প্রিয় শিক্ষার্থী, স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের আজকের পড়াশোনায়। আলোচ্যসূচিতে আজ রয়েছে বাংলা বিষয়ের ‘মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’। এসো, তাহলে শুরু করা যাক।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লেখো: সমাবেশ, নির্যাতিত, কারারুদ্ধ, প্রতিবাদী, জীবনাচরণ, বিষ-নজর, মজলুম, নিপীড়িত, আত্মসমর্পণ, মোহ।
উত্তর: প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
সমাবেশ সভা।
নির্যাতিত অত্যাচারিত।
কারারুদ্ধ জেলে বন্দী।
প্রতিবাদী যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন
জীবনাচরণ জীবন যাপনের ধরন।
বিষ-নজর খারাপ চোখে দেখা।
মজলুম উৎপীড়িত, যাদের ওপর জুলুম বা অত্যাচার করা হয়েছে।
নিপীড়িত দলিত, অত্যাচারিত।
আত্মসমর্পণ পরাজয় মেনে নিয়ে নতি স্বীকার করা।
মোহ লোভ-লালসা।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
প্রশ্ন: ‘লাইন প্রথা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অবিভক্ত ভারতবর্ষের আসাম প্রদেশের একটি কুখ্যাত আইন ‘লাইন প্রথা’ নামে পরিচিত। আসামে বাঙালি নির্যাতন ও বাঙালিদের বিতাড়নের জন্য এ আইন করা হয়েছিল। এ আইনের ফলে ওখানে বসবাসকারী বাঙালিরা একটা নির্দিষ্ট লাইন বা এলাকার বাইরে যেতে পারত না, কাজকর্ম করতে পারত না। তখন আসামে প্রায় ৩৫ লাখ লোক বাস করত। এ আইনের ফলে বাঙালিরা রাতারাতি ভূমিহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষে পরিণত হয়। মওলানা ভাসানী এ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ১৯৪৫ সালে এই আইন বাতিল হয়।
প্রশ্ন: কাগমারি সম্মেলন কী?
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আহ্বানে ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারিতে এক আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ দেশের ইতিহাসে এ সম্মেলন কাগমারি সম্মেলন নামে বিখ্যাত। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক নেতা যোগ দেন। এই সম্মেলনে মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পাকিস্তানি শাসকদের অবিচার ও শোষণের চিত্র তুলে ধরেন।
প্রশ্ন: মজলুম শব্দের অর্থ কী? কাকে মজলুম জননেতা বলা হতো? কেন?
উত্তর: মজলুম শব্দের অর্থ উৎপীড়িত। অর্থাৎ যাদের ওপর জুলুম বা অত্যাচার করা হয়েছে, তাদের মজলুম বলা হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে মজলুম জননেতা বলা হতো। তিনি চিরকাল নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন। মজলুম মানুষের সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ জন্য তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হতো।
প্রশ্ন: ‘ভাসান চরের মওলানা’ নাম দেয় কারা? কেন?
উত্তর: আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসান চরের সাধারণ কৃষকেরা মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খানকে ভালোবেসে ‘ভাসান চরের মওলানা’ নাম দেয়। সেই থেকে তাঁর পরিচয় হয় মওলানা ভাসানী। ১৯২৪ সালে আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসান চরে বাঙালি কৃষকদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান এক বিশাল প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করেন। এ সমাবেশে সাধারণ কৃষকেরা তাঁকে ভাসান চরের মওলানা তথা মওলানা ভাসানী নামে আখ্যায়িত করেন।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী কত সালে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন?
উত্তর: মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকেরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ব বাংলার মানুষকে শোষণ করছে। তাই তাদের সঙ্গে একই রাষ্ট্রের বাঁধনে অবস্থান করা আর সম্ভব নয়। সে কারণে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন পৃথক দেশ করার কথা কখন এবং কেন বলেন?
