12.7.14

আমার জীবনের লক্ষ্য

আমার জীবনের লক্ষ্য [উপশিরোনাম: ভূমিকা, লক্ষ্য স্থির করার কারণ, জীবনের লক্ষ্য, উপসংহার] ভূমিকা: প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। এই লক্ষকে সামনে রেখেই সে জীবনসংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। যার জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই, সে জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে পারে না। হালবিহীন, পাল ছেঁড়া নৌকার মতো তার জীবন ভেসে যায়। সাফল্য নামের সেই সোনালি বন্দরে সে কখনো পৌঁছাতে পারে না। লক্ষ্য স্থির করার কারণ: জীবনের শুরুতে সুস্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করলে জীবনে চলার পথের সন্ধান পাওয়া যায়। আর পথের সন্ধান পেলে নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে সেই পথে এগিয়ে যাওয়া যায়। আমার জীবনের লক্ষ্য: আমি এখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র। জীবন সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা এখনো মনে জন্মায়নি। তবু আমি মনে মনে একটি লক্ষ্য স্থির করেছি। আমার বন্ধুরা অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনবিদ, ব্যবসায়ী প্রভৃতি হওয়ার আশা পোষণ করে। কিন্তু আমি এমন একটি পেশাকে জীবনের লক্ষ্য হিসাবে ধরে নিয়েছি, যার কথা শুনলে সবার মন শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে। আমার জীবনের লক্ষ্য একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। কেন আমি শিক্ষক হতে চাই: শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। আর এই মেরুদণ্ড যে জাতির যত বেশি শক্ত, সে জাতি বিশ্বে তত উন্নত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বর্তমানে আমরা শিক্ষায় আজও পিছিয়ে আছি। এ দেশের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর ও অসহায়। নিরক্ষরতার কারণে তাঁরা সমাজে বিভিন্নভাবে শোষিত, বঞ্চিত ও নিগৃহীত হচ্ছে। আবার আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা শুধু জীবনের প্রয়োজনেই শিক্ষাকে গ্রহণ করে। ফলে, তাদের শিক্ষাও সমাজের উপকারে আসে না। কিন্তু আমি এমন এক শিক্ষা দিতে চাই, যা দেশের, সমাজের ও জাতির সত্যিকারের উপকারে আসবে। এ জন্য আমি একজন শিক্ষক হতে চাই। উপসংহার: শিক্ষা ছাড়া যেমন কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না, তেমনি যোগ্য শিক্ষক ছাড়াও একটি জাতি সুশিক্ষা পেতে পারে না। আমি একজন শিক্ষক হয়ে দেশের কিছুসংখ্যক নাগরিককেও যদি যোগ্য করে তুলতে পারি, তবেই আমার জীবন সার্থক হয়েছে বলে মনে করব। এ আশাতেই আমি বুক বেঁধে আছি। আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব এবং দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারব। [অনুসরণে লেখা যায়: বড় হয়ে যা হতে চাই]

No comments:

Post a Comment