প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ের ওপর আলোচনা
পর্বে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আলোচ্যসূচিতে আজ রয়েছে ‘গানের দেশে প্রাণের
উল্লাস’। প্রবন্ধটি রচনা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনসুর মুসা। এসো তাহলে,
শব্দার্থের মধ্য দিয়ে আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লেখো: অভিব্যক্তি, শিষ্যত্ব, গুরু, রেওয়াজ, পারদর্শী, প্রতিফলন, বিনোদন, শ্রমজীবী, উদ্দীপনা, অভিহিত।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
অভিব্যক্তি প্রকাশ
শিষ্যত্ব ছাত্রত্ব, গুরুর অনুসারী
গুরু ওস্তাদ, শিক্ষক
রেওয়াজ অভ্যাস, অনুশীলন
পারদর্শী দক্ষ, অভিজ্ঞ, সমর্থ
প্রতিফলন ছায়াপাত, প্রতিবিম্বন
বিনোদন আমোদ, আনন্দদায়ক
শ্রমজীবী শ্রমিক, কর্মজীবী
উদ্দীপনা উত্সাহ, আগ্রহ
অভিহিত কথিত, উক্ত।
প্রশ্ন: বাক্য রচনা করো: সাধনা, বাকশিল্প, মন্ত্রমুগ্ধ, লোকসংগীত, স্বতঃস্ফূর্ত, অভিব্যক্তি, রেওয়াজ, প্রতিফলন, অভিহিত, শ্রমজীবী।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বাক্য রচনা
সাধনা বিজ্ঞানীদের সাধনার ফলে মানুষের জানার সীমা বেড়েছে।
বাকশিল্প কবিতা আবৃত্তি এক ঐতিহ্যবাহী বাকশিল্প।
মন্ত্রমুগ্ধ তানসেনের সংগীত সম্রাট আকবর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন।
লোকসংগীত বাংলাদেশের লোকসংগীত অত্যন্ত জনপ্রিয়।
স্বতঃস্ফূর্ত স্বতঃস্ফূর্ত গান মনকে নাড়া দেয়।
অভিব্যক্তি নাচের ভঙ্গিতে ভাবের অভিব্যক্তি ঘটে।
রেওয়াজ ভালো শিল্পীরা নিয়মিত রেওয়াজ করেন।
প্রতিফলন সংগীতে মানুষের সুখ-দুঃখের প্রতিফলন ঘটে।
অভিহিত গ্রামবাংলার অধিকাংশ গান লোকসংগীত নামে অভিহিত।
শ্রমজীবী কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষ সমস্বরে গান করে থাকে।
প্রশ্ন: শূন্যস্থান পূরণ করো।
(ক) যে সুন্দর করে কথা বলে তাকে বলা হয় —।
(খ) প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব — করার জন্য গান করে এসেছে।
(গ) লোকসংগীত সাধারণ মানুষের — স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
(ঘ) প্রতিটি ঋতুতে — পরিবর্তন ঘটে।
(ঙ) বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের — বৈশিষ্ট্য আছে।
উত্তর:
(ক) যে সুন্দর করে কথা বলে তাকে বলা হয় চারুবাজ।
(খ) প্রাচীন কাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে এসেছে।
(গ) লোকসংগীত সাধারণ মানুষের বাকপ্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
(ঘ) প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটে।
(ঙ) বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের নানাবিধ বৈশিষ্ট্য আছে।
প্রশ্ন: পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দগুলো আলাদা করে লেখো: গায়িকা, রসিক, সুকণ্ঠ, মেয়েলি, শিষ্য, গুরু, রাগিণী, সাধক, পুরুষালি, নর, গায়ক, সাধিকা, গুর্বী।
উত্তর:
পুরুষবাচক শব্দ: রসিক, সুকণ্ঠ, শিষ্য, গুরু, সাধক, পুরুষালি, নর, গায়ক।
স্ত্রীবাচক শব্দ: গায়িকা, মেয়েলি, রাগিণী, সাধিকা, গুর্বী।
প্রশ্ন: বিপরীত শব্দ লেখো: মানুষ, সুন্দর, প্রকাশ, আনন্দ, পরিবর্তন, সাফল্য, সম্মান, ব্যবহূত।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বিপরীত শব্দ
মানুষ অমানুষ
সুন্দর কুৎসিত
প্রকাশ অপ্রকাশ
আনন্দ বেদনা
পরিবর্তন অপরিবর্তন
সাফল্য ব্যর্থতা
সম্মান অপমান
ব্যবহূত অব্যবহূত
প্রশ্ন: বাকশিল্প বলতে কী বুঝ?