উত্তর: ১৯৭০ সালের নভেম্বরে পল্টন ময়দানে ভাষণ দানকালে মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন ও পৃথক দেশ করার কথা বলেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়েতিনি বলেছেন যে, পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর যে অত্যাচার, নিপীড়ন চালাচ্ছে, যে বৈষম্য নীতি অনুসরণ করছে, তা চলতে থাকলে পূর্ব পাকিস্তান একদিন স্বাধীন দেশ হয়ে যাবে। আসলে মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকেরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ব বাংলার মানুষকে শোষণ করছে। তাদের সঙ্গে একই রাষ্ট্রের বাঁধনে অবস্থান করা আর সম্ভব নয়। তাই তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন ও পৃথক দেশ করার কথা বলেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মওলানা ভাসানী কোথায় কোন পদে ছিলেন।
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে দেশব্যাপী পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। মওলানা ভাসানীর টাঙ্গাইলের ঘরবাড়ি পাকিস্তানি সেনারা পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ভারতে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মওলানা ভাসানী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন?
উত্তর: মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী। তিনি নিজে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া খুব বেশি করতে পারেননি। কিন্তু এ দেশের মানুষের জন্য শিক্ষা, জ্ঞান বিস্তার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষা বিস্তারের জন্য মওলানা ভাসানী যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেগুলো হলো: সন্তোষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মহীপুরের হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ, ঢাকার আবুজর গিফারি কলেজ ও টাঙ্গাইলের মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?
উত্তর: মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা অনেক শিক্ষণীয় বিষয় পাই। একজন নিরহংকার আদর্শ মানুষ মওলানা ভাসানীর জীবনাচরণ ছিল অত্যন্ত সাদামাটা ও সহজ-সরল। বৈচিত্র্যপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী হয়েও মওলানা ভাসানী টাঙ্গাইলের সন্তোষে একটা সাধারণ বাড়িতে বাস করতেন। খেতেন সাধারণ মানুষের খাবার। অনাড়ম্বর জীবন যাপনকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই প্রগাঢ় স্বদেশপ্রেম, প্রগতিশীল আদর্শ ও প্রতিবাদী চেতনার। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমেই সার্থক হবে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লেখো: সমাবেশ, নির্যাতিত, কারারুদ্ধ, প্রতিবাদী, জীবনাচরণ, বিষ-নজর, মজলুম, নিপীড়িত, আত্মসমর্পণ, মোহ।
উত্তর: প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
সমাবেশ সভা।
নির্যাতিত অত্যাচারিত।
কারারুদ্ধ জেলে বন্দী।
প্রতিবাদী যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন
জীবনাচরণ জীবন যাপনের ধরন।
বিষ-নজর খারাপ চোখে দেখা।
মজলুম উৎপীড়িত, যাদের ওপর জুলুম বা অত্যাচার করা হয়েছে।
নিপীড়িত দলিত, অত্যাচারিত।
আত্মসমর্পণ পরাজয় মেনে নিয়ে নতি স্বীকার করা।
মোহ লোভ-লালসা।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
প্রশ্ন: ‘লাইন প্রথা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অবিভক্ত ভারতবর্ষের আসাম প্রদেশের একটি কুখ্যাত আইন ‘লাইন প্রথা’ নামে পরিচিত। আসামে বাঙালি নির্যাতন ও বাঙালিদের বিতাড়নের জন্য এ আইন করা হয়েছিল। এ আইনের ফলে ওখানে বসবাসকারী বাঙালিরা একটা নির্দিষ্ট লাইন বা এলাকার বাইরে যেতে পারত না, কাজকর্ম করতে পারত না। তখন আসামে প্রায় ৩৫ লাখ লোক বাস করত। এ আইনের ফলে বাঙালিরা রাতারাতি ভূমিহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষে পরিণত হয়। মওলানা ভাসানী এ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ১৯৪৫ সালে এই আইন বাতিল হয়।
প্রশ্ন: কাগমারি সম্মেলন কী?
