3.9.11

বিজ্ঞান : তথ্যা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

সুবল চন্দ্র পাল
প্রধান শিক্ষক, খিলগাঁও গভ. কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা।
অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ্ত্র

প্রশ্ন : কম্পিউটার কী?
উত্তর : কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর অবদান বা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার। সাধারণ ভাষায় কম্পিউটার শব্দের অর্থ ‘গণনাকারী’ বা হিসাবকারী’। কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র।
প্রশ্ন : কম্পিউটার কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : সভ্যতার বিকাশে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার অসংখ্য কাজে ব্যবহূত হয়। কম্পিউটার তথ্য সংগ্রহ করে। মানুষের নির্দেশ অনুযায়ী তথ্যের বিন্যাস বা প্রক্রিয়াজাত করে। প্রয়োজন অনুযায়ী ফলাফল তৈরি করে।
কম্পিউটার মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে। কাজ করতে গিয়ে কম্পিউটার ক্লান্ত হয়ে পড়ে না এবং একদম নির্ভুল কাজ করে। কম্পিউটার সেকেন্ডে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ গাণিতিক হিসাব কষতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ও ব্যাংকে টাকা লেনদেনের কাজে কম্পিউটার ব্যবহূত হয়। কম্পিউটার ব্যবহূত হয় শিক্ষা ও গবেষণার কাজে। প্রতিরক্ষা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের কাজেও কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। চিকিত্সা ক্ষেত্রে, রোগ নির্ণয়, রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ওষুধ নির্বাচন, রোগীর যাবতীয় রেকর্ড সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। ছবি ও চলচ্চিত্র নির্মাণ, শিল্প-কারখানার পণ্যের গুণগত মান নির্ণয়, ছাপার কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যাপক। ইন্টারনেট ও ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করতে ও ইন্টারনেট জ্ঞানের ভাণ্ডার সংরক্ষণ করতে কম্পিউটার অপরিহার্য।
কম্পিউটার এতসব কাজ করতে পারলেও মানুষের নির্দেশ ছাড়া কোনো কাজ করতে পারে না। মানুষ কম্পিউটারকে যেভাবে কাজ করায় কম্পিউটার সেভাবেই কাজ করে। এজন্য মানুষ নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি করে দেয়। সে প্রোগ্রাম অনুসারেই কম্পিউটার কাজ করে।
প্রশ্ন : ইন্টারনেট কাকে বলে?
উত্তর : তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ যুগের সবচেয়ে বিস্মকর আবিষ্কার হল ইন্টারনেট। বর্তমানে তথ্য তৈরি, সংরক্ষণ, আধুনিকীকরণ ও বিতরণের জন্য সারা বিশ্বে তৈরি হয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য এবং তথ্য আদান প্রদান করার জন্য বিশ্বের সব কম্পিউটার জাল বুননের মতো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে তাকে ইন্টারনেট বলে। এটি শুধু একটি নেটওয়ার্ক নয়, অনেক নেটওয়ার্কের সংযোগ।
প্রশ্ন :  কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়?
উত্তর : তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহ এক বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উঁচুতে কৃত্রিম উপগ্রহকে এমনভাবে স্থাপন করা হয় যাতে কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীকে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে প্রচারিত তথ্য, কথা, ছবি ইত্যাদি বিদ্যুত্ চুম্বক তরঙ্গরূপে কৃত্রিম উপগ্রহের পৌঁছায়। কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ওই তরঙ্গ পৌঁছে আবারও তথ্য, কথা, ছবি ইত্যাদিরূপে প্রচার হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যে উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ায় সাহায্য করে তাকে আবহাওয়া উপগ্রহ বলে। কৃত্রিম উপগ্রহের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল আবহাওয়া সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ায় সাহায্যে করা।

No comments:

Post a Comment