প্রিয় শিক্ষার্থী, আলোচ্যসূচিতে আজ রয়েছে রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী
রচিত ‘চাষি’ কবিতা। এবার এসো, কবিতাটি পড়ে আমরা কতটুকু কী বুঝতে পেরেছি তা
দেখা যাক।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লিখ ও বাক্য গঠন করো।
উত্তর: প্রথমে শব্দের অর্থ দেওয়া হলো। পরে বাক্য গঠন দেওয়া হলো।
সাধক —সাধনা করেন যিনি; কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যিনি একান্তভাবে চেষ্টা করেন।—লালন শাহ ছিলেন একজন বড় সাধক।
মুক্তিকামী —মুক্তি কামনাকারী; ত্রাণকারী।
—বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক মুক্তিকামী মানুষ প্রাণ দিয়েছেন।
জড় —একত্র। —সভা করার জন্য তারা সবাই এক জায়গায় জড় হয়েছে।
লেশ —অতি সামান্য পরিমাণ; কণা; বিন্দু।
—নিজের কাজ নিজে করতে লেশমাত্র লজ্জা করো না।
ব্রত —তপস্যা, সাধনা।—ছাত্রছাত্রীদের প্রধান ব্রত হল পড়াশোনা।
হিত —উপকার।—শেরে বাংলা এ দেশের কৃষকদের অনেক হিতসাধন করেছেন।
দাহে —তাপে।—বৈশাখের রৌদ্রদাহে মাঠ ফেটে চৌচির।
তনু —দেহ।—লোকটি দেখতে ক্ষুদ্রতনু, কিন্তু দারুণ সাহসী।
নমি —নমস্কার করি; সম্মান জানাই (সাধারণত কবিতায় ব্যবহূত হয়)।
—দেশের জন্য অকাতরে যারা প্রাণ করেছে দান, আমরা তাদের নমি।
প্রশ্ন: ‘চাষি’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী।
প্রশ্ন: সাধক বলতে কী বোঝো?
উত্তর: উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য একান্তভাবে যিনি চেষ্টা করেন তাকে সাধক বলা হয়।
প্রশ্ন: সব সাধকের বড় সাধক কে?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষি।
প্রশ্ন: দধীচি কে?
উত্তর: দধীচি ভারতের একজন ঋষি। তিনি অসুরদের ধ্বংস করার জন্য দেবতাদের কাছে নিজের শরীরের হাড় দান করেছিলেন।
প্রশ্ন: চাষি কবিতার মূলভাব লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলান। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।
প্রশ্ন: কবি চাষিকে ‘বড় সাধক’ এবং দেশের ‘আশা’ বলেছেন কেন?
উত্তর: কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যে একান্তভাবে চেষ্টা করে তাকে বলা হয় সাধক। আমাদের দেশের চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, দিন-রাত পরিশ্রম করে মাঠে ফসল ফলান। তাঁদের সাধনার সেই ফসলে আমাদের সবার অন্নের সংস্থান হয়। শুধু তাই নয়, চাষিদের শ্রমে উৎপাদিত ফসল এ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের সবার স্বপ্ন আশা পূরণ করার মহান সাধনায় নিবেদিত বলে কবি চাষিকে ‘বড় সাধক’ এবং দেশের ‘আশা’ বলেছেন।
প্রশ্ন: ‘আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।’
—মাটির ছেলে কে? তাকে দেখে সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত কেন?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষিকে এখানে মাটির ছেলে বলা হয়েছে। চাষির আজীবন সম্পর্ক মাটির সঙ্গে। কঠিন মাটির বুকে লাঙল চালিয়ে তাঁরা ফসল ফলান। চাষির কষ্টার্জিত সেই ফসলে আমাদের অন্নের সংস্থান হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চাষির ভূমিকা অন্য সব পেশাজীবীর চেয়ে অনেক বেশি। এত বড় মহান পেশায় নিয়োজিত থেকেও ওদের বিন্দুমাত্র গর্ব নেই। অপরের সুখই যেন তাঁদের সুখ। তাঁরা অল্পতেই তুষ্ট থাকেন। খুশি থাকেন। অপরের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তাঁদের জীবনের ব্রত। তাই কবি মনে করেন দেশমাতার মুক্তিকামী চাষির এই সাধারণ সহজ-সরল জীবনযাপন দেখে সমাজের অন্য সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত
প্রশ্ন: চাষি কবিতার মূলভাব লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলান। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।
প্রশ্ন: চাষিদের কাছ থেকে আমাদের কী শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত?
উত্তর: চাষিদের কাছ থেকে আমাদের যে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, তা হলো—
ক. সহজ-সরল জীবনযাপন করা।
খ. অপরের উপকারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা।
গ. বিন্দুমাত্র গর্ব না করা।
ঘ. পরিশ্রমী হওয়া।
ঙ. দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিঃস্বার্থ অবদান রাখা।
প্রশ্ন: ‘চাষি’ কবিতার মূল কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: চাষি কবিতার মূল কথা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো:
১. চাষি এ দেশের সবচেয়ে বড় সাধক।
২. কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের প্রাণ হলো চাষি।
৩. চাষির শ্রমে উৎপাদিত ফসলে এ দেশের মানুষ বেঁচে থাকে।
৪. চাষিদের জীবন সহজ-সরল ও নিরহংকার।
৫. চাষিদের সহজ-সরল জীবনযাপন দেখে সবারই অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত।
প্রশ্ন: পরের চরণটি লেখো
ক. দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
..................................
উত্তর: দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলেও জড়।
খ. মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
..................................
