3.9.11

জলপরী ও কাঠুরের গল্প

প্রশ্ন: সততা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: সততা মানব জীবনের একটি মহৎ গুণ। নিচে সততা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো:
১. সততার মূল্য অতুলনীয়।
২. সততার পুরস্কার পাওয়া যায়।
৩. যার মধ্যে সততা আছে, সমাজে তার স্থান সবার ওপরে।
৪. সুন্দর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সততার বিকল্প নেই।
৫. সততাই মানব জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
প্রশ্ন: কীভাবে কাঠুরিয়ার অবস্থার পরিবর্তন হলো?
উত্তর: গল্পকার ঈশপ রচিত ‘জলপরী ও কাঠুরের গল্প’-এর কাহিনি গড়ে উঠেছে এক কাঠুরিয়াকে নিয়ে। গল্পে বর্ণিত কাঠুরিয়া ছিল খুবই গরিব। দৈনিক কাঠ বিক্রি করে যা রোজগার হতো, তা-ই দিয়ে কোনো রকমে তার দিন চলত।
একদিন নদীর ধারে কাঠ কাটতে গেলে হাত ফসকে তার কুড়ালটি কুমিরে ভরা খরস্রোতা নদীর গভীর পানিতে পড়ে যায়। নিরুপায় কাঠুরিয়া গাছের গোড়ায় বসে কাঁদতে থাকে। এমন সময় এক জলপরী নদীর মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কাঠুরিয়ার কান্নার কারণ জানতে চাইল। কাঠুরিয়া জলপরীর কাছে তার কুড়াল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলে জলপরী কুড়াল খুঁজে এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে কাঁদতে বারণ করল।
তারপর নদীতে ডুব দিয়ে প্রথমে একটি সোনার কুড়াল এবং পরে একটি রুপার কুড়াল এনে কাঠুরিয়াকে দেখাল। কাঠুরিয়া গরিব হলেও সৎ ছিল। সে অকপটে জানিয়ে দিল, এগুলো তার নয়। তারপর জলপরী আবার ডুব দিয়ে একটি লোহার কুড়াল এনে কাঠুরিয়াকে দেখালে সে বলল, এটিই তার কুড়াল।
জলপরী কাঠুরিয়ার সততায় মুগ্ধ হয়ে তাকে তার নিজের কুড়ালটি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সোনা ও রুপার কুড়াল দুটিও উপহার দিল। এতখানি সোনা ও রুপা পেয়ে কাঠুরিয়ার অবস্থা বেশ ভালো হয়ে গেল। কেননা, সেই কুড়াল দুটি বাজারে বিক্রি করে সে অনেক টাকা পেল। এভাবে কাঠুরিয়ার অবস্থার পরিবর্তন হলো এবং সুখে-স্বচ্ছন্দে তার দিন কাটতে লাগল

No comments:

Post a Comment