উত্তর: ‘বাকশিল্প’ কথাটির অর্থ হলো কথা বলার কৌশল বা উচ্চারণ সৌকর্য। আমরা গান করি, গীত গাই আর সংগীত সাধনা করি। এই সাধনা বাকশিল্পের অঙ্গ। মানুষ কথা বলে, বাক্য তৈরি করে, ধ্বনি উচ্চারণ করে—এগুলো বাকশিল্প নামে অভিহিত। যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে, যার উচ্চারণ সৌকর্য চমৎকার, তাকে চারুবাক বলা হয়। কবিতা আবৃত্তি এবং সংবাদ পাঠ ঐতিহ্যবাহী বাকশিল্প।
প্রশ্ন: শ্রমসংগীত কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে আসছে। কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষও সমস্বরে গান করে থাকে। এগুলোকে বলা হয় শ্রমসংগীত। শ্রমজীবী মানুষ ছাদ পেটায় আর শ্রম লাঘব করার জন্য সমস্বরে ছাদ পেটানোর গান গায়। ধান কাটার সময়, ফসল তোলার সময় কৃষক গান করে। এভাবে শ্রমের সঙ্গে বিনোদন যুক্ত করে মানুষ শ্রমকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
প্রশ্ন: আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পীর নাম লেখো।
উত্তর: গান শোনা যত সহজ, গান গাওয়া তত সহজ নয়। সংগীত সাধনা কঠিন একটি সাধনা। এই সাধনায় সাফল্য অর্জন করে সংগীতজগতে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর নাম নিচে লেখা হলো:
১. আব্বাসউদ্দীন
২. আবদুল আলীম
৩. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
এঁরা চিরকাল সংগীত সাধনা করেছেন। সে জন্য তাঁদের বলা হয় সংগীত সাধক। এসব সংগীত সাধক আমাদের দেশের গৌরব।
প্রশ্ন: সংগীতের ক্ষেত্র কয়টি ও কী কী?
উত্তর: কথা, সুর, তাল, লয়সহ মনের ভাব প্রকাশ করাকে গীত বা গান বলা হয়। শাস্ত্রমতে, গীত, বাদ্য ও নৃত্যের সমন্বয়ে সংগীত সৃষ্টি হয়। ‘গানের দেশে প্রাণের উল্লাস’ প্রবন্ধের লেখকের মতে সংগীতের ক্ষেত্র দুইটি।
ক. কণ্ঠসংগীত।
খ. যন্ত্রসংগীত।
সচরাচর কণ্ঠসংগীতের পরিপূরক হিসেবে যন্ত্রসংগীত ব্যবহূত হয়। তবে শুধু কণ্ঠসংগীত যেমন সম্ভব, তেমনি শুধু যন্ত্রসংগীতও সম্ভব।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লেখো: অভিব্যক্তি, শিষ্যত্ব, গুরু, রেওয়াজ, পারদর্শী, প্রতিফলন, বিনোদন, শ্রমজীবী, উদ্দীপনা, অভিহিত।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
অভিব্যক্তি প্রকাশ
শিষ্যত্ব ছাত্রত্ব, গুরুর অনুসারী
গুরু ওস্তাদ, শিক্ষক
রেওয়াজ অভ্যাস, অনুশীলন
পারদর্শী দক্ষ, অভিজ্ঞ, সমর্থ
প্রতিফলন ছায়াপাত, প্রতিবিম্বন
বিনোদন আমোদ, আনন্দদায়ক
শ্রমজীবী শ্রমিক, কর্মজীবী
উদ্দীপনা উত্সাহ, আগ্রহ
অভিহিত কথিত, উক্ত।
প্রশ্ন: বাক্য রচনা করো: সাধনা, বাকশিল্প, মন্ত্রমুগ্ধ, লোকসংগীত, স্বতঃস্ফূর্ত, অভিব্যক্তি, রেওয়াজ, প্রতিফলন, অভিহিত, শ্রমজীবী।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বাক্য রচনা
সাধনা বিজ্ঞানীদের সাধনার ফলে মানুষের জানার সীমা বেড়েছে।
বাকশিল্প কবিতা আবৃত্তি এক ঐতিহ্যবাহী বাকশিল্প।
মন্ত্রমুগ্ধ তানসেনের সংগীত সম্রাট আকবর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন।
লোকসংগীত বাংলাদেশের লোকসংগীত অত্যন্ত জনপ্রিয়।
স্বতঃস্ফূর্ত স্বতঃস্ফূর্ত গান মনকে নাড়া দেয়।
অভিব্যক্তি নাচের ভঙ্গিতে ভাবের অভিব্যক্তি ঘটে।
রেওয়াজ ভালো শিল্পীরা নিয়মিত রেওয়াজ করেন।
প্রতিফলন সংগীতে মানুষের সুখ-দুঃখের প্রতিফলন ঘটে।
অভিহিত গ্রামবাংলার অধিকাংশ গান লোকসংগীত নামে অভিহিত।
শ্রমজীবী কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষ সমস্বরে গান করে থাকে।
প্রশ্ন: শূন্যস্থান পূরণ করো।
(ক) যে সুন্দর করে কথা বলে তাকে বলা হয় —।
