10.11.12

somaz অধ্যায়-১৭

অধ্যায়-১৭
প্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ পরিবেশ পরিচিতি সমাজ বইয়ের ১৭ অধ্যায় ‘ইউরোপ ও আফ্রিকার সংস্কৃতি’ নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রশ্ন: ফরাসিরা কী কী খাবার খায়? ফ্রান্সের পুরুষ ও মহিলাদের পোশাক বর্ণনা কর।
উত্তর: ফরাসিরা খাবারের বেলায় খুবই রুচিশীল। এ জন্য ফ্রান্সের রান্নাকে এক ধরনের শিল্প বলা হয়। ফ্রান্সের মানুষ ‘খাদ্যরসিক’ হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন আকার ও স্বাদের রুটির জন্য ফ্রান্স বিখ্যাত। গমের রুটি প্রধান খাবার। এদের খাবারের তালিকায় রয়েছে শূকর, গরু, ভেড়া, মুরগির মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ। ফরাসিরা বিভিন্ন সবজির সালাদ খুব পছন্দ করে। আঙুর জাতীয় ফল, বিভিন্ন শস্য থেকে বিভিন্ন স্বাদ ও রঙের মদ তৈরির জন্য ফ্রান্স বিখ্যাত। এ ছাড়া মাশরুম, এসকারগট, রকফোর্ট পনির (ভেড়া ও ছাগলের দুধ দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরনের পনির), গরু, ভেড়া ইত্যাদি পশুর ভুঁড়ির অংশবিশেষ ‘ট্রিপ’, মাটির নিচের ছত্রাক ‘ট্রুফল’, পশুর মগজ, উটের পা ইত্যাদি ফ্রান্সের মানুষের অত্যন্ত পছন্দের খাবার।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সে পুরুষেরা সাধারণত প্যান্ট, শার্ট, কোট, টাই, মোজা ইত্যাদি এবং মহিলারা ব্লাউজ, প্যান্ট, শার্ট ও স্কার্ট পরে। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে মহিলারা ‘গাউন’ পরিধান করে।
প্রশ্ন: কেনিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত? কেনিয়ার সাংস্কৃতিক জীবনধারা বর্ণনা কর।
উত্তর: কেনিয়া আফ্রিকা মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এ দেশের সাংস্কৃতিক জগতে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এদের সাংস্কৃতিক মনোভাব ফুটে ওঠে।
অবস্থান: কেনিয়া আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে বেশ উন্নত। মধ্য কেনিয়ায় অবস্থিত আফ্রিকার দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত কেনিয়ার নাম থেকে এ দেশের নাম রাখা হয়েছে। ১৯৬৬ সালে কেনিয়া স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার আগে কেনিয়া যুক্তরাজ্যের উপনিবেশ ছিল। ফলে এখানকার সংস্কৃতিতে ‘ইংলিশ’ সংস্কৃতির প্রভাব বিদ্যমান।
ভাষা: কেনিয়ার অফিসের ভাষা বান্টু উপজাতির ভাষা সোয়াহিলী ও ইংরেজি। সোয়াহিলি ভাষায় আরবি ভাষার প্রভাব রয়েছে। এই ভাষা লেখা হয় রোমান অক্ষর বা বর্ণমালায়। কেনিয়ায় কিছু আঞ্চলিক ভাষাও রয়েছে।
ধর্ম ও জনসংখ্যা: কেনিয়ার মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৫৯০ জন। এ দেশের অধিকাংশ মানুষই খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। এ ছাড়া কিছু সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী। এরা বিশ্বাস করে সব জিনিসের প্রাণ আছে। ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মানুষও কেনিয়ায় আছে।
খাদ্য: কেনিয়ায় খাবারের মধ্যে ভাত, গম, মাছ, মাংস প্রধান। এ ছাড়া বিশেষ ধরনের কিছু খাবার কেনিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেমন: গৃহপালিত পশুর টাটকা রক্ত, ভাজা ফড়িং, ওকড়া (এক জাতের সবজি), ছাগলের মাথা ইত্যাদি। এ ছাড়া, চা, কফি জনপ্রিয় পানীয়।
পোশাক-পরিচ্ছেদ: কেনিয়ার পুরুষেরা আলখেল্লা ধরনের লম্বা জোব্বা ও মাথায় টুপি পরে। তবে প্যান্ট, শার্ট, কোট, টাই সাধারণ পোশাক প্রচলিত এবং মহিলারা ইউরোপীয় মহিলাদের মতোই প্যান্ট, শার্ট, স্কার্ট পরে। তবে এদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকও রয়েছে। এরা মাথায় কাপড়ের তৈরি হ্যাট বা টুপি পরে।
খেলাধুলা: ক্রিকেট, ফুটবল কেনিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অ্যাথলেটিক্স বা মল্লক্রীড়া, রাগবি, গলফ, ঘোড়দৌড় ইত্যাদি।
উৎসব-অনুষ্ঠান: কেনীয়দের ধর্মীয় উৎসব ‘খ্রিস্টমাস’ বা বড়দিন। এ ছাড়া খ্রিষ্টানদের মতো অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবও পালিত হয়। তবে এদের গোষ্ঠীভিত্তিক বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। প্রতিবছর বিভিন্ন শহরের জন্ম নিয়ে তারা কার্নিভাল উৎসব পালন করে। একে ‘পূর্ব আফ্রিকার কানচিত্র প্রদর্শনী’ উৎসব বলা হয়।
বিভিন্ন দেশের মানুষের সংস্কৃতি বিভিন্ন ধরনের। অনেক যুগ ধরে একটি দেশের সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি দেশের মানুষের জীবনধারা, আচার-আচরণ, রীতিনীতি, কর্মকাণ্ড ইত্যাদি প্রকাশ পায়।

No comments:

Post a Comment