28.6.12

সমাজ: অধ্যায়-১৪

প্রিয় শিক্ষার্থরাি আদর ও ভালবাসা নিয়ো। সমাপনী পরীক্ষার আলোকে আজ অধ্যায়-১৪-এর সমাজসেবায় বরেণ্য ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করছি।

প্রশ্ন: সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
ক) বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের — বলা হয়।
উত্তর: বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়।
খ) ঈশ্বরচন্দ্রকে শিক্ষকেরা — উপাধি দেন।
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্রকে শিক্ষকেরা বিদ্যাসাগর উপাধি দেন।
গ) তখনকার দিনে মুসলিম পরিবারে মেয়েদের — মেনে চলতে হতো।
উত্তর: তখনকার দিনে মুসলিম পরিবারে মেয়েদের কঠোর পর্দা মেনে চলতে হতো।
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র খুবই — ছিলেন।
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র খুবই মেধাবী ছিলেন।
ঙ) স্বামীর কাছে বেগম রোকেয়া ভালোভাবে — ও — শিক্ষা লাভ করেন।
উত্তর: স্বামীর কাছে বেগম রোকেয়া ভালোভাবে ইংরেজি ও উর্দু শিক্ষা লাভ করেন।
প্রশ্ন: নিচের শুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ উক্তিগুলোর ডান পাশে ‘অ’ লেখো।
ক) বেগম রোকেয়া লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল না।—‘অ’
খ) বেগম রোকেয়া মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন শিক্ষা ছাড়া নারী জাতির দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে না।—‘শু’
গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু সমাজের বিধবা বিবাহ প্রথা চালু করেন।—‘শু’
ঘ) বেগম রোকেয়া মুসলিম নারীদের জন্য ‘আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলামে’ নামে মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।—‘শু’
ঙ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন মানবকল্যাণ ও সমাজ সংস্কারের বিপক্ষে। —‘অ’
প্রশ্ন: বাঁ পাশের কথাগুলোর সঙ্গে ডান পাশের কথাগুলোর মিল করো।
বাম
ক) তখনকার দিনে মুসলিম পরিবারে
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিভিন্ন পরীক্ষায়
গ) নারীর শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলে
ঘ) তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন
ঙ) ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর ছেলের সঙ্গে

ডান
তিনি বাড়ি ছাত্রী জোগাড় করতেন
কঠোর পর্দা মেনে চলতে হতো
প্রথম হয়ে বৃত্তি পান
একজন বিধবার বিয়ে দেন
শিক্ষা ছাড়া নারী জাতির দুঃখ- দুর্দশা দূর হবে না
বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হন

উত্তর: ক) তখনকার দিনে মুসলিম পরিবারে কঠোর পর্দা মেনে চলতে হতো
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রথম হয়ে বৃত্তি পান।
গ) নারীর শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তিনি বাড়ি বাড়ি ছাত্রী জোগাড় করতেন।
ঘ) তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা ছাড়া নারী জাতির দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে না।
ঙ) ঈশ্বরচন্দ্র তার ছেলের সঙ্গে একজন বিধবার বিয়ে দেন।
প্রশ্ন সঠিক উত্তরটি লেখো।
১। বেগম রোকেয়ার জন্মসাল ও তারিখ কোনটি?
ক) ১৮৫০ সালের ৯ ডিসেম্বর খ) ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর
গ) ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর ঘ) ১৯৭০ সালের ৯ ডিসেম্বর।
উত্তর: ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর।
২) বেগম রোকেয়ার মতে কী ছাড়া নারী জাতির দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে না?
ক) বিয়ে ছাড়া খ) পর্দা ছাড়া গ) রান্না ছাড়া ঘ) শিক্ষা ছাড়া উত্তর: শিক্ষা ছাড়া
৩) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চেষ্টায় কত সালে ‘বিধবা বিবাহ’ আইন পাস হয়?
ক) ১৮৫৬ সালে খ) ১৭৫৬ সালে গ) ১৮৬৫ সালে ঘ) ১৯৫৬ সালে। উত্তর: ১৮৬৫ সালে।
৪) ভাগলপুর থেকে বেগম রোকেয়ার স্কুলটি কোথায় স্থানান্তর করেন?
ক) পাড়ায় খ) গ্রামে গ) কলকাতা ঘ) ঢাকায়।
উত্তর: কলকাতায়।
 সংক্ষেপে উত্তর দাও।
প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কী প্রথা চালু করেন?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু সমাজে বিধবাবিবাহ প্রথা চালু করেন। তাঁর চেষ্টায় ১৮৫৬ সালে ‘বিধবাবিবাহ আইন’ পাস হয়।
প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিসের দিকনির্দেশক ছিলেন?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন মানবকল্যাণ ও সমাজ সংস্কারের দিকনির্দেশক। তিনি আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি হিন্দু সমাজে ‘বিধবাবিবাহ’ প্রথা চালু করেন এবং বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। তিনি বই লিখে প্রচুর টাকা আয় করতেন। ওই টাকা সমাজসেবায়, দীন-দুঃখী, গরিব, অসহায়, দুর্দশাগ্রস্ত, রুগ্ণ, অক্ষম, বিপদগ্রস্ত মানুষকে তিনি দান করতেন।
প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র কলকাতায় কোন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন? বর্তমানে এর নাম কী?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র কলকাতায় ‘মেট্রোপলিটন’ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর নাম ‘বিদ্যাসাগর কলেজ।’
প্রশ্ন: বিপদগ্রস্ত মানুষকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কীভাবে সাহায্য করতেন?
উত্তর: বই লিখে তিনি যথেষ্ট টাকা আয় করতেন। তিনি তাঁর এই টাকা সমাজসেবায় দুই হাতে দান করতেন। দীন-দুঃখী, গরিব, অসহায়, দুর্দশাগ্রস্ত, রুগ্ণ, অক্ষম, বিপদগ্রস্ত মানুষকে তিনি সেবা ও অকাতরে সাহায্য করতেন। ১২৭২ বাংলা সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়। এ সময় তিনি নিজ গ্রামের সাহায্যের জন্য ছয় মাস ধরে খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি বিতরণ করেন।
প্রশ্ন: বেগম রোকেয়া ও ঈশ্বরচন্দ্র আজীবন কী করেছেন?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বেগম রোকেয়া আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সমাজকল্যাণে আরও অনেক মহান ব্যক্তি কাজ করেছেন। আমরাও সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করব ও নিবেদিত থাকব।
প্রশ্ন: বেগম রোকেয়ার স্বামী লেখাপড়ার ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করতেন?
উত্তর: বিয়ের পর বেগম রোকেয়ার লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন আনন্দিত হন। তিনি রোকেয়ার লেখাপড়া শেখায় উৎসাহিত করেন। স্বামীর কাছে তিনি ভালোভাবে ইংরেজি ও উর্দু শিক্ষা লাভ করেন।


No comments:

Post a Comment