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আহ্বানে ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারিতে এক আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ দেশের ইতিহাসে এ সম্মেলন কাগমারি সম্মেলন নামে বিখ্যাত। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক নেতা যোগ দেন। এই সম্মেলনে মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পাকিস্তানি শাসকদের অবিচার ও শোষণের চিত্র তুলে ধরেন।
প্রশ্ন: মজলুম শব্দের অর্থ কী? কাকে মজলুম জননেতা বলা হতো? কেন?
উত্তর: মজলুম শব্দের অর্থ উৎপীড়িত। অর্থাৎ যাদের ওপর জুলুম বা অত্যাচার করা হয়েছে, তাদের মজলুম বলা হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে মজলুম জননেতা বলা হতো। তিনি চিরকাল নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন। মজলুম মানুষের সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ জন্য তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হতো।
প্রশ্ন: ‘ভাসান চরের মওলানা’ নাম দেয় কারা? কেন?
উত্তর: আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসান চরের সাধারণ কৃষকেরা মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খানকে ভালোবেসে ‘ভাসান চরের মওলানা’ নাম দেয়। সেই থেকে তাঁর পরিচয় হয় মওলানা ভাসানী। ১৯২৪ সালে আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসান চরে বাঙালি কৃষকদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান এক বিশাল প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করেন। এ সমাবেশে সাধারণ কৃষকেরা তাঁকে ভাসান চরের মওলানা তথা মওলানা ভাসানী নামে আখ্যায়িত করেন।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী কত সালে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন?
উত্তর: মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকেরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ব বাংলার মানুষকে শোষণ করছে। তাই তাদের সঙ্গে একই রাষ্ট্রের বাঁধনে অবস্থান করা আর সম্ভব নয়। সে কারণে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন পৃথক দেশ করার কথা কখন এবং কেন বলেন?
উত্তর: ১৯৭০ সালের নভেম্বরে পল্টন ময়দানে ভাষণ দানকালে মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন ও পৃথক দেশ করার কথা বলেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়েতিনি বলেছেন যে, পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর যে অত্যাচার, নিপীড়ন চালাচ্ছে, যে বৈষম্য নীতি অনুসরণ করছে, তা চলতে থাকলে পূর্ব পাকিস্তান একদিন স্বাধীন দেশ হয়ে যাবে। আসলে মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকেরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ব বাংলার মানুষকে শোষণ করছে। তাদের সঙ্গে একই রাষ্ট্রের বাঁধনে অবস্থান করা আর সম্ভব নয়। তাই তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য স্বাধীন ও পৃথক দেশ করার কথা বলেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মওলানা ভাসানী কোথায় কোন পদে ছিলেন।
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে দেশব্যাপী পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। মওলানা ভাসানীর টাঙ্গাইলের ঘরবাড়ি পাকিস্তানি সেনারা পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ভারতে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মওলানা ভাসানী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানী শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন?
উত্তর: মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী। তিনি নিজে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া খুব বেশি করতে পারেননি। কিন্তু এ দেশের মানুষের জন্য শিক্ষা, জ্ঞান বিস্তার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষা বিস্তারের জন্য মওলানা ভাসানী যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেগুলো হলো: সন্তোষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মহীপুরের হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ, ঢাকার আবুজর গিফারি কলেজ ও টাঙ্গাইলের মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?
উত্তর: মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা অনেক শিক্ষণীয় বিষয় পাই। একজন নিরহংকার আদর্শ মানুষ মওলানা ভাসানীর জীবনাচরণ ছিল অত্যন্ত সাদামাটা ও সহজ-সরল। বৈচিত্র্যপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী হয়েও মওলানা ভাসানী টাঙ্গাইলের সন্তোষে একটা সাধারণ বাড়িতে বাস করতেন। খেতেন সাধারণ মানুষের খাবার। অনাড়ম্বর জীবন যাপনকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই প্রগাঢ় স্বদেশপ্রেম, প্রগতিশীল আদর্শ ও প্রতিবাদী চেতনার। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমেই সার্থক হবে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা।
No comments:
Post a Comment