13.6.12

বিজ্ঞান অধ্যায়-৯

 শূন্যস্থান পূরণ করো।
প্রশ্ন: সাধারণ বিদ্যুৎকোষ আবিষ্কার করেন —।
উত্তর: সাধারণ বিদ্যুৎকোষ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ভোল্টা।
প্রশ্ন: আলো সর্বদা — চলে।
উত্তর: আলো সর্বদা সরল পথে চলে।
প্রশ্ন: ম্যাগনেটাইট একধরনের স্বাভাবিক —।
উত্তর: ম্যাগনেটাইট একধরনের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক চুম্বক।
প্রশ্ন: চুম্বকের দুটি মেরু যেমন: — ও —।
উত্তর: চুম্বকের দুটি মেরু যেমন: উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু।
প্রশ্ন: শব্দ চলাচলের জন্য — প্রয়োজন।
উত্তর: শব্দ চলাচলের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন।
প্রশ্ন: বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখাকে — বলে।
উত্তর: বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখাকে লোডশেডিং বলে।
প্রশ্ন: কাজ করার সামর্থ্যকে — বলে।
উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
প্রশ্ন: কয়লা পুড়িয়ে আমরা — পাই।
উত্তর: কয়লা পুড়িয়ে আমরা তাপশক্তি পাই।
প্রশ্ন: — প্রয়োগ করে কোনো বস্তু — কাজ করা বলে।
উত্তর: বল প্রয়োগ করে কোনো বস্তু সরানোকে কাজ করা বলে।
প্রশ্ন: গতির কারণে কোনো বস্তু যে শক্তি বা কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে তাকে — বলে।
উত্তর: গতির কারণে কোনো বস্তু যে শক্তি বা কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে তাকে গতিশক্তি বলে।
প্রশ্ন: শক্তি শুধু — বদলায়, ধ্বংস হয় না।
উত্তর: শক্তি শুধু রূপ বদলায়, ধ্বংস হয় না।
প্রশ্ন: তাপ — পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে।
উত্তর: তাপ বিকিরণ পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে।
প্রশ্ন: চুম্বক সাধারণত লোহা বা — দিয়ে তৈরি।
উত্তর: চুম্বক সাধারণত লোহা বা নিকেল দিয়ে তৈরি।
প্রশ্ন: কয়লার মধ্যে — শক্তি জমা থাকে।
উত্তর: কয়লার মধ্যে রাসায়নিক শক্তি জমা থাকে।
প্রশ্ন: রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার সবই চলে — শক্তির সাহায্যে।
উত্তর: রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার সবই চলে বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে।
 ভুল-শুদ্ধ নির্ণয়।
১। কাজ করার সামর্থ্যকে বোঝায় বল। —ভুল
২। বল প্রয়োগ করে কোনো বস্তু সরানোকে বলে কাজ।—শুদ্ধ
৩। অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য কোনো বস্তুতে যে শক্তি জমা থাকে তাকে স্থিতিশক্তি বলে।—শুদ্ধ
৪। শক্তি শুধু রূপ বদলায়, ধ্বংস হয় না, সৃষ্টিও হয় না।—শুদ্ধ
৫। কাঠ, কয়লা, তেল বা গ্যাসের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি আছে।—শুদ্ধ
৬। বিদ্যুৎকোষে রাসায়নিক শক্তিকে চুম্বক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।—ভুল
৭। যে পাথর লোহাকে আকর্ষণ করে তাকে ম্যাগনেটাইট বলে ।—শুদ্ধ
৮। ডায়নামো হচ্ছে যান্ত্রিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করার একটি নমুনা। —শুদ্ধ
৯। মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম ডায়নামো থেকে চলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করেন ।—শুদ্ধ
১০। বাতাস ঈষদচ্ছ পদার্থ।—ভুল
১১। প্রতি সেকেন্ডে আলোর গতি তিন লাখ মাইল।—ভুল
১২। বিদ্যুৎকোষ ও ডায়নামোর সাহায্যে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।—ভুল
সঠিক উত্তর উত্তরপত্রে লেখো।
প্রশ্ন: কোন ক্ষেত্রে কাজ সম্পন্ন হয় না?
(ক) পাহাড়ে ওঠার সময় (খ) পাহাড় থেকে নামার সময় (গ) স্থির দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সময় 
(ঘ) রিকশাচালকের রিকশা চালানোর সময়
উত্তর: (গ) স্থির দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সময়।
প্রশ্ন: ঘড়িতে চাবি দিলে কোন ধরনের শক্তি সঞ্চিত হয়?
