7.8.12

আমাদের দেশ

আমাদের দেশ

(এই রচনার অনুসরণে লেখা যায়:
স্বদেশ, জন্মভূমি, মাতৃভূমি)
ভূমিকা:
আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। এর আগে এই দেশ পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ ছিল। তখন এ দেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। দীর্ঘ নয় মাস এ দেশের মানুষ জীবন-মরণ যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করে।
অবস্থান ও সীমা:
আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। এ দেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভারতের আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মিয়ানমার এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত। ঐতিহাসিক ঢাকা নগর বাংলাদেশের রাজধানী।
ঋতু বৈচিত্র্য:
রূপের বৈচিত্র্য নিয়ে এ দেশে প্রতি দুই মাস পর আসে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ঋতু। ঋতু বৈচিত্র্যে এ দেশ কখনো আলো ঝলমল, কখনো অঝোর ধারা বৃষ্টিতে ঝাপসা দূরের মাঠ আবার কখনো স্বচ্ছ আকাশ থেকে ঝরে পড়ে রুপালি জোছনা। অপরূপ প্রকৃতির এ দেশকে তাই বলা হয়ে থাকে রূপসী বাংলা।
প্রাকৃতিক সম্পদ:
বাংলাদেশের ভূমিতে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্যাস, জ্বালানি তেল, চুনাপাথর, পিট কয়লা, আকরিক লৌহ এ দেশের উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। এ ছাড়া রয়েছে সুন্দরী, শাল ও গজারি কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদি।
উৎপন্ন দ্রব্য:
বাংলাদেশের প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য হলো ধান, পাট, চা, ইক্ষু, সরিষা, গম ও ডাল। চা ও পাট বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে।
নদ-নদী: ছোট-বড় অনেক নদী বাংলাদেশের সমভূমির ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। এ দেশকে তাই বলা হয়ে থাকে নদীমাতৃক দেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী এ দেশের প্রধান নদী। ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ, ইছামতী, ভৈরব, কুমার, কপোতাক্ষ, আত্রাই, করতোয়া, তিস্তা, ধরলা এসব আমাদের দেশের শাখা নদী ও উপনদী।
শহর-বন্দর:
রাজধানী ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহর। অন্য বড় শহরগুলো হলো চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল। নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও মংলা বাংলাদেশের প্রধান নদী ও সমুদ্রবন্দর।
উপসংহার:
রূপে অপরূপ সম্পদে অতুলনীয় আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এই সুন্দর রূপময় দেশে জন্ম নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। এ দেশকে আমরা জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।

No comments:

Post a Comment