3.9.11

শখের মৃৎশিল্প

প্রশ্ন ১. শফিউল আলম-এর ‘শখের মৃিশল্প’ রচনাটিতে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও গর্বের একটি শিল্পের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
উত্তর : মাটির শিল্প আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য। মাটির অন্যতম তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা মাটির শিল্প বা মৃিশল্প বলে থাকি। মাটিই এ শিল্পের প্রধান উপকরণ। সব ধরনের মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না। এর জন্য দরকার হয় পরিষ্কার এঁটেল মাটি। দোআঁশ কিংবা বেলে মাটির তুলনায় এ মাটি আঠালো বলে মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে এ মাটি ব্যবহার করা হয়। কুমোরেরা তাদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান দিয়ে অনেক যত্ন ও পরিশ্রম করে মাটিশিল্প তৈরি করে থাকে। এ ছাড়া এগুলো তৈরি করতে ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দরকার হয়।

প্রশ্ন ২. বাংলাদেশর প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি?
উত্তর : শফিউল আলম-এর ‘শখের মৃিশল্প’ রচনাটিতে বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্মের পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্ম হল মাটির শিল্প। বাংলার অনেক পুরনো শিল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। তা ছাড়া বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদেও পোড়ামাটির অপূর্ব কাজ দেখা যায়। মূলত মাটির ফলকে ছবি এঁকে শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো সুন্দর হয়ে ওঠে। ছোট ছোট ফলকগুলোকে পাশাপাশি জোড়া দিয়ে বড় করা যায়। এ টেরাকোটার কাজ এদেশে শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে। এগুলোই আমাদের প্রাচীন শিল্প, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব।
প্রশ্ন ৩. বৈশাখী মেলায় কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর : বৈশাখী মেলা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। শফিউল আলম রচিত ‘শখের মৃিশল্প’ রচনাটিতে বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন নানান শৌখিন জিনিসের বর্ণনা রয়েছে।

বৈশাখী মেলায় বাংলার আপামর জনগণ আনন্দ-উত্সব করে থাকে। এ মেলায় নানা ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মেলা থেকে মানুষ জিনিসপত্র কেনাকাটা করে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এখানে বাঁশের তৈরি জিনিসের মধ্যে পাওয়া যায় কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চালুন, মাছ ধরার চাঁই, খালই এবং আরও অনেক কিছু। খাবার জিনিসের মধ্যে পাওয়া যায় বাঙ্গি, তরমুজ, মুড়ি-মুড়কি, জিলাপি, বাতাসা ইত্যাদি। মাটির তৈরি জিনিসের মধ্যে পাওয়া যায় বিচিত্র বর্ণের ফুল, পাতা ও মাছের ছবি আঁকা সব হাঁড়ি। মাটির ঘোড়া, হাতি, ষাঁড়, নানা আকারের পুতুল, মাটির মাছ, কলস, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ ইত্যাদি বাঁশ ও মাটির তৈরি এ জিনিসগুলো।
প্রশ্ন ৪. মৃিশল্পের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর : শফিউল আলম-এর ‘শখের মৃিশল্প’ রচনাটিতে বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্প মৃিশল্পের প্রধান উপাদানের কথা।

মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মৃিশল্প। এ শিল্পের প্রধান উপাদান হল মাটি। মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির পর কুমোরেরা রং-তুলির ছোঁয়ায় একে চমত্কার করে তোলে। তবে সব ধরনের মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না। এর জন্য দরকার হয় পরিষ্কার এঁটেল মাটি। কেননা এ মাটি বেশ আঠালো। ফলে এ মাটিকে ইচ্ছেমতো আকার দেওয়া যায়।

No comments:

Post a Comment