(ক) রাসায়নিক শক্তি (খ) গতিশক্তি 
(গ) তাপশক্তি (ঘ) স্থিতিশক্তি
উত্তর: (ঘ) স্থিতি শক্তি।
প্রশ্ন: এক সেকেন্ডে আলো কত দূর অতিক্রম করে?
(ক) ৩০,০০০ কিলোমিটার (খ) ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার (গ) ৩,০০,০০০ কিলোমিটার 
(ঘ) ১৮,৬০,০০০ কিলোমিটার।
উত্তর: (গ) ৩,০০,০০০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: কোনটি স্বচ্ছ পদার্থ?
(ক) অপরিষ্কার পানি (খ) কাঠ 
(গ) তেলেভেজা কাগজ (ঘ) বায়ু।
উত্তর: (ঘ) বায়ু।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক চুম্বক কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছিল?
(ক) রাশিয়াতে (খ) এশিয়ার মাইনরে (গ) যুক্তরাজ্যে (ঘ) আমেরিকায়।
উত্তর: (খ) এশিয়ার মাইনরে।
প্রশ্ন: চল বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কীভাবে?
(ক) পাছপালা দীর্ঘদিন মাটিতে চাপা পড়ে থাকলে (খ) বিদ্যুৎকোষ ও ডায়নামোর ব্যবহার করলে 
(গ) কোনো পদার্থ সূর্য থেকে তাপ গ্রহণ করলে 
(ঘ) এক বস্তুর সঙ্গে আরেক বস্তু ঘষলে।
উত্তর: (খ) বিদ্যুৎকোষ ও ডায়নামোর ব্যবহার করলে।
প্রশ্ন: একটি দণ্ড চুম্বককে মুক্তভাবে ঝুলিয়ে দিলে এটি কোন দিক বরাবর অবস্থান নেবে?
(ক) পূর্ব-পশ্চিম (খ) উত্তর-দক্ষিণ 
(গ) পূর্ব-দক্ষিণ (ঘ) উত্তর-পশ্চিম।
উত্তর: (খ) উত্তর-দক্ষিণ।
প্রশ্ন: কাজের গাণিতিক রূপ কোনটি?
(ক) সরণ x ত্বরণ (খ) বল x সরণ (বা দূরত্ব) 
(গ) বল x অভিকর্ষজ ত্বরণ (ঘ) শক্তি x বল
উত্তর: (খ) বল x সরণ (বা দূরত্ব)
প্রশ্ন: খাবারের মধ্যে কী ধরনের শক্তি জমা থাকে?
(ক) স্থিতিশক্তি (খ) গতিশক্তি 
(গ) চুম্বকশক্তি (ঘ) রাসায়নিক শক্তি।
উত্তর: (ঘ) রাসায়নিক শক্তি।
প্রশ্ন: কে সর্বপ্রথম ডায়নামো আবিষ্কার করেন?
(ক) এলিশা গ্রে (খ) মাইকেল ফ্যারাডে 
(গ) আইজাক নিউটন 
(ঘ) আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল।
উত্তর: (খ) মাইকেল ফ্যারাডে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন: শক্তি বলতে কী বোঝায়? কয়েকটি শক্তির উদাহরণ দাও।
উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। যে বস্তুর বা যন্ত্রের বা ব্যক্তির কাজ করার সামর্থ্য যত বেশি, তার শক্তি তত বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শক্তির সাহায্যে গরু গাড়ি টানে। কুয়া থেকে শক্তির সাহায্যে পানি তোলা হয়, শক্তি ব্যবহার করে কোনো বস্তুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া হয়।
প্রশ্ন: কাজ বলতে কী বোঝায়? কাজের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যখন বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর সরণ ঘটে, তখনই কাজ হয়েছে বলা যায়। যেমন—রিকশাচালক রিকশা চালাচ্ছে। রিকশাচালকের বল প্রয়োগের ফলে রিকশা এগিয়ে যাচ্ছে, এর সরণ হচ্ছে, সুতরাং কাজ হচ্ছে।
গাণিতিকভাবে, কাজ = বল x সরণ (বা দূরত্ব)।
কাজের উদাহরণ: (১) মাঝির নৌকা চালানো 
(২) গাড়ি চালানো (৩) কোনো লোক একটি ড্রাম ঠেলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলে কাজ করা হয়। ইত্যাদি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন: গতিশক্তি কাকে বলে? গতিশক্তির উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো বস্তু গতিশীল অবস্থায় যে শক্তি বা কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে, তাকে গতিশক্তি বলে। যেমন: একটি চলন্ত সাইকেল বা গাড়ির মধ্যে গতিশক্তি থাকে। ঢিল ছুড়ে গাছ থেকে আম পাড়লে যখন আমটি পড়ে, তখন গতিশক্তির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: স্থিতিশক্তি কাকে বলে? স্থিতিশক্তির উদাহরণ দাও।
উত্তর: অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য কোনো বস্তুতে যে শক্তি জমা থাকে, তাকে বলা হয় স্থিতিশক্তি। স্থিতিশক্তির উদাহরণ: কেউ কয়েকটি ইট কোনো ভবনের ছাদে তুলছেন। ইটগুলোকে পৃথিবীর আকর্ষণ বলের বিপরীতে ওপরে তুলতে কাজ করতে হয়েছে অর্থাৎ শক্তি ব্যয় করতে হয়েছে। এই শক্তি ইটগুলোতে জমা আছে। স্থিতিশীল অবস্থায় ইটে জমে থাকা এই শক্তিই স্থিতিশক্তি।
প্রশ্ন: তাপের উৎস কী কী?
