমাদের মনও ভালো রাখে। শরীর ও মন ভালো থাকলে লেখাপড়া ভালো হয়। আমাদের চারপাশের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি পরিষ্কার ও সুন্দর রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন সকাল ও বিকাল ঘর ও উঠোন ঝাঁট দিতে হবে। আসবাব পত্র মুছতে হবে। বাড়ির জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। নিয়মিত গোসলখানা ও শৌচাগার পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির সব ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। পরিবারের সদস্য হিসেবে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি পরিষ্কার রাখলেই চলবে না। সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের পাড়া বা মহল্লাও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। পাড়া বা মহল্লার রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে হবে। নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখতে হবে। পাড়ার মাঠ, পুকুর বা জলাশয় পরিষ্কার রাখা একান্ত প্রয়োজন। এসব জায়গা নোংরা বা অপরিষ্কার থাকলে মশামাছিসহ নানা কীটপতঙ্গের জন্ম হয়। ফলে ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। ফুলের টব বা ঘরের কোণে পানি জমে থাকলে তা থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। যা থেকে ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগ হয়। বড়দের সঙ্গে পাড়া ও মহল্লা পরিষ্কার রাখার কাজে সমাজের সদস্য হিসেবে আমরাও অংশগ্রহণ করব। আমরা সবাই লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাই। দিনের অনেকটা সময় বিদ্যালয়ে কাটাই। বিদ্যালয়কে আমরা ভালোবাসি। বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা সবার দায়িত্ব। বিদ্যালয় অপরিষ্কার থাকলে লেখাপড়ায় যেমন মন বসতে চায় না, তেমনি তা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
ধুলোবালি, ছেঁড়া-নোংরা কাগজ, খাদ্যের উচ্ছিষ্ট, দেয়ালে লিখন, যেখানে-সেখানে কফ, থুতু ফেলা ইত্যাদি বিদ্যালয়কে অপরিচ্ছন্ন করে। বিদ্যালয়ের আশপাশের আগাছা নর্দমা ও অপরিষ্কার জলাশয় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির কারণ হতে পারে। বিদ্যালয়ের শৌচাগার যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলেও বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই আমরা সহপাঠীরা দলগতভাবে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, খেলার মাঠ, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন রাখব। নিজের কাজ নিজে করার আনন্দ উপভোগ করব। এভাবে সবাই বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে সহযোগিতা করলে আমাদের পরিবেশ সুন্দর থাকবে এবং শ্রমের মর্যাদাও প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন: শ্রমজীবীদের কেন আমাদের শ্রদ্ধা করা প্রয়োজন?
উত্তর: আজকের উন্নত জাপান, চীন কিংবা মালয়েশিয়ার দিকে যদি তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই শ্রমিকেরাই এই উন্নতির মূল চালিকাশক্তি। সমাজে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমরা শ্রমজীবীদের ওপর নির্ভলশীল। সব কাজেরই রয়েছে সমান গুরুত্ব। দেশের উন্নতিতেও রয়েছে তাঁদের কায়িক শ্রমের ভূমিকা। তাঁদের শ্রমের কারণেই সমাজ ও রাষ্ট্র তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে। শ্রমিকের শ্রম ছাড়া আমাদের সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারতাম না। আমাদের প্রতিদিনই প্রায় সব প্রয়োজনে তাঁদের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা সবাই শ্রমজীবী মানুষের সেবা লাভ করি। তাঁদের কোনো কাজকে ছোট মনে করব না। শ্রমজীবীদের আমরা ভালোবাসব। প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতা করব এবং বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াব। তাঁদের কাজকে আমরা শ্রদ্ধা করব এবং তাদেরও আমরা শ্রদ্ধা করব।
No comments:
Post a Comment