উত্তর: মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
সবারই সে অন্ন জোগায় নাইক গর্ব লেশ।
গ. আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
..................................
উত্তর: আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লিখ ও বাক্য গঠন করো।
উত্তর: প্রথমে শব্দের অর্থ দেওয়া হলো। পরে বাক্য গঠন দেওয়া হলো।
সাধক —সাধনা করেন যিনি; কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যিনি একান্তভাবে চেষ্টা করেন।—লালন শাহ ছিলেন একজন বড় সাধক।
মুক্তিকামী —মুক্তি কামনাকারী; ত্রাণকারী।
—বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক মুক্তিকামী মানুষ প্রাণ দিয়েছেন।
জড় —একত্র। —সভা করার জন্য তারা সবাই এক জায়গায় জড় হয়েছে।
লেশ —অতি সামান্য পরিমাণ; কণা; বিন্দু।
—নিজের কাজ নিজে করতে লেশমাত্র লজ্জা করো না।
ব্রত —তপস্যা, সাধনা।—ছাত্রছাত্রীদের প্রধান ব্রত হল পড়াশোনা।
হিত —উপকার।—শেরে বাংলা এ দেশের কৃষকদের অনেক হিতসাধন করেছেন।
দাহে —তাপে।—বৈশাখের রৌদ্রদাহে মাঠ ফেটে চৌচির।
তনু —দেহ।—লোকটি দেখতে ক্ষুদ্রতনু, কিন্তু দারুণ সাহসী।
নমি —নমস্কার করি; সম্মান জানাই (সাধারণত কবিতায় ব্যবহূত হয়)।
—দেশের জন্য অকাতরে যারা প্রাণ করেছে দান, আমরা তাদের নমি।
প্রশ্ন: ‘চাষি’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী।
প্রশ্ন: সাধক বলতে কী বোঝো?
উত্তর: উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য একান্তভাবে যিনি চেষ্টা করেন তাকে সাধক বলা হয়।
প্রশ্ন: সব সাধকের বড় সাধক কে?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষি।
প্রশ্ন: দধীচি কে?
উত্তর: দধীচি ভারতের একজন ঋষি। তিনি অসুরদের ধ্বংস করার জন্য দেবতাদের কাছে নিজের শরীরের হাড় দান করেছিলেন।
প্রশ্ন: চাষি কবিতার মূলভাব লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলান। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।
প্রশ্ন: কবি চাষিকে ‘বড় সাধক’ এবং দেশের ‘আশা’ বলেছেন কেন?
উত্তর: কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যে একান্তভাবে চেষ্টা করে তাকে বলা হয় সাধক। আমাদের দেশের চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, দিন-রাত পরিশ্রম করে মাঠে ফসল ফলান। তাঁদের সাধনার সেই ফসলে আমাদের সবার অন্নের সংস্থান হয়। শুধু তাই নয়, চাষিদের শ্রমে উৎপাদিত ফসল এ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের সবার স্বপ্ন আশা পূরণ করার মহান সাধনায় নিবেদিত বলে কবি চাষিকে ‘বড় সাধক’ এবং দেশের ‘আশা’ বলেছেন।
প্রশ্ন: ‘আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।’
—মাটির ছেলে কে? তাকে দেখে সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত কেন?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষিকে এখানে মাটির ছেলে বলা হয়েছে। চাষির আজীবন সম্পর্ক মাটির সঙ্গে। কঠিন মাটির বুকে লাঙল চালিয়ে তাঁরা ফসল ফলান। চাষির কষ্টার্জিত সেই ফসলে আমাদের অন্নের সংস্থান হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চাষির ভূমিকা অন্য সব পেশাজীবীর চেয়ে অনেক বেশি। এত বড় মহান পেশায় নিয়োজিত থেকেও ওদের বিন্দুমাত্র গর্ব নেই। অপরের সুখই যেন তাঁদের সুখ। তাঁরা অল্পতেই তুষ্ট থাকেন। খুশি থাকেন। অপরের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তাঁদের জীবনের ব্রত। তাই কবি মনে করেন দেশমাতার মুক্তিকামী চাষির এই সাধারণ সহজ-সরল জীবনযাপন দেখে সমাজের অন্য সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত
প্রশ্ন: চাষি কবিতার মূলভাব লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলান। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।
প্রশ্ন: চাষিদের কাছ থেকে আমাদের কী শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত?
উত্তর: চাষিদের কাছ থেকে আমাদের যে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, তা হলো—
ক. সহজ-সরল জীবনযাপন করা।
খ. অপরের উপকারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা।
গ. বিন্দুমাত্র গর্ব না করা।
ঘ. পরিশ্রমী হওয়া।
ঙ. দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিঃস্বার্থ অবদান রাখা।
প্রশ্ন: ‘চাষি’ কবিতার মূল কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: চাষি কবিতার মূল কথা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো:
১. চাষি এ দেশের সবচেয়ে বড় সাধক।
২. কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের প্রাণ হলো চাষি।
৩. চাষির শ্রমে উৎপাদিত ফসলে এ দেশের মানুষ বেঁচে থাকে।
৪. চাষিদের জীবন সহজ-সরল ও নিরহংকার।
৫. চাষিদের সহজ-সরল জীবনযাপন দেখে সবারই অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত।
প্রশ্ন: পরের চরণটি লেখো
ক. দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
..................................
উত্তর: দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলেও জড়।
খ. মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
..................................
উত্তর: মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
সবারই সে অন্ন জোগায় নাইক গর্ব লেশ।
গ. আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
..................................
উত্তর: আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।
No comments:
Post a Comment