উত্তর: তাপের প্রধান উৎস হলো সূর্য। এ ছাড়া তেল, গ্যাস, কয়লা, কাঠ পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায়। আমরা যে খাবার খাই তা থেকেও আমাদের শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন: তাপ প্রয়োগে পদার্থের কী কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর: তাপ প্রয়োগে পদার্থের যে পরিবর্তন হয়, তাহলো:
(১) তাপ প্রয়োগে ধাতু প্রসারিত হয়। এ জন্য গ্রীষ্মকালে রেললাইন যাতে প্রসারিত হয়ে বেঁকে না যায়, সে জন্য রেললাইনের মাঝে ফাঁক রাখা হয়।
(২) তাপ দিলে বস্তুটি তাপ গ্রহণ করে উত্তপ্ত হয়। যেমন: লোহার একটি টুকরার এক প্রান্তে তাপ দিলে ধীরে ধীরে অপর প্রান্তও গরম হয়।
(৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গ্যাসীয় পদার্থও আয়তনে বৃদ্ধি পায়।
(৪) তাপের সাহায্যে পানিকে বাষ্পে রূপান্তরিত করা হয়। এ বাষ্পের গতিশক্তির সাহায্যে জেনারেটর চালালে বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যায়।
(৫) উড়োজাহাজ পেট্রল পোড়ালে প্রচণ্ড তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এ তাপশক্তি উড়োজাহাজের গতিশক্তির জোগান দেয় এবং তা উড়ে চলে।
প্রশ্ন: স্বচ্ছ, অস্বচ্ছ ও ঈষদচ্ছ পদার্থ বলতে কী বোঝায়? এদের প্রত্যেকের উদাহরণ দাও।
উত্তর: স্বচ্ছ পদার্থ: যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে আলো সহজে চলাচল করতে পারে তাদের স্বচ্ছ পদার্থ বলে যেমন: কাচ ও বাতাস স্বচ্ছ পদার্থ।
অস্বচ্ছ পদার্থ: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে না, তাদের অস্বচ্ছ পদার্থ বলে যেমন: কাঠ ও ধাতবপাত অস্বচ্ছ পদার্থ।
ঈষদচ্ছ পদার্থ: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো আংশিক চালাচল করতে পারে তাদের ঈষদচ্ছ পদার্থ বলে। যেমন: সামান্য ময়লা পানি, ঘষা কাচ, তেলেভেজা কাগজ ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বিদ্যুৎ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বিদ্যুৎ দুই প্রকার। যথা—(১) স্থিরবিদ্যুৎ ও (২) চলবিদ্যুৎ।
প্রশ্ন: চুম্বকের মেরু কয়টি ও কী কী? চুম্বকের পাঁচটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর: চুম্বকের মেরু দুটি। যেমন উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু।
চুম্বকের পাঁচটি ব্যবহার:
১। চুম্বকের সাহায্যে জাহাজে ভারী ভারী মালামাল ওঠানো হয়।
২। চুম্বক ব্যবহার করে জেনারেটর তৈরি করা হয়।
৩। দিকনির্দেশক যন্ত্রে চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
৪। চুম্বকের সাহায্যে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তেরি করা হয়।
৫। বাচ্চাদের নানা ধরনের খেলনায় চুম্বকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন: শব্দ কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কম্পনই শব্দ উৎপত্তির মূল কারণ। হাত থেকে কোনো ধাতব বস্তু মেঝেতে পড়ে গেলে বস্তুটি কাঁপতে থাকে এবং শব্দের সৃষ্টি করে। সঙ্গে সঙ্গে যদি বস্তুটিকে হাত দিয়ে চেপে ধরা হয়, তবে কম্পন এবং শব্দ উভয়ই থেমে যায়। এ থেকেই বোঝা যায়, বস্তুর কম্পন থেকেই শব্দ উৎপন্ন হয়।

No comments:

Post a Comment