17.7.12

রচনা: সততা


ভূমিকা: মানব চরিত্রের অন্যতম একটি মহৎগুণ হলো সততা। এই গুণ অর্জনের চেষ্টা ও চর্চা একজন মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে মর্যাদা ও গৌরবের শ্রেষ্ঠতম স্থানে। নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে এই গুণ অর্জন করা যায়। আর যিনি এই মহৎ গুণ অর্জন করতে পারেন তিনিই সমাজে আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে থাকেন। সততাকে তাই মানব চরিত্রের অলঙ্কার বলা হয়ে থাকে।
সততার বৈশিষ্ট্য: সততা বলতে সৎ থাকার গুণকে বুঝানো হয়। সত্যের অনুসারী মানুষের সৎ থাকার প্রবণতার মধ্য দিয়ে সততার প্রকাশ ঘটে। অন্যায়, অবৈধ কাজ না করে ন্যায় ও সত্যের সপথে জীবন পরিচালনা করাই সততার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জীবনকে সফল ও সার্থক করে তোলার প্রধান উপায় হলো সততা। সৎ চিন্তা ও সৎ কাজের মধ্য দিয়েই বিকাশ ঘটে সততার মত মহৎ গুণ। তাই আদিকাল থেক মানুষ সততার চর্চা করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিসমা কর আসছে। সততার গুণে সমৃদ্ধ মানুষ সমাজের আদর্শ মানুষ।
সততার সুফল: সততার সুফল শত ধারায় বিকশিত। জীবনকে সুন্দর, সফল ও সার্থক করে তুলতে হলে সৎ থাকার অভ্যাস অর্জন করতে হয়। সৎ গুণ সম্পন্ন মানুষ কখনও অসৎ কিংবা মন্দকাজে লিপ্ত থাকতে পারে না। সৎলোক মাত্রই চরিত্রবান ও মহৎ হয়ে থাকে। সৎ লোক সমাজে সবার বিশ্বাসভাজন হয়ে থাকে। সৎ লোক সমাজে সবার বিশ্বাসভাজন হয়ে থাকে। সততা মানুষকে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান করে থাকে। সৎ ব্যক্তি কখনও অন্যায় ও অসত্যর কাছে মাথানত করে না। মানব জীবনে তাই সততার গুরুত্ব অপরিসীম।
সততার প্রভাব: সৎ লোকের সততার প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে অসৎ-মন্দলোক ও জীবনের গতি পরিবর্তন করতে পারে। বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রঃ) বাল্যকাল থেকেই সততা ও সত্যবাদিতার জন্য সকলের প্রিয় পাত্র ছিলেন। ডাকাতদলের হাতেধরা পড়েও তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেননি। ফলে বালক আবদুল কাদের জিলানীর সতায় মুগ্ধ হয়ে ডাকাতদল ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ভাল মানুষ হয়ে যায়। কাজেই সুখী, সমৃদ্ধ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমাদেরও সততা অর্জনে ব্রতী হতে হবে।
উপসংহার: সততা সুন্দর, সততা মহান। আমাদের চরিত্রকে মহিমান্বিত করার জন্য, জীবনকে সফলতায় ভরে দেয়ার জন্য সততার চর্চা অপরিহার্য। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সততার পরিচয় দেয়া একান্ত দরকার। আর এই জন্য ছেলেবেলা থেকেই আমাদের সৎ থাকার অভ্যাস গঠন করতে হব। সততার অনুশীলন করতে হবে।

1 comment: