7.8.12

আমার প্রিয় বই

আমার প্রিয় বই

(এই রচনা অনুসরণে নিচে রচনাগুলো লেখা যাবে:
আমার প্রিয় গল্প, আমার জানা রূপকথা, একটি কল্পকাহিনী)
ভূমিকা
বর্ণ পরিচয়ের আগে মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। অনেক বইয়ের কাহিনি শুনেছি। পড়তে শেখার পর গল্পের বই পড়া আমার প্রায় নিত্যদিনের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে যেটুকু সময় পাই, তা আমি গল্পের বই পড়েই কাটাই। এ পর্যন্ত পড়া আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর টুনটুনির গল্প।
বইটির সঙ্গে পরিচয়
পরীক্ষা শেষে ভাবছিলাম কী করব। ঘরে যা বই আছে ভূত, পেতনি, দৈত্য-দানবের কাহিনি ভরা সবই পড়া হয়ে গেছে। কার্টুন বই কয়টা ছিল তাও পড়া শেষ। এক দুপুরে এমনি ভাবনার সময় আব্বু অফিস থেকে ফিরে এসে আমার হাতে গুঁজে দিলেন ঝকঝকে মলাটের চমৎকার বই টুনটুনির গল্প।
ভালো লাগা গল্পটি
বইয়ের অনেকগুলো গল্পের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘টুনটুনি আর বিড়াল’ গল্পটি। যত দূর মনে পড়ে, গল্পটা হলো এ রকম: এক গৃহস্থের ঘরের পেছনে বেগুনগাছে টুনটুনি পাখি বাসা বেঁধেছে। বাসার ভেতর তিনটি ছোট্ট ছোট্ট ছানা হয়েছে।
গৃহস্থের বিড়ালটা ছিল ভারি দুষ্টু। সে খালি ভাবে, টুনটুনির ছানা খাব। একদিন সে বেগুনগাছের তলায় এসে বলল, ‘কী করছিস টুনটুনি?’ টুনটুনি মাথা হেট করে বিড়ালকে বলল, ‘সালাম মহারানি।’ বিড়াল খুশি হয়ে চলে গেল।
এমনি রোজ আসে বিড়াল। টুনটুনি তাকে সালাম জানায় আর মহারানি বলে। এর মধ্যে টুনটুনির ছানাগুলো বড় হয়েছে। সুন্দর পাখা হয়েছে।
একদিন টুনটুনি ছানাদের জিজ্ঞেস করল, ‘বাছা, তোরা উড়তে পারবি?’ ছানারা বলল, ‘হ্যাঁ, মা, পারব!’ ছানারা তখনই উড়ে গিয়ে পাশের তালগাছে বসল। টুনটুনি খুশ হয়ে বলল, ‘এবার আসুক দুষ্ট বিড়াল।’
একটু পরেই বিড়াল এসে আগের মতো জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছিস টুনটুনি?’ টুনটুনি তখন পা উঠিয়ে ‘দূর হ, লক্ষ্মীছাড়া বিড়াল।’ বলেই ফুড়ুত করে উড়ে পালাল।
দুষ্ট বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে মুখ উঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হলো। টুনটুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পারল না।
উপসংহার
টুনটুনির গল্প বই পড়ে যে আনন্দ ও শিক্ষা আমি পেয়েছি, সারা জীবন আমার কাছে তা এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

No comments:

Post a Comment