(খ) প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব — করার জন্য গান করে এসেছে।
(গ) লোকসংগীত সাধারণ মানুষের — স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
(ঘ) প্রতিটি ঋতুতে — পরিবর্তন ঘটে।
(ঙ) বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের — বৈশিষ্ট্য আছে।
উত্তর:
(ক) যে সুন্দর করে কথা বলে তাকে বলা হয় চারুবাজ।
(খ) প্রাচীন কাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে এসেছে।
(গ) লোকসংগীত সাধারণ মানুষের বাকপ্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
(ঘ) প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটে।
(ঙ) বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের নানাবিধ বৈশিষ্ট্য আছে।
প্রশ্ন: পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দগুলো আলাদা করে লেখো: গায়িকা, রসিক, সুকণ্ঠ, মেয়েলি, শিষ্য, গুরু, রাগিণী, সাধক, পুরুষালি, নর, গায়ক, সাধিকা, গুর্বী।
উত্তর:
পুরুষবাচক শব্দ: রসিক, সুকণ্ঠ, শিষ্য, গুরু, সাধক, পুরুষালি, নর, গায়ক।
স্ত্রীবাচক শব্দ: গায়িকা, মেয়েলি, রাগিণী, সাধিকা, গুর্বী।
প্রশ্ন: বিপরীত শব্দ লেখো: মানুষ, সুন্দর, প্রকাশ, আনন্দ, পরিবর্তন, সাফল্য, সম্মান, ব্যবহূত।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বিপরীত শব্দ
মানুষ অমানুষ
সুন্দর কুৎসিত
প্রকাশ অপ্রকাশ
আনন্দ বেদনা
পরিবর্তন অপরিবর্তন
সাফল্য ব্যর্থতা
সম্মান অপমান
ব্যবহূত অব্যবহূত
প্রশ্ন: বাকশিল্প বলতে কী বুঝ?
উত্তর: ‘বাকশিল্প’ কথাটির অর্থ হলো কথা বলার কৌশল বা উচ্চারণ সৌকর্য। আমরা গান করি, গীত গাই আর সংগীত সাধনা করি। এই সাধনা বাকশিল্পের অঙ্গ। মানুষ কথা বলে, বাক্য তৈরি করে, ধ্বনি উচ্চারণ করে—এগুলো বাকশিল্প নামে অভিহিত। যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে, যার উচ্চারণ সৌকর্য চমৎকার, তাকে চারুবাক বলা হয়। কবিতা আবৃত্তি এবং সংবাদ পাঠ ঐতিহ্যবাহী বাকশিল্প।
প্রশ্ন: শ্রমসংগীত কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে আসছে। কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষও সমস্বরে গান করে থাকে। এগুলোকে বলা হয় শ্রমসংগীত। শ্রমজীবী মানুষ ছাদ পেটায় আর শ্রম লাঘব করার জন্য সমস্বরে ছাদ পেটানোর গান গায়। ধান কাটার সময়, ফসল তোলার সময় কৃষক গান করে। এভাবে শ্রমের সঙ্গে বিনোদন যুক্ত করে মানুষ শ্রমকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
প্রশ্ন: আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পীর নাম লেখো।
উত্তর: গান শোনা যত সহজ, গান গাওয়া তত সহজ নয়। সংগীত সাধনা কঠিন একটি সাধনা। এই সাধনায় সাফল্য অর্জন করে সংগীতজগতে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর নাম নিচে লেখা হলো:
১. আব্বাসউদ্দীন
২. আবদুল আলীম
৩. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
এঁরা চিরকাল সংগীত সাধনা করেছেন। সে জন্য তাঁদের বলা হয় সংগীত সাধক। এসব সংগীত সাধক আমাদের দেশের গৌরব।
প্রশ্ন: সংগীতের ক্ষেত্র কয়টি ও কী কী?
উত্তর: কথা, সুর, তাল, লয়সহ মনের ভাব প্রকাশ করাকে গীত বা গান বলা হয়। শাস্ত্রমতে, গীত, বাদ্য ও নৃত্যের সমন্বয়ে সংগীত সৃষ্টি হয়। ‘গানের দেশে প্রাণের উল্লাস’ প্রবন্ধের লেখকের মতে সংগীতের ক্ষেত্র দুইটি।
ক. কণ্ঠসংগীত।
খ. যন্ত্রসংগীত।
সচরাচর কণ্ঠসংগীতের পরিপূরক হিসেবে যন্ত্রসংগীত ব্যবহূত হয়। তবে শুধু কণ্ঠসংগীত যেমন সম্ভব, তেমনি শুধু যন্ত্রসংগীতও সম্ভব।
No comments:
